জিকির হলো আল্লাহর স্মরণ। আল্লাহ তাআলার স্মরণে যে কাজই করা হয় তাই ইবাদত। সে হিসেবে জিকির আল্লাহ তাআলার ইবাদত। আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য যত বিধান নাজিল করেছেন, তা বাস্তবায়নে গবেষণা করা, চিন্তা-ফিকির করাই হলো জিকির। আর জিকিরের মাধ্যমেই মানুষের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অসংখ্য জায়গায় জিকির করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা খুব বেশি করে আল্লাহর স্মরণ করতে থাকো। আশা করা যায়, এ কাজেই তোমাদের কল্যাণ হবে। (সুরা আনফালঃ আয়াত ৪৫) শুধুমাত্র বা আল্লাহ-আল্লাহ, তাসবিহ- তাহলিল করার মধ্যেই জিকির সীমাবদ্ধ নয় বরং প্রত্যেক কাজে আল্লাহর নির্দেশ পালন করা হলো সবচেয়ে বড় জিকির। তা হতে পারে কুরআন তেলাওয়াত করা, কুরআন-হাদিস শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেয়া, কুরআন-হাদিস নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা, ওয়াজ-নসিহত করা এবং তা শ্রবণ করার পাশাপাশি বাস্তবজীবনে আমল করা। নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হলো কোরআন তেলাওয়াত। হাদিসে এসেছেঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করে ও কোরআন শিক্ষা দেয়। (আবু দাউদঃ ১৪৫২)