১- رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ ﴿২৩﴾
(১) হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আমাদের নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন, তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ব।[1]
২- رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا ﴿২৮﴾
(২) হে আমার প্রতিপালক! আপনি ক্ষমা করুন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং যারা মুমিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে, আর জালিমদের শুধু ধবংসই বৃদ্ধি করুন।[2]
৩- رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ ﴿৪০﴾ رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ ﴿৪১﴾
(৩) হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামাজ কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও; হে আমাদের প্রতিপালক! আমার দোয়া কবুল কর। (৪০) হে আমার প্রতিপালক! যেদিন হিসাব হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মু‘মিনদেরকে ক্ষমা করুন। (৪১)[3]
৪- رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ ﴿৮৩﴾ وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآَخِرِينَ ﴿৮৪﴾ وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ ﴿৮৫﴾ وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ ﴿৮৭﴾
(৪) হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান দান করুন এবং সৎকর্মপরায়ণদের সাথে আমাকে মিলিয়ে দিন (৮৩) আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে যশস্বী (বিখ্যাত) করুন। (৮৪) এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন! (৮৫) এবং আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না পুনরুত্থান দিবসে। (৮৭)[4]
৫- رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ ﴿৪﴾
(৫) হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তো আপনারই উপর নির্ভর করছি, আপনারই অভীমুখী হয়েছি এবং প্রত্যাবর্তন তো আপনারই নিকট। (৪)[5]
৬- رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ﴿৫﴾
(৬) হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে কাফেরদের পীড়নের পাত্র করবেন না, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন! আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।[6]
৭- رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي ﴿২৫﴾ وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي ﴿২৬﴾ وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي ﴿২৭﴾ يَفْقَهُوا قَوْلِي ﴿২৮﴾
(৭) হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন। (২৫) এবং আমার কর্ম সহজ করে দিন। (২৬) আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন। (২৭) যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। (২৮)[7]
৮- رَبَّنَا آَمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ﴿৫৩﴾
(৮) হে আমার প্রভু! আপনি যা অবতীর্ণ করেছেন, আমরা তা বিশ্বাস করি এবং আমরা রাসূলের অনুসরণ করছি; অতএব সাক্ষীগণের সাথে আমাদেরকে লিপিবদ্ধ করুন।[8]
৯- رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ ﴿৮৫﴾ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ﴿৮৬﴾
(৯) হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এই জালিমদের লক্ষ্যস্থল বানাবেন না। (৮৫) আমাদেরকে তোমার নিজ রহমতে এই কাফেরদের (কবল) হতে মুক্তি দিন।[9]
১০- رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ﴿১৪৭﴾
(১০) হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্যে আমাদের অপরাধ ও আমাদের অপচয়সমূহ ক্ষমা করুন ও আমাদের চরণসমূহ সুদৃঢ় করুন এবং অবিশ্বাসীদের উপর আমাদেরকে সাহায্য করুন।[10]
১১- رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ ﴿১১৮﴾
(১১) হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা কর ও দয়া কর, তুমিই তো সর্বশ্রে ‘দয়ালু। (১১৮)[11]
১২- رَبَّنَا آَتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿২০১﴾
(১২) হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখেরাতে কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নির শাস্তি হতে রক্ষা।[12]
১৩- رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ﴿২৮৬﴾
(১৩) হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে তুমি আমাদেরকে পাকড়াও করনা। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীগণের যেমন গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করনা। হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ حَيٌّ لاَ يَمُوتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মারেন। আর তিনি চিরঞ্জীব, মারা যাবেন না। সকল প্রকার কল্যাণ তাঁর হাতে নিহিত। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু লাহুল-মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহঈ ওয়াইয়ুমীতু ওয়াহুয়া হায়্যুন লা ইয়ামূতু বিয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর
তিরমিযী, নং ৩৪২৮; ইবন মাজাহ, ৫/২৯১, নং ৩৮৬০; হাকেম ১/৫৩৮। আর শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ ইবন মাজাহ্ ২/২১; সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫২ হাসান হাদীস বলেছেন।