তালু জ্বলা এই সমস্যা কত দিন ধরে? আপনার কি অন্য কোন মেডিকেল সমস্যা আছে? আপনার কি অনেক গরম লাগে? নিয়মিত খাবার খাওয়ার পর ও শরীর চিকন? আপনি কিছু রক্ত পরীক্ষা করে একজন মেডিসিনের ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। দেখা করার আগে TSH, FT4 এই দুটি পরীক্ষা করে নিয়ে যাবেন। আর ততদিন পর্যন্ত নিচের নিয়ম গুলো মেনে চলতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করুণ কিন্তু গরম পানি পরিহার করুণ: রাতে জ্বলা পোড়া থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে গোসল করুণ। গোসলের সময় মনে রাখবেন। ১। পানি যেনো কিছুতেই গরম না হয়। গরম পানি আপনার শরীর থেকে প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে দিতে পারে ফলে আপনার স্কিন ড্রাই হয়ে যেতে পারে। ২।দীর্ঘ সময় গোসল না করে স্বল্প সময় গোসল করেন, বেশি সময় গোসল করলেও ত্বক ড্রাই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থকে। ফলে জ্বলন আরও বেড়ে যেতে পারে। ময়শ্চারাইজার ব্যাবহার করুণ: ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখুন (যদি থাকে): যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ডায়াবেটিসের কারনে নিউরোপ্যাথি হয়ে থাকে কারণ রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে গেলেও জ্বালা পোড়া হতে পারে। তাই হাত-পায়ের যত্ন নিতে শিখুন। বিশেষ করে পায়ের যত্ন অনেক বেশি সচেতন হন। প্রচুর পানি পান করুণ: শরীরে পানি শূন্যতা হতেও জ্বলন হতে পায়ে। সাধারণত যারা পানি কম পান করেন তাদের উচিত বেশি পরিমাণে পানি পান করা এবং মিনারেল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া। এতে করে শরীর জ্বালা-পোড়া অনেক অংশে কমে যাবে। টক ফল খান: প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও যে কোনো টক ফল পানি মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পরপর খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রথমে শরীরকে অ্যাসিডমুক্ত রাখুন। এটি খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন। চাইলে হালকা খাবার খেতে পারেন। প্রতিদিন ৫০ গ্রাম আঙুর খেলেও জ্বালা কমকে। মানসিক চাপ কমান: অনেক সময় মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকেও হাত পায়ে জ্বালা পোড়া হতে পারে। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমান। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন। নিউরোপ্যাথি আছে প্রমাণিত হলে স্নায়ুর যন্ত্রণা লাঘবকরে এমন কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলো নিয়মিত খেতে পারেন৷