শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আশুরা উপলক্ষে আলাদা কোন নামাজ পড়তে হয় না। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মহররম মাসের দশ তারিখ দিনটি বার মাসের শ্রেষ্ঠতম ও স্মরণীয় দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ দিনের স্মরণীয় ঘটনা অনেক। এ দিনের ইবাদতও ফজীলতের বর্ণনা করা খুবই সাধ্যাতীত। এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এর বর্ণনা হলো, “যদি কোন ব্যক্তি আশুরার রাতে সোবহে সাদেকের পূর্বক্ষণে বার রাকআত নফল নামায আদায় করবে আল্লাহতা’য়ালা তার সমসত্ম গোনাহ মাফ করে দেবেন। তাকে বহু ছাওয়াব দান করা হবে এবং সে ব্যক্তি বেহেশতের নেয়ামতের পূর্ণ হকদার হবে।” এ নামাজ আদায় করার নিয়ম হলোঃ প্রতি রাকআতে সূরা ফতেহার সাথে একবার আয়াতুল কুরসী ও ৩ বার সূরা ইখলাস পড়তে হবে এবং নামাজ শেষে একশত বার সূরা এখলাস পড়তে হবে। অন্যত্র বর্ণিত আছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আশুরার তারিখে দুই দুই রাকআত করে চার রাকআত নফল নামাজ আদায় করবে এবং নামাজের প্রতি রাকআতে সূরা ফাতেহার সাথে সূরা যিলযাল, সূরা কাফেরুন এবং সূরা এখলাস পাঠ করবে আল্লাহপাক হাসরের মাঠে কঠিন বিপদের সময় তাকে বিপদমুক্ত করবেন।” আরো বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি আশুরার রাতে একশত রাকআত নফল নামাজ আদায় করবে এবং প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতেহার সাথে তিন বার করে সূরা এখলাস ও নামাজ শেষে ৭০ বার কলেমা তামজীদ পাঠ করবে আল্লাহপাক তাকে জীবনের সমসত্ম গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।” এ নামাজের নিয়ম হল, দুই রাকআত একত্রে নিয়ত করতে হবে এবং প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতেহার সাথে ৫০ বার সূরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। রাসুলে পাক (সা.) আরো এরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আশুরার দিন একানত্ম সহানুভূতির সাথে স্বীয় হাত দ্বারা কোন ইয়াতিমের মাথায় হাত বুলায়ে দেয়, মহান আল্লাহতা’য়ালা ঐ ব্যক্তির আমল নামায় উক্ত ইয়াতিমের মাথার চুলের সমপরিমাণ সওয়াব (নেকী) লিখে দিবেন।” মহররম মাসের আশুরার তারিখে নফল নামাজ আদায়ে যেমন অফুরনত্ম সওয়াব রয়েছে, তেমনি এ দিনটিতে এবং আগের দিন ও পরের দিন নফল রোজা রাখলেও তার বিনিময়ে অপরিসীম সওয়াব এবং ফযিলত রয়েছে। নফল রোজা সম্পর্কে এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন, “যে ব্যক্তি মহররম মাসের আশুরার দিন রোজা রাখবে, মহান আল্লাহতা’য়ালা দশ হাজার শহীদের এবং দশ হাজার হাজীর সওয়াব তার আমলনামায় দান করবেন।” অপর এক হাদীসে বলা হয়েছে, হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আশুরার তারিখে রোজা রাখে, মহান আল্লাহ পাক তার আমলনামায় ষাট হাজার বছরের রোজা এবং রাত জেগে ইবাদত করার সমান সওয়াব লিখে দিবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

########মুহার্রাম মাসের সালাত###$$ মুহার্রাম মাসের কোনো দিবসে বা রাত্রে এবং আশুরার দিবসে বা রাত্রে কোনো বিশেষ সালাত আদায়ের কোনো প্রকার নির্দেশনা বা উৎসাহ কোনো হাদীসে বর্ণিত হয় নি। এ বিষয়ক সকল কথাই বানোয়াট। আমাদের দেশে প্রচলিত কোনো কোনো পুস্তকে মুহার্রাম মাসের ১ম তারিখে দুই রাক‘আত সালাত আদায় করে বিশেষ দোয়া পাঠের বিশেষ ফযীলতের বিবরণ দেয়া হয়েছে। এগুলো সবই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ####আশুরার দিনে বা রাতে বিশেষ সালাত#### আশুরার সিয়ামের উৎসাহ দেয়া হলেও, হাদীসে আশুরার দিনে বা রাত্রে কোনো বিশেষ সালাত আদায়ের বিধান দেওয়া হয় নি। তবে জালিয়াতগণ অনেক কথা বানিয়েছে। যেমন, যে ব্যক্তি আশুরার দিবসে যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে ... অথবা আশুরার রাত্রিতে এত রাকআত সালাত অমুক অমুক সূরা এতবার পাঠ করে আদায় করবে ... সে এত পুরস্কার লাভ করবে। সরলপ্রাণ মুসলিমদের মন জয় করার জন্য জালিয়াতগণ এ সকল কথা বানিয়েছে, যা অনেক সময় সরলপ্রাণ আলিম ও বুযুর্গকেও ধোঁকা দিয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ