এটি পুরোই নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। যখন আপনার মন সত্যিকারের ইয়াবামুক্ত হতে চায় তাহলে সেদিকে বিশেষ জোর দিন। আপনি যখন প্রতিদিন ইয়াবা সেবন করেন তখন এটি ছাড়া একটু কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। আপনি আজই বলুন, আজই নিজেই নিজেকে বলুন, শুধু আজকের একটা দিনের জন্য ইয়াবা সেবন করব না। শুধু আজকের একটা দিন আপনি কষ্ট করে ইয়াবা সেবন করবেন না। আর আগামীকাল থেকে শুধু এক সপ্তাহ আপনি একাধারে রোজা রাখুন এবং ইবাদতে মশগুল থাকুন। এই 7দিন পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে মা-বাবা ও ভাইবোনের আশেপাশেই থাকুন। বাড়ির বাইরে যাবেন না প্রয়োজনে টিভি, ল্যাপটপ অথবা মোবাইলে সময় দিন। আর একটু বেশি ঘুম যাবেন। এই 7দিন এভাবেই চলবেন। এতে কোন প্রকার কোন একটা নিয়ম ভঙ্গ করবেন না। যারা ইয়াবা সেবন করে তাদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। এবং এই 7 দিন পর এমন একটা জায়গায় আবার 7দিনের জন্য বেড়াতে যান যেখানে আপনার থেকে ইয়াবা অনেক দূরে থাকবে। যেমন: আপনার বাড়ি ঢাকা হলে চট্টগ্রামে বেড়াতে আসুন। আর মোবাইলের ইনকামিং এবং আউটগোয়িং কল বন্ধ রাখুন। শুধু এই 14 দিন কষ্ট করুন, নিশ্চয়ই আপনি ইয়াবা নামক নেশা থেকে মুক্তি পাবেন।
মাদকাসক্তি দূর করার উপায়:
মেডিটেশন
বিভিন্ন সময়ে মেডিটেশন আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি করতে সাহায্য করে। এছাড়া ড্রাগ অ্যাডিকশন ছাড়ার সময়ে মানসিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পায়। তাই মেডিটেশন করে অনেকটা স্বাভাবিক থাকতে পারবেন।
ক্যাফেইন
অনেকেই ক্যাফেইন বা কফিকে ড্রাগ মনে করে থাকেন, কিন্তু এটি অনেক ধরনের নেশা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। কফি পান করতে পারেন।
মাছ
মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় যা মাদকাসক্তি দূর করতে সাহায্য করে।
থানকুনি পাতা
মানসিক স্বাস্থ্য, ইচ্ছা শক্তি ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং মাদকাসক্তি দূর করতে এর জুরি নেই।
ঔষধ
হঠাৎ করে ড্রাগ সেবন করা ছেড়ে দিলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- ইনসোমনিয়া, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, হতাশা ইত্যাদি। এরকম সমস্যা দূর করার জন্য বাজারে কিছু ঔষধ পাওয়া যায়। প্রথম কয় এক দিন এগুলো ব্যবহার করতে পারেন