আমি একটি নিউজ রিলেটেড ইউটিউব চ্যানেল বানিয়েছি।যেখানে আমার ভয়েস দিব শুধু।প্রশ্ন হল একজন মেয়ে হয়ে ভয়েস দিলে কি পর্দার নিয়ম লঙ্ঘন হবে? মানে পাপ হবে কি? সঠিক উওর আশা করছি। 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shompaa

Call

।অনেকের মত হলো, মেয়েদের কন্ঠ ও বেগানা পুরুষের শুনানো যায়েজ নয়,কারণ অনেক সময় তার কথাশুনে মনের মাঝে বাসনা জাগতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নারীর কথার আওয়াজ ও সতর কোরআন ও হাদীসে পর্দা পালনের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, পর্দা পালন না করার কারণে মারাত্মক শাস্তির হুমকি দেওয়া হয়েছে। নারীর পর্দার সীমা কতটুকু? অর্থাৎ নারীর দৈহিক পর্দার পাশাপাশি তার কথা বার্তার প্রতিও কোন বিধি নিষেধ আছে কি না? একজন নারীর রূপ সৌন্দর্য যেমন অন্যকে আকৃষ্ট করে তেমনি তার কোমল কণ্ঠ ও অন্যকে আকৃষ্ট করে, এ জন্য নারীর আওয়াজ কে ফুকাহায়ে কেরাম সতরের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, এ ব্যাপারে সুরা আহযাবের ৩২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ- হে নবী -পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও, যদি তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর সুতরাং পর-পুরুষের সাথে কমল কন্ঠে এমন ভাবে কথা বলো না, কারণ এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে। এ আয়াতে নবী পত্নীদেরকে সম্বোধন করা হলেও বিধান পৃথিবীর সকল নারীদের জন্য প্রদত্ত - তাফসিরে জালালাইনl উক্ত আয়াত দ্বারা পর পুরুষের সাথে অসংগতিপূর্ণ বা অপ্রয়োজনীয় কথা বলা নাজায়েজ প্রমাণিত হয়। তাই তো প্রয়োজনবশতঃ কথা বলা বৈধ থাকলেও মহিলা সাহাবীগণ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরপুরুষের সাথে কথা বলতেন l হযরত আয়েশা (রাঃ) এর নিকট মাসয়ালা বা হাদিসের প্রয়োজনে অন্যান্য সাহাবীগণ আসলে, তিনি মুখের ওপর হাত রেখে কণ্ঠ বিকৃত করে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলতেন যেন কারো অন্তর ব্যাধিগ্রস্থ না হয়l উক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় বিনা প্রয়োজনে পরপুরুষের সাথে কথা বলা জায়েজ হবে নাl তাই স্পষ্ট বলা যায় যে, ইউটিউব চ্যানেল একজন মেয়ের ভয়েস দিলে পর্দার নিয়ম লঙ্ঘন হবে এক্ষেত্রেও পাপ হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ