Habib96

Call

হারাম টাকা থেকে আপনি যেভাবেই উপকৃত হোন না কেন গুনাহ থেকে বাচতে পারবেন না৷ যদি খেয়ে খরচ করেন তাহলে তার মাধ্যমে শরীরের যে অংশ বৃদ্ধি পাবে তা জাহান্নামে যাবে৷ আর কোন জিনিস বানালে তা যতবার ব্যাবহার করবেন ততোবার গুনাহ হতেই থাকবে৷ তদুপরি গুনাহ কে গুনাহ মনে করে করলে শুধু গুনাহই হয়, আর গুনাহ কে গুনাহ না মনে করলে ঈমান নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে৷ অতএব এ ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকা আবশ্যক৷ আপনি হারাম টাকাগুলো সওয়াবের নিয়ত ছাড়া যে কোন দরিদ্র ব্যাক্তিকে দিতে পারবেন৷ আর এক টাকা হারাম খেলে চল্লিশ দিন নামাজ হয় না কথাটি সঠিক নয়৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
হারাম তো হারাম-ই। হারাম টাকা দিয়ে কোন জিনিস বানিয়ে রেখে ব্যবহার করলে যে গুনাহ, খেয়ে দেয়ে খরচ করলে-ও একই গুনাহ। তবে খাবারের ব্যাপারে বেশি গুরুত্বারোপ হয়েছে।

হে মানব মণ্ডলী! পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু- সামগ্রী ভক্ষণ কর। (সূরা বাকারা-১৬৮)

ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দশ দিরহাম দিয়ে কোনো বস্ত্র ক্রয় করে এবং সেই দশ দিরহামের মধ্যে একটি দিরহামও হারাম হয় তবে যতক্ষণ সেই বস্ত্র তার পরিধানে থাকবে, ততক্ষণ তার নামাজ কবুল হবে না।

উপরের বাকারার আয়াতটি তিলাওয়াত করা হল। তখন সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) দাঁড়ালেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ রাসূল! আপনি আমার জন্য দুআ করুন যেন আল্লাহ আমাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া বানিয়ে দেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি।ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সাদ! তুমি তোমার খাবারকে পবিত্র রাখো, তুমি মুস্তাজাবুত দাওয়া হয়ে যাবে। যে সত্তার হাতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রাণ তার কসম! নিশ্চয় কোন বান্দার পেটে যদি হারাম এক লোকমা খাবারও প্রবেশ করে, তাহলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার আমল কবুল হয় না। আর ব্যক্তির যে গোস্ত পিণ্ড হারাম সম্পদ বা সুদের টাকায় বৃদ্ধি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামই উত্তম। (আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৪৯৫, আততারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-২৬৬০)

চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার আমল কবুল হয় না। এটি সহিহ হাদিস নয়, বানোয়াট একটি হাদিস। এটি একেবারেই জাল, মিথ্যা হাদিস।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ