আমি একটা মেয়ের বিবাহের অনুমতি আনতে নিম্নোক্ত কথাগুলি বলেছি,,, অমুক গ্রামের অমুকের ছেলে অমুকের সাথে ৫০০০০ হাজার টাকা মোহরানা ধার্য করিয়া নগদ গহনা বাবদ ১৫০০ টাকা বুঝিয়া পাইয়া তোমাকে বিবাহ দিলাম তুমি রাজি আছো কিনা? এতে সে সম্মতি জানালো তাতে কি অনুমতি হয়েছে বলে বোঝা যাবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

কথাটা কেমন হয়ে গেল! মেয়ের থেকে অনুমতি অানতে গেলেন আবার মেয়েকেই বললেন তোমাকে বিবাহ দিলাম। এক্ষেত্রে ছেলের অনুমতি কোথায়? নাকি আপনি লেখার মধ্যে কোথাও ভূল করেছেন। বিয়েতে মুলত ইজাব আর কবুল হলেই হয়ে যায়! তথাপি বড় বড় মজলিসে বিবাহ এভাবে হয়ে থাকে,,, প্রথমে কেউ একজন মেয়ের থেকে অনুমতি নিয়ে আসে তারপর সে উকিল হয়। তখন সে যদি মেয়ের বাবা হয় বলে "আমার এত নং কন্যা অমুক গ্রাম নিবাসি অমুকের এত নং ছেলে আপনার নিকট এত টাকা মহরের বিনিময় বিবাহ দিলাম। ছেলে কবুল বললে বিবাহ হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এই বিষয়ে জানার জন্য আপনি কাজি অফিসের শরণাপন্ন হোন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি অনুমতি আনতে গিয়ে যে গদ বলেছেন এবং মেয়ে যে সম্মতি দিয়েছে সেটা বিবাহ পড়ানোর কোন পদ্ধতি নয়। সেটাকে অনুমতি গ্রহণ বলা যেতে পারে। এবং উক্ত পদ্ধতিতে এ বিবাহে মেয়ের সম্মতি আছে বলে প্রমাণিত হবে। তবে এভাবে মেয়ের অনুমতি গ্রহণের কোনো বিধান ইসলামে নেই। মেয়ের অনুমতি মেয়ের বাবা বা তার মাহরামগণ গ্রহণ করবেন। এবং সেখানে কোন আনুষ্ঠানিকতা কিংবা গদবাধা কথা বলারও কোনো প্রয়োজন নেই। মূলত বিবাহ পড়ানোর বিশুদ্ধ পদ্ধতি হলো, ছেলে মেয়ের ইজাব কবুল বলা। তাদের কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধির ইজাব বা কবুল বলা। এরপর অন্তত দুজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুজন নারী সাক্ষীর উপস্থিত থাকতে হবে। এগুলো হলো বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যক। শুরুতে খুতবা পাঠ, এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনকে জানানো, শাওয়াল মাসে ও মসজিদে বিবাহ পড়ানো- এগুলো হলো বিবাহের সুন্নাহ পদ্ধতির অন্তর্গত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ