১.. তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে।
[১] তোমাদের মা।
[২] মেয়ে।
[৩] বোন।
[৪] ফুফু।
[৫] খালা।
[৬] ভাইয়ের মেয়ে।
[৭] বোনের মেয়ে।
[৮] দুধমা।
[৯] দুধবোন।
[১০] শাশুড়ি ও তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সংগত হয়েছ তার আগের স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত মেয়ে, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে।
[১১] তবে যদি তাদের সাথে সংগত না হয়ে থাক তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসজাত ছেলের স্ত্রী।
[১২] ও দুই বোনকে একত্র করা, আগে যা হয়েছে, হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (নিসাঃ ২৩)
২.. একজন পুরুষ চারটি বিবাহ করতে পারবে। তবে তা শর্ত সাপেক্ষে, আর যদি তোমরা আশংকা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিয়ে করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে, দুই, তিন বা চার। আর যদি আশংকা কর যে সুবিচার করতে পারবে না তবে একজনকেই বা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকেই গ্রহণ কর। এতে পক্ষপাতিত্ব না করার সম্ভাবনা বেশী। (নিসাঃ ৩)
৩.. বিবাহের মধ্যে ওলি এবং কুফু জরুরি। ওলি ব্যতীত বিবাহ জায়েজ নয়।
আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ওলী ছাড়া বিয়ে হয় না। (সূনান তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১০১)
বিবাহের বর ও কনের সমতা তথা কুফু উত্তম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের নিকট এমন কোন ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এলে, যার চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সাথে তোমাদের মেয়েদের বিবাহ দাও। তোমরা যদি তা না করো, তাহলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ব্যাপক বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ১৯৬৭)
৪.. শরীয়তের দৃষ্টিতে প্রত্যেক নারীর আসল
হক মোহরে মিছল। ঐ নারীর বংশে তার
মতো অন্যান্য নারীদের সাধারণত যে
মোহর নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা তার
মোহরে মিছল। যদি তার নিজের বংশে
তার মতো আর কোনো নারী না থাকে,
তাহলে অন্য বংশে তার সমপর্যায়ের
নারীদের যে মোহর সাধারণত নির্ধারণ
করা হয় সেটাই তার মোহরে মিছল।
শরীয়তের দৃষ্টিতে স্ত্রী মূলত মোহরে
মিছলের হকদার।
বিয়ের মহরানা মেয়েদের অধিকার। তাছাড়া
মহরানা বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত। তবে ইসলাম মহরানার পরিমাণ নির্ধারণ করতে হয় বরের সামর্থ্য অনুযায়ী।