বর্তমান সময় টা প্রত্যেক মুসলিম ব্যাক্তির জন্য চ্যালেঞ্জিং সময়। এই সময় টাতে নিজে দের আটকে রাখা ভিশন মুশকিল। বর্তমান সময় ডিজিটাল এ সময় মেঘ না চাইতেই জল পাওয়া যায়।

যে কারণে আমার নিজের ও বেশ সমস্যা হচ্ছে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করাতে।

আমি যখন ই আমার ইবাদত এ মন দিয় তখন ই শয়তান আমার মনে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে। আমি ও ডুবে যায় শয়তানের কুমন্ত্রণা তে যেয়ে আল্লাহতালার নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলি পরে আবার মাফ চাই আল্লাহতালার কাছে।

আমি প্রকৃত ঈমানদার ব্যাক্তি হতে চাই।

আমি সব সময় আল্লাহ্‌ ও তাঁর দেখানো

পথ অনুসরণ করতে চাই। এবং শয়তানের

কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।


ঠিক এই মুহূর্তে আমি নিজেকে কি ভাবে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচিয়ে রাখবো এবং প্রকৃত ঈমানদার

এর মর্যাদা লাভ করবো।

আল্লাহতালার নৈকট্য লাভ করার জন্য আমাকে কী করতে হবে বা কি ভাবে আল্লাহতালার ইবাদত করতে হবে....!????



অভিজ্ঞদের উত্তর আশা করছি।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মানুষের ঈমান বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। এটা এমন একটা কিতাব যাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। যা মুত্তাকীগনের জন্য হেদায়াত স্বরূপ। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, মুত্তাকী তারাই যারা ঈমান এনেছে গায়েব বা অসৃশ্ব্য বস্তসমূহের উপর। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১-৪)। পবিত্র কোরআন সম্পূর্নটিই ঈমান, নেক আমল , জান্নাত , জাহান্নাম, আসমান , জমীন , গাছপালা , জীব জন্তু , মানুষের জীবন বিধান, হারাম , হালাল, করনীয় , বর্জনীয়, নবী রাসুল গনের বিভিন্ন ঈমানী ঘটনাবলী, ইত্যাদি মনোরম ও মনোমুগ্ধকর আলোচনায় ভরপুর। যাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং ইহা ঈমানদার বান্দাগনের জন্য হেদায়াত চাবীকাঠি। আসুন দেখা যাক মানুষের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন কিভাবে সাজিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে সর্বমোট কমবেশী ৬৬৬৬ আয়াত রয়েছে। তম্মধ্যে ৬০০০ আয়াত ঈমান ও রাসূলগনের ঘটনা বলী সম্পর্কীত এবং বাকী মাত্র কমবেশী ৬৬৬ আয়াত আহকাম বা আদেশ নিষধ সম্পর্কীত। তাহলে বুঝা গেল আল্লাহ পাক সর্বপ্রখম মানুষের ঈমান বৃদ্ধির জন্য বেশী অায়াত নাজিল করেছেন। তাহলে বুঝা গেল ঈমান বৃদ্ধির জন্য আমাদেরকেও বেশী পরিমানে ঈমানের আলোচনা করতে হবে। ১১৪ টি সুরা রয়েছে। তম্মধ্যে মক্কী ও মাদানী সুরা সমূহ রয়েছে। মক্কী সুরা সমূহে ছোট ও ঈমান সম্পর্কীত এবং মাদানী সুরা সমূহ বড় এবং আহকাম বা আদেশ নিষেধ সম্পর্কীত। তম্মধ্যে ছোট ছোট সুরা সমুহ মক্কী সুরা যা ঈমান, পরকাল,আল্লাহ ও রাসুলের পরিচিতি সম্বলিত। যাহা মানুষের ঈমান বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। আল্লাহ পাককে চিনতে সহজ। জান্নাত ও জাহান্নামের পরিচিতি। ইহার মূল কারন হলো। মানুষ জন্মের পর প্রথমেই তাকে ঈমানদার হতে হবে। ঈমান দার হলে তার পক্ষে আল্লাহ পাকের আদেশ নিষেধ, পালন করা সহজ হবে। ঈমান দার না হলে তার পক্ষে নেক আমল করা সহজ নয়। মুসলমান নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, ইত্যাদি আমল করে তা মুসলমানগন নিজেরাও জানে এমন কি বর্তমান বিশ্বে মোনাফেক, কাফের মোশরেকরাও জানে। কিন্ত প্রকৃত ঈমানদার বান্দা ব্যতিত অন্য কেহ আল্লাহ পাকের হুকুম মানতে পারছে না। ইহার মূলে রয়েছে ঈমানদার হওয়া। আর আল্লাহ পাক ঈমানদারগনকে সম্বোধন করে অনেক আয়াতও নাজিল করেছেন। হে ঈমানদারগন তোমরা বেশী বেশী ঈমানের আলোচনা কর তবে তোমাদের ঈমান বৃদ্ধি পাবে এবং কাফের মোশরেকরাও ইসলামে দাখেল হবে। এখানে আর একটি বিষয়ের গুরুত্ব রয়েছে যে, কালেমা পাঠ করলে সে সবে মাত্র ইসলামে দাখেল হলো। পরিপূর্ন ঈমানদার হয়নি। ঈমানের মেহনত করে পূর্ন ঈমানদার হতে হবে। মুসলিম সন্তানগনের ক্ষেত্রেও একই শর্ত। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেই সে পূর্ন মুসলমান হতে পারবে না যতক্ষন না সে ঈমানের মেহনত করে নিজের ঈমান বৃদ্ধি করবে। যেমন: ডা্ক্তারের সন্তান ডাক্তার হতে পারেনা নিজে ডাক্তারী না পড়া পর্যন্ত, কোরআনে হাফেজের সন্তান জন্মসূত্রে হাফেজ হতে পারবে না নিজে মেহনত করে হেফজ না শিখা পর্যন্ত তেমনি ঈমান আনা সত্বেও প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবেনা ঈমানের জন্য মেহনত না করে। আর ঈমান বৃদ্ধি পাবে দাওয়াতের মাধ্যমে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক ক্কুল অর্থ বলুন শব্দটি ব্যবহার করেছেন কমবেশী ৩১৩ বারেরও অধিক।কারন দাওয়াত দিতে হলে অন্যকে বলতে হবে। একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন দাওয়াত দিতে হলে। ইহা ছাড়া পবিত্র কোরআনে আসমান জমীন এবং সমস্ত সৃষ্টিকুলের সৃষ্টি সহ মানব জাতীর সৃষ্টি নিয়ে এবং হযরত আদম আ: থেকে শুরু করে নবী রাসুল গনের জীবনী, এবং প্রত্যেক জামানার উম্মতের হালত (ঈমানদার ও বেঈমানী হালত ) সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। অনেক অলৌকিক ঘটনাবলী (ঈমান সম্পর্কীত) আলোচনা করা হয়েছে মানুষের ঈমানকে বৃদ্ধির জন্যই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
সময়

Call

প্রত‍্যেক টি জিনিসের ভালো ও মন্দ দিক রয়েছে। ডিজিটাল আসক্তি থাকলে আপনি বাদ না দিয়ে আসক্তি টাকে ভালো কিছু করতে ব‍্যবহার করুন।  ১. বিস্ময়ের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিন। আপনি আপনার সুন্দর উত্তরের মাধ্যমে অনেক মানুষের উপকার করতে পারেন। ২. ব্লগ এ লিখা লিখি করুন, পড়ে মানুষ উপকৃত হবে। ৩. ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করুন। ৪. যে বিষয়ে আপনি অভিজ্ঞ তার উপর ভিত্তি করে ওয়েব সাইট খুলুন। যে যত বড় আলেম তাঁর সাথে তত বড় শয়তান থাকে, তাঁর চ‍্যালেন্জ ও তত বড় হয়। কাজেই আপনাকে ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করতে হবে এবং কখনো ভাবা উচিত হবে না আপনি এখান শয়তান এর ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত। আপনার সুন্দর জীবন কামনা করছি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
  • প্রকৃত মুমিন তিনিই, যিনি কুরআন ও হাদীস মোতাবেক তাঁর জীবনে বাস্তবায়িত করেন৷ ঈমানদার ব্যক্তি মাত্রই অন্তরে প্রশান্তি লাভ করে। আত্মার প্রশান্তি ও নির্ভীকতাই হলো ঈমানের মূল কথা। আল্লাহ তাআলা সুরা বাকারার শুরুতেই ঈমানের পরিচয় তুলে ধরে বলেন- ‘কোরআন হেদায়েত দান করে সে সব লোকদেরকে, যারা মুত্তাকী, যারা গায়েব তথা অদৃশ্যের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে, এবং নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে। যারা আপনার ওপর অবতীর্ণ কিতাবের প্রতি ঈমান আনে এবং আপনার পূর্ববর্তী নবীদের ওপর অবতীর্ণ কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান আনে এবং পরকালে বিশ্বাস রাখে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২-৪)


  • একজন মুসলমান নিজেকে মুমিন ভাববে কিভাবে? সে সম্পর্কে প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) একটি সুস্পষ্ট তথ্য প্রদান করেছেন। হাদিসে এসেছে– হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)- কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, ঈমান কাকে বলে বা উহার নিদর্শন কি? উত্তরে প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, তোমাদের ভালো কাজ যখন তোমাদের আনন্দ দেবে এবং খারাপ ও অন্যায় কাজ তোমাদের অনুতপ্ত করবে তখন তুমি বুঝবে যে, তুমি মুমিন। (মুসনাদে আহমাদ)।
 
  • অন্য জায়গায় ঈমান সম্পর্কে আরেকটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, 'আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূল (সঃ) বলেছে— তিনটি গুণ যার মধ্যে বিদ্যমান, সে ঈমানের স্বাদ পায়। (১) যার নিকট আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অন্য সকল বস্তু হতে অধিক প্রিয় ; (২) যে একমাত্র আল্লাহরই জন্য কোন বান্দাকে ভালবাসে এবং (৩) আল্লাহ তা’আলা কুফর হতে মুক্তি প্রদানের পর যে কুফর-এ প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মতোই অপছন্দ করে'। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২১)।

  • উক্ত হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, মুমিন মাত্রই ভালো কাজে আত্মিক প্রশান্তি উপলব্দি করতে পারে আর মন্দ কাজে অনুতপ্ত ও অনুশোচনার উপলব্দি তৈরি হয়। আপনি উক্ত উপদেশ মোতাবেক কাজ করুন। তাহলে আপনি অবশ্যই খাঁটি মুমিন হতে পারবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে প্রকৃত ঈমানদার হওয়ার জন্য কোরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক প্রতিটি কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রকৃত ঈমানদার হতে হলে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে হবে। আর যা নিষেধ তা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যা আদেশ হয়েছে তা যথাযথ পালন করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না। নিশ্চিতরূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারাঃ ২০৮) আপনি যখনি ইবাদতে মন দিবেন তখন-ই শয়তান মনে কুমন্ত্রণা দিতে থাকবে আর এটাই ছিল তা প্রতিজ্ঞা। এমন হওয়া সাভাবিক তাই হারামকৃত কাজে লিপ্ত হয়ে পড়লে কর্তব্য হচ্ছে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ অর্থাৎ যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তবে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা ফু্সসিলাতঃ ৩৬) তিনি আরও বলেছেন, অর্থাৎ নিশ্চয়ই যারা সাবধান হয়, যখন শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দেয়, তখন তারা আত্ম-সচেতন হয় এবং তৎক্ষণাৎ তাদের চক্ষু খুলে যায়। (সূরা আরাফঃ ২০১) তিনি আরও বলেছেন, অর্থাৎ যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে? এবং তারা যা 'অপরাধ' করে ফেলে তাতে জেনে-শুনে অটল থাকে না। ঐ সকল লোকের প্রতিদান তাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা এবং জান্নাত, যার নিচে নদীসমূহ প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এবং 'সৎ' কর্মশীলদের পুরস্কার কতই না উত্তম। (সূরা আলে ইমরানঃ ১৩৫ -১৩৬) জনাবা! ইসলামে আদেশ, নিষেধ। হারাম, হালাল। জায়েজ, নাজায়েজ কাজ সমুহ নিশ্চয় জানা আছে। তাই উত্তর বড় করলাম না। আর এগুলি মেনে চললেই খাটি ঈমানদার হতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ