দেখুন, নারী পুরুষের মধ্য হতে যার জন্য যেটা কল্যাণকর আল্লাহ তাকে সেভাবেই সৃষ্টি করেছেন। একজন নারীর জন্য নারী হওয়া কল্যাণকর ছিলো বলেই তাকে নারী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। একজন পুরুষের জন্য পুরুষ হওয়া কল্যাণকর বলেই তাকে পুরুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এখন একজন নারী পুরুষ হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করা মানে নিজর জন্য অকল্যাণের দুআ করা। আল্লাহ তো বান্দার অকল্যাণ চান না। সুতরাং তার এ অকল্যাণকর দুআ তো তিনি কবুল করতে পারেন না। আল্লাহর নিকট যা চাওয়া হয় তা দেন ঠিক। কিন্তু আল্লাহ বান্দাকে তাই দেন যা তার জন্য কল্যাণকর। যেমন ধরুন কেউ পাখীর বাহ্যিক সুখ স্বাধীনতা দেখে পাখী হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট পাখী হওয়ার দুআ করলো। আল্লাহ কি এটা কবুল করবেন ? আল্লাহর স্বাভাবিক নিয়ম হলো তিনি তার দুআ কবুল করবেন না। ব্যতিক্রমভাবে যদি কারো ব্যতিক্রমী দুআ কবুল করে থাকেন সেটা ভিন্ন বিষয়। সারকথা কোনো নারী পুরুষ হওয়ার দুআ করলে আল্লাহ স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে তার দুআ কবুল করবেন না।