কেউ একজন মানুষের জীবনের সময় সীমা"ই বলতে পারে না। তাহলে কেমন করে আখিরাতের সময় সীমা বলবে?
আখিরাতের প্রথম পর্যায়কাল সময় বলাই সম্ভব না। তাহলে পরের টা বলা কত কঠিন? কোর-আন হাদীস এর ভিত্তিতে আখিরাতের সময় সীমা অনেক যা জীবন্ত মানুষের বা প্রাণীর জীবনের অনেক বেশি। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। কিছু জিনিস আছে যা বলা অসম্ভব। তার মধ্যে এই প্রশ্ন একটি।
আখিরাতের তুলনায় দুনিয়া একটি শস্য দানার মতো, কিংবা তার থেকেও কম। আখিরাতের সময়ের কোনো শেষ নেই। সেখানে অনন্তকাল থাকতে হবে। এ সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, "মুস্তাওরেদ ইবনে শাদ্দাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ "আল্লাহর কসম ! আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার দৃষ্টান্ত কেবল এতটুকু-ই যেমন, তোমাদের কেউ নিজেদের আঙ্গুল সাগরে চুবিয়ে দিল। এবার সে দেখুক, এ আঙ্গুল কতটুকু পানি নিয়ে ফিরে আসে। ( মুসলিম)
আখেরাতের জীবনের কোন সময় সীমা নেই তথায় তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাআলা এ দুনিয়ার ধ্বংস এবং দুনিয়াবাসীর মৃত্যু নির্ধারণ করে রেখেছেন। প্রত্যেক প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদনকারী। এরপর তাদেরকে আমার দিকেই ফিরে আসতে হবে। এরপর আল্লাহ তাআলা মানুষকে পুনরুত্থিত করবেন। এবং তাদেরকে চিরস্থায়ী জীবন দান করবেন, যার কোন শেষ নেই। প্রত্যেকের আমল অনুযায়ী তাদের হিসাব নিবেন। নেককারকে তার নেকি অনুপাতে প্রতিদান দিবেন। বদকারকে তার বদ অনুযায়ী প্রতিদান দিবেন। আল্লাহ বললেনঃ আজকের দিনে সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা তাদের উপকারে আসবে। তাদের জন্যে রয়েছে– উদ্যান! যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত হবে, তারা তাতে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এটিই মহান সফলতা। (সূরা মায়িদা, আয়াত: ১১৯) তিনি আরও বলেনঃ যারা কুফরী অবলম্বন করেছে এবং সত্য চাপা দিয়ে রেখেছে, আল্লাহ কখনও তাদের ক্ষমা করবেন না এবং সরল পথ দেখাবেন না। তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের পথ। সেখানে তারা বাস করবে অনন্তকাল। আর এমন করাটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। (সূরা নিসা, আয়াত: ১৬৯)