ইচ্ছাকৃত ভাবে জামায়াতে নামাজ আদায় না করলে কি কোনো গুনাহ হয়? মসজিদে না গিয়ে বাসায় নামাজ পড়লে কি ধরনের সওয়াব বা পাপ হবে শরীয়ার আলোকে জানতে চাই।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নামাজ জামাতে আদায় না করলে কোনো গুনাহ হবেনা। তবে, জামাতে আদায় করা সুন্নতে মোয়াক্কাদা। আবার কেও কেও বলছেন ওয়াজিব বা আবশ্যক। আর জামাতে নামাজ আদায় করলে এমনি থেকে ২৭ গুন ছওয়াব হয়। তাই, জামাতে নামাজ আদায় করাই উত্তম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য মহান আল্লাহ তাআলা নামাজ ফরয করেছেন। কিন্তু যারা আল্লাহর এই হুকুম অমান্য করেন তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি। যারা নামাজ আদায় করে না তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক ১৫টি আজাব নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। এসব আজাবের মধ্যে ৬টি দুনিয়ায়, ৩টি মৃত্যুর সময়, ৩টি কবরে দেয়া হয় এবং বাকি ৩টি হাশরে দেয়া হবে। নিচে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

দুনিয়াতে যে ৬টি আজাব দেয়া হয় : ১. ইসলামের মূল্যবান নেয়ামতসমূহ হতে বঞ্চিত করা হয়। ২. যে যা কিছু নেক কাজ করবে, তার সওয়াব পাবে না। ৩. আল্লাহ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তার ওপর অসন্তুষ্ট থাকবে। ৪. আল্লাহ তার চেহারা হতে নেক লোকের চিহ্ন উঠিয়ে নেন। ৫. তার দোয়া আল্লাহ পাকের নিকট কবুল হয় না। ৬. তার জীবনে কোনোরূপ বরকত পাবে না।

মৃত্যুর সময় যে ৩টি আজাব দেয়া হয় : ১. অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করবে। ২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে। ৩. মৃত্যুকালে তার এত পিপাসা পাবে যে, তার ইচ্ছা হবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করে নিতে।

কবরে যে ৩টি আজাব দেয়া হয় : ১. তার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে, এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে। ২. তার কবরে দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালিয়ে রাখা হবে। ৩. আল্লাহ তার কবরে একজন আজাবের ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন। তার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে, ‘দুনিয়ায় কেন নামাজ পড় নাই। আজ তার ফল ভোগ কর।’ এই বলে ফজর নামাজ না পড়ার জন্য ফজর হতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাজের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাজের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাজের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাজের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। আর বাকি ৩টি শাস্তি দেয়া হবে রোজ হাশরের দিন কিয়ামতের ময়দানে।

আসুন আমরা নিয়মিত পাঁচওয়াক্ত জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করি। আর মা বোনেরা সময় মত বাড়িতে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করবেন।

তথ্যসূত্র:

http://bn.mtnews24.com/islam/77799/-------

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বিশেষ কিছু ওজর ছাড়া জামাতে শরিক না হওয়া বড় ধরনের গুনাহের কাজ। কেনন কুরআন ও হাদিসে জামাতে শরিকের ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে । কেউ যদি কুরআন ও হাদিসের তাগিদকে গুরুত্ব না দিয়ে একাকি বা বাসায় নামাজ আদায় করে তবে তা কুরআন হাদিস অবহেলা করার দরুন পাপী হতে হবে। 

 

বিস্তারিত জানতে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামায়াতের সহিত নামায আদায়ের বিশেষ ভাবে তাগিদ প্রদান করতেন। তিনি বলেন যারা বিনা কারণে নামাযের জামায়াতে অনুপস্হিত থাকে তাদের ঘর-বাড়ি জালিয়ে ভষ্মিভুত করে দেই। জামায়াতে নামায আদায় করার ফযিলত প্রসঙ্গে কাসীর ইবনু উবায়দ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একা সালাত আদায় করার চেয়ে জামাআতে সালাত আদায় করা পঁচিশ গুন বেশি শ্রেষ্ঠ। (সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ৪৮৬ সংক্ষিপ্ত) আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা এই পাঁচ ওয়াক্তের নামায ঠিকভাবে আযানের সাথে হেফাযত কর। কেননা এই নামায সমূহ হিদায়াতের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য তা ফরয ও হিদায়াতের বাহন হিসেবে নির্ধারিত করেছেন। রাবী বলেন, আমরা তো দেখেছি যে, প্রকাশ্য মুনাফিকরা ব্যতীত জামাআতে কেউই অনুপস্হিত থাকত না। আমরা আরো দেখেছি যে, দুর্বল ও অক্ষম ব্যক্তি দুই জনের উপর ভর করে মসজিদে এসে জামাআতে নামায আদায়ের জন্য কাতারবদ্ধ হত তোমাদের প্রত্যেকের 'সুন্নাত ও নফল' নামায আদায়ের জন্য নিজ নিজ ঘরে নামাযের স্থান আছে যদি তোমরা মসজিদ ত্যাগ করে নিজ নিজ আবাসে ফরয নামায আদায় কর তবে তোমরা তোমাদের নাবীর সুন্নাত ত্যাগকারী হিসেবে বিবেচিত হবে। আর যদি তোমরা তোমাদের নাবীর সুন্নাত পরিহার কর তবে অবশ্যই তোমরা পথভ্রষ্ট হবে। (সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৫৫০) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আযান শুনে বিনা কারণে মসজিদে উপস্হিত হয়ে জামাআতে নামায আদায় করবে না তার অনত্র আদায়কৃত নামায আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না অর্থাৎ তার নামাযকে পরিপূর্ণ নামায হিসেবে গণ্য করা হবে না। সাহাবীরা ওজর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি কেউ ভয়ভীতি ও অসুস্থতার কারণে জামাআতে হাযির হতে অক্ষম হয় তবে তার জন্য বাড়ীতে নামায পড়া দুষণীয় নয়। (আবু দাউদ হাদিস নম্বরঃ ৫৫১) হানাফি মাজহাব মতে, সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ওয়াজিব এর মত-ই আর সুন্নাত ত্যাগকারী গুন্নাহগার হিসেবে বিবেচিত হবে। অতএব এ দ্বারা স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে, পাঁচ ওয়াক্তের নামাযের জন্য জামায়াতে হাযির হওয়া কর্তব্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

১. কুরঅানে অাল্লাহ বলেন,


وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ ارۡکَعُوۡا مَعَ الرّٰکِعِیۡنَ ﴿۴۳

তোমরা নামায কায়িম কর, যাকাত দাও এবং  । (বাকারা ৪৩) 

 وَ ارۡکَعُوۡا مَعَ الرّٰکِعِیۡن দ্বারা বোঝানো হয়েছে,  মসজিদে জামাঅাতের সাথে নামাজ অাদায় কর। (ইবনে কাসীর  ১ম খণ্ড ৮৮ পৃষ্ঠা, মাজহারি ১/৬৩)

২. আবূ হুরায়রা (রা.) 

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ, আমার ইচ্ছা হয়, অামি প্রথমে লোকদেরকে  জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করতে আদেশ দেই, অতঃপর সালাত কায়েমের আদেশ দেই, অতঃপর সালাতের আযান দেয়া হোক, অতঃপর এক ব্যক্তিকে লোকদের ইমামত করার নির্দেশ দেই। অতঃপর আমি লোকদের নিকট যাই এবং তাদের (যারা সালাতে শামিল হয়নি) ঘর জ্বালিয়ে দেই। যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! যদি তাদের কেউ জানত যে, একটি গোশ্‌তহীন মোটা হাড় বা ছাগলের ভালো দু’টি পা পাবে তাহলে অবশ্যই সে ‘ইশা সালাতের জামা’আতেও হাযির হতো। (সহীহুল বুখারি,  হাদিস নং ৬৪৪,  হাদিসটি সহিহ)  

৩. অাব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, অামি অামাদের যুগে দেখেছি, প্রকাশ্য মুনাফিক এবং অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া কেউ জামাঅাত ত্যাগ করত না। এমন কি যদি কোন অসুস্থ ব্যক্তি দুজনের উপর ভর করে হাঁটতে পারত তবে সে জামাঅাতে শরীক হত। (মুসলিম)  

হানাফি মাজহাবের অনেক ফকীহ বলেছেন, জামাঅাতে নামাজ পড়াওয়াজিব। অাবার অনেকে বলেন, জামাঅাতে নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। যাই হোক না কেন, বিনা কারণে জামাঅাত ত্যাগ করা গুণাহের কাজ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ