এটা নিয়ে ইসলাম কী বলে? বিস্তারিত বলবেন!
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
অবৈধ যৌনাচারের চেয়ে হস্তমৈথুন করা বৈধ নয়, তা হারাম এর অন্তর্ভূক্ত। যদিও কোরআন হাদিসের কোথাও হস্তমৈথুন এর ব্যাপারে স্পষ্ট রুপে বর্ণনা হয়নি।

হস্তমৈথুনঃ গুপ্ত অভ্যাস হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন করা কিতাব, সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম।

আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের পত্নী অথবা অধীকারভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না। আর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। (সূরা মুমিনূনঃ ৫-৭)

সুতরাং যে ব্যক্তি তার স্ত্রী ও অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা কাম-লালসা চরিতার্থ করতে চায়, সে ব্যক্তি এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে। বলা বাহুল্য, এই আয়াতের পরিপেক্ষিতে সে সীমালঙ্ঘঙ্কারী বলে বিবেচিত হবে।

সুন্নাহ থেকে দলীল, নবী (সাঃ) বলেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্ত্রী সঙ্গম ও বিবাহ খরচে সমর্থ, সে যেন বিবাহ করে! কারণ টা অধিক দৃষ্টি-সংযতকারী এবং অধিক যৌনাঙ্গ রক্ষাকারী, যেহেতু তা এর জন্য কাম দমন কারীর সমান। (বুখারী, মুসলিম)

সুতরাং নবী (সাঃ) বিবাহে অসমর্থ ব্যক্তিকে রোযা রাখতে আদেশ করলেন, অথচ যদি হস্তমৈথুন বৈধ হত, তবে নিশ্চয় তিনি তা করতে নির্দেশ দিতেন। অতএব তা সহজ হওয়া স্বত্বেও যখন তিনি তা করতে নির্দেশ দিলেন না, তখন জানা গেল যে তা বৈধ নয়।

আয়েশা (রাঃ) উক্ত আয়াতের তফসীরে বলেন, যে ব্যক্তি নিজের বিবাহিত স্ত্রী অথবা ক্রীতদাসী ছাড়া যৌনক্ষুধা নিবারণের জন্য অন্য পথ অবলম্বন করবে সেই সীমালংঘনকারী।

আর সুচিন্তিত মত এই যে, যেহেতু এই কাজে বহুমুখী ক্ষতি ও অনিষ্টের আশঙ্কা রয়েছে, যা চিকিৎসাবিদগণ উল্লেখ করে থাকেন, এতে এমন ক্ষতি রয়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে বড় বিপদ বিপজ্জনক, এ কাজ যৌনশক্তিকে দুর্বল করে ফেলে, চিন্তাশক্তি ও দূরদর্শিতার ক্ষতি সাধন করে এবং কখনো বা এর অভ্যাসী ব্যক্তিকে প্রকৃত দাম্পত্যসুখ থেকে বঞ্চিত করে। কারণ যে কেউ এ ধরনের অভ্যাসে নিজ কাম-লালসাকে চরিতার্থ করে থাকে, সে হয়তো বা বিবাহের প্রতি ভ্রূক্ষেপই করবে না। (ইবনে উষাইমীন)

!!!.....সংগ্রহ.....!!!
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ