আমার বয়স ১৫+ বছর,আমার বয়স ৯+ থাকতে আমার গ্রোথ স্বাভাবিক ছিলো কিন্তু ১০ বছরের পর থেকে আমার গ্রোথ অনেক কম হচ্ছে এবং আমার হাত আর তেমন পেশিও নেই কেউ আমাকে পাত্তা দেয় না ক্লাসে সবাই আমাকে ছোট ছেলে বলে এটি শুনলে আমার খুব কষ্ট হয় এমন কতিপয় ব্যায়ামের নাম বলুন যা করলে আমার গ্রোথ তাড়াতাড়ি হয় ও হে নিয়মিত দুধ,ডিম খেতে বলিয়েন না আমি গরিব মানুষ ততটুকু সামর্থ্য নেই আশা করি আপনারা এমন ব্যায়ামের নাম বলুন যা করে আমি উপকৃত হবো
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

প্রথমে মনের দিক দিয়ে ফিট হোন। আর তারপর শুরু করুন। আপনি চাইলে দুই হাতে দুইটা ইট নিয়ে হাতের পেশি বাড়ানোর ব্যায়াম করতে পারেন। তার পর উচু কিছুর সাথে আপ ডাওন ব্যায়াম করতে পারেন। আর বোক ডাওন ব্যায়াম ও করবেন এতে করে আপনার দেহ ও মন অনেক ভাল থাকবে। এই কাজ গুলো ফজর নামাজ পরার পর আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে করবেন কিছু দিনের মধ্যাই ভাল ফলাফল পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Porimolray

Call

প্রথম ক্ষেত্রে মানুষের কখন বয়ঃসন্ধি শুরু হয় সেসময় একজন ছেলে বা মেয়ে সবচেয়ে দ্রুত লম্বা হয়।হয়তো আপনার বয়ঃসন্ধি এখনো শুরু হয়নি।আর লম্বা হওয়াটা "সোমাটোট্রপিন" হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে বলে এটাকে নিজে নিয়ন্ত্রন করা যায়না। ফলে ব্যায়াম আর খাদ্য যাই বলুন লাভ নাই তবে এটা বলা একটু ভুলই হবে আপনি যেকোন প্রকার ব্যায়াম করুন যেমন বুকডাউন,গাছে ঝলুবেন,খেলবেন এতে শরীরের কোষ গুলো সতেজ ও কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে ।পাশাপাশি যতটুকু পারেন পুষ্টিকর খাবার খাবেন যেমন আলু বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।দুধ,ডিম খেতে হবে তা কিন্তু না কম দামেরও অনেক খাবার পাবেন ঐগুলা খাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

লম্বা হতে সাত ব্যায়াম:
১. প্রথম ব্যায়ামঃ দেয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে দাঁড়ান। এভাবে দাড়িয়ে নিজেকে দেয়ালের সমান্তরালে সোজা রাখবার চেষ্টা করুন। সেই সাথে চেষ্টা করতে হবে, আপনার শরীরের পেছন দিকটির পায়ের গোড়ালি থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত যেন দেয়াল স্পর্শ করতে পারে। এভাবে দেয়াল স্পর্শ করে সোজা হয়ে স্ট্রেচ করার চেষ্টা করুন। এভারে ৮ থেকে ১০ বার করুন ব্যায়ামটি।
২. দ্বিতীয় ব্যায়ামঃ প্রথম ব্যায়াম শেষ হবার পরে এই পর্যায়ে রিং বা বারের সাহায্যে হাতের ভরে ঝুলে পড়ুন। শরীররের ভার ছেড়ে দিন। পা দুটিকে দুলতে দিন পেন্ডুলামের মত। অনুভব করুন মধ্যাকর্ষণ শক্তি নিজের উপরে। এভাবে ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত ঝুলে থেকে ছেড়ে দিন নিজেকে। আবার একই প্রক্রিয়ায় করুন এই ব্যায়াম। এক সেটে ৮ থেকে ১০ বার করতে পারেন।
৩. তৃতীয় ব্যায়ামঃ এবার আবার রিং ধরুন। তবে এবার ঝুলে থাকতে হবেনা। বরং রিং ধরে নিজেকে উপরে উঠানোর চেষ্টা করুন। এভাবে একবার উপরে উঠতে পারলে তারপর নিজের শরীরের ভার ছেড়ে দিন। ছেড়ে দিয়ে প্রায় ৩ মিনিট পর্যন্ত ঝুলে থাকুন। এভাবে এই ব্যায়ামটি ৬ সেটে শেষ করুন। মনে রাখবেন শুরুতেই ৩ মিনিট ধরে ঝুলবেন না। আপনার শরীর যে পরিমাণ নিতে পারবে সে পরিমাণ করবেন। ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে ৩ মিনিট করুন।
৪. চতুর্থ ব্যায়ামঃ এই পর্যায়ে এসে শুধুমাত্র রিং বা বার ধরে ৩ মিনিট করে ঝুলে থাকুন। এভাবে ৬ বার করুন।
৫. পঞ্চম ব্যায়ামঃ এই পর্যায়ে এসে ব্যায়ামটি একটু কঠিন মনে হবে। এবার আপনাকে রিঙে বা বারে উল্টা হয়ে পায়ের হাঁটুর ভাজের সাহায্যে ঝুলতে হবে। উল্টা হয়ে ঝুলে নিজের শরীর ছেড়ে দিন। হাত দুটিকে ঝুলতে দিন। এভাবে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনতে থাকুন। গোনা শেষ হলে নেমে পড়ুন। এই পর্যায়টি সম্পন্ন করতে কারো সাহায্য নিন। ধীরে ধীরে করার চেষ্টা করুন। একবারে না পারলে জোর খাটাবেন না নিজের প্রতি। ধীরে ধীরে শেখার চেষ্টা করুন। তারপরও আয়ত্তে আনতে না পারলে এই ব্যায়ামটির সব থেকে কাছাকাছি যতটুকু করতে পারবেন তাই করবেন। তাতে কিছুটা হলেও সাহায্য হতে পারে।
৬. ষষ্ঠ ব্যায়ামঃ আপনি যদি এই পর্যায়ে এসে পড়েন তবে আপনার জন্য সুখবর হল, সব থেকে কঠিন পর্যায় পার করে এসেছেন আপনি। এরপরে আর রিং বা বারে ঝুলতে হবেনা আপনাকে। এবার যা করতে হবে তা হল আপনি যেখানে দাড়িয়ে আছেন সেখান থেকে আপনার বাম দিকে দীর্ঘ একটি লাফ দিন প্রথমে। সেই সাথে চেষ্টা করুন ডান পায়ের ভরে অবতরন করতে। অর্থাৎ লাফ দিয়ে নামার সময় ডান পা আগে মাটি স্পর্শ করবে। লাফ দেয়ার সময় চেষ্টা করবেন যত দীর্ঘ সম্ভব তত দীর্ঘ লাফ দিতে।
৭. সপ্তম ব্যায়ামঃ এই পর্যায়ে আমরা আমাদের ব্যায়াম রুটিনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছি। এই পর্যায়ে আপনি আপনার পেটের ভরে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। আপনার শরীর এবং পা থাকবে সোজা এবং টানটান।
হাত দুটোকে তুলে দিন আপনার পেছন দিকে এবং টানটান অবস্থায় রাখুন। এবার এই অবস্থায় থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব বাঁকা করে তুলে ধতে চেষ্টা করুন। আপনার মাথা এবং ঘাড় থাকবে সামনের দিকে সোজা অবস্থায়। এভাবে ৮ থেকে ১০ বার চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেনঃ
এভাবে সপ্তাহে ৩ দিন করে নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এগুলো মূলত স্ট্রেচিং ব্যায়াম যা আপনার শরীরের আড়ষ্টতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। শরীরের আড়ষ্টভাব কেটে গেলে উচ্চতা বাড়তে শুরু করে। তবে এ সবই সম্ভব হবে যদি আপনার বয়স ২৫ এর নিম্নে হয়ে থাকে তবেই। কারণ ২৫ বছর পর্যন্তই কেবলমাত্র আমাদের দৈহিক বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তবে যখনই ব্যায়াম করবেন না কেন আগে কিছু ফ্রি হ্যান্ড বা হাল্কা দৌড়ে শরীর ব্যায়াম করার উপযোগী করে নিতে ভুলবেন না যেন। সূত্র: পি এন এস নিউজ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ