ওযু করার সময় নাকের নরম অংশে পানি পৌছাতে হয়। আমার এলার্জজনিত সমস্যা থাকার কারণে এতে আমার প্রায়ই ঠান্ডা লেগে যায় এবং প্রচুর হাঁচি হয়। এর কারনে আমি নাকে হালকা পানি প্রবেশ করিয়ে ওযু সমাধা করলে এতে আমার ওযু ঠিকমতো হবে কিনা? ফরজ গোসলের বেলায়ও একইভাবে নাকে পানি দিলে (অর্থাৎ নাকের নরম অংশে পানি না পৌঁছালে) গোসল আদায় হবে কি না?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

ভাই আপনি নাকে পানি ছিটিয়ে না দিয়ে,ডান হাতের তালা দিয়ে পানি নিবেন আর বাম হাতের আংগুল দিয়ে নাকের নরম  অংশে পানি লাগাতে পারেন। এতে ওযু বা ফরজ গোসল আদায় হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

যেহেতু আপনার রোগ তাই আপনি যেভাবে নাকে পানি দিল রোগ না বাড়ে সেভাব দিলেই ফরয গোসল হয়ে যাবে।তবে সুস্থ ব্যাক্তির নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি দিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ওযুর ক্ষেত্রে নাকে পানি দেওয়া ফরজ নয় । সমস্যা থাকলে নাকে পানি না দিলেও হবে । আর ফরজ গোসলের জন্য ফরজ ওযু করতে হয় । যেহেতু ফরজ ওযুতে নাকে পানি দেওয়া ফরজ নয়, অর্থাত নাকে পানি না দিলেও ওযু হবে, সেহেতু ফরজ গোসলও হওয়ার কথা । ওযুর ফরজ ৪ টি । এগুলো না মানলে ওযু হবে না । ধন্যবাদ । সম্পাদনাঃ ইমেল যাচাইকরণ করতে পারছি না বিধায় মন্তব্য করতে পারছি না । কিছু বলার থাকলে বার্তায় বলবেন অনুগ্রহ করে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কুতায়বা (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা পরিপূর্ণরূপে অজু করবে। [সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ১৪২] আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা আবূ হোরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম বলেছেন যখন তোমাদের কেউ অজু করে তখন সে যেন তার নাকের মধ্যে, পানি প্রবেশ করিয়ে তা পরিষ্কার করে। [সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ১৪০] আর অসুস্থ ব্যক্তির অবস্থার বিচার করে তার জন্য ইসলামী শরীয়তে কিছু বিধান নির্দিষ্ট হয়েছেঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন, তিনি তোমাদের জন্য ধর্মে কোন অসুবিধা রাখেননি। (সূরা হাজ্জঃ ৭৮) তিনি আরো বলেনঃ আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজতা চান, তোমরা অসুবিধায় পড় তিনি তা চাননা। (সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫) রোগ বেড়ে যাবে এই আশঙ্কার কারনে বা ভয় করে এহেন পরিস্থিতিতে নাকে হালকা পানি প্রবেশ করিয়ে অজু সমাধা করলেও এতে আপনার অজু গোসল ঠিক মতো হবে। তবে আল্লাহকে সবসময় ভয় করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

শরীয়ত সম্মত ওযুর পদ্ধতি দু’ভাগে বিভক্তঃ প্রথম ভাগ হচ্ছে: ওয়াজিব পদ্ধতি। যা না করলে ওযুই হবে না। আর তা হচ্ছে পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত বিষয় সমূহ। আল্লাহ্‌ বলেনঃ ]يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ[ “হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা ছালাতের ইচ্ছা কর, তখন তোমরা মুখমন্ডল ও হাত দু’টি কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং দু’পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত কর।” (সূরা মায়িদা- ৬)  দ্বিতীয় ভাগ হচ্ছেঃ মুস্তাহাব পদ্ধতি। প্রথমে বিস্‌মিল্লাহ্‌ বলে ওযু শুরু করবেন। দু’হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবেন। তারপর তিন চুল্লু পানি দ্বারা তিনবার কুলি করবে ও নাক ঝাড়বেন।  তিনবার মুখমন্ডল ধৌত করবেন। এরপর দু’হাত কনুইসহ তিন বার করে ধৌত করবেন। প্রথমে ডান হাত তারপর বাম হাত। একবার মাথা মসেহ করবেন। এরপর কান মাসেহ করবেন। সব শেষে দু’পা টাখনুসহ তিনবার করে ধৌত করবেন। প্রথমে ডান পা তারপর বাম পা।  এখন আপনার সমাধান হল: শরীরের অসুবিধার জন্য "নাকে " পানি না দিলে ওজুর কোন সমস্যা নাই। যেহেতু আপনি  ফরজ আদায় করেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

যেহেতু আপনার এলার্জি জনিত সমস্যা তাই আপনার ওযুর সময় নাকে শুদ্ধরুপে পানি না পৌছালেও চলবে কারণ নাকে পানি দেওয়া ওযুর ফরজ না তবে আপনাকে গোসলের সময় সতর্ক থাকতে হবে । যেহেতু নাকে পানি দেওয়া গোসলের ফরজগুলোর মধ্যে একটি সেজন্য গোসলের সময় নাকে পানি শুদ্ধরুপে দিতে হবে । ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ