দেখুন, তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা একটি ইবাদাত। তদ্রূপ দীনী আলোচনা শোনাও একটি ইবাদাত। আপনাকে এমনভাবে ইবাদাত করতে হবে যাতে দুটোর সাথে সংঘর্ষ না লেগে যায়। দু ইবাদাতে সংঘর্ষ হলে দেখা যায় ইবাদাতের মনোযোগ নষ্ট হয়। তাই খতীব সাহেবের আলোচনা চলাকালীন তাহিয়্যাতুল মসজিদ না পড়াই শ্রেয়। কারণ এতে মসজিদের ইবাদতগত স্বাভাবিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তবে যদি আপনি দূরত্ব বজায় রেখে কোনো কর্ণারে গিয়ে তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করেন যেখান থেকে আপনার নামাজের মনোযোগ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম তাহলে কোনো সমস্যা নেই। সারকথা, আলোচনা চলাকালীন তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা যায়, কিন্তু উত্তম নয়। ফিকহের গ্রন্থগুলোতে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট আলোচনা আছে।
জুমার দিনে ইমাম সাহেব বয়ান বা খুতবা দিচ্ছেন এই অবস্থায় যদি কেউ মসজিদে আসে তবে ঐ ব্যক্তির জন্য দুই রাকায়াত ''তাহিয়্যাতুল মসজিদ'' সালাত আদায় করার হুকুম আছে। এতে তার পাপের কাজ হবেনা। বরং সে সওয়াব পাবে।
কুতায়বা (রহঃ) জাবির ইবনু আবদিল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ একবার জুমুআর দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে এসে উপস্থিত হলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি কি ''তাহিয়্যাতুল মসজিদের'' দুই রাকায়াত সালাত আদায় করেছ? সে বলল, না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ উঠ এবং সালাত আদায় কর।
[সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ৫১০]
[সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ১১১২]