দেখেন আপনি যখন ইমামতি করতে যাবেন তখন কিন্তু আপনি অনুধাবন করবেন যে আপনি ইমাম হয়ে নামাজ পড়াবেন।আর মনে মনে সংকল্প কে নিয়ত বলে। তবে একটি নিয়ত করা হয়ে থাকে। সেটি নাউআইতুন.......................ইমাম হলে বলবে আনা ইমামুল লিমান হাদারা ওয়া মাই ইয়াহদুরু,মুসল্লি উক্ত যায়গায় বলবে ইক্তাদাইতু বিহাযাল ইমাম.............কাবাতিশ শারিফাতি আল্লহু আকবার।
নিয়ত তো আছে। তবে সেটা মনের সাথে সংশ্লিষ্ট; মুখের সাথে নয়। কারণ নিয়ত শব্দের অর্থ হলো, মনের সংকল্প। সুতরাং 'আমি ইমাম হয়ে মুসল্লীদেরকে নিয়ে নির্দিষ্ট নামাজ পড়ছি।' মনের ভিতরে এতটুকু বিষয় থাকলেই নিয়ত হয়ে গেলো। এর জন্য কোনো শব্দ উচ্চারণের প্রয়োজন নেই। বরং আরবী বা বাংলায় নিয়ত করার বিষয়টিকে যদি গুরুত্ব দেয়া হয় তাহলে সেটা বিদাত হয়ে যাবে।
নিয়ত হলো মনের সংকল্প। উদাহরণ, আমি আগামি বছর হজে যাব মনের ভেতর যে অগ্রিম একটা সংকল্প করলেন এটাই নিয়ত। বা আপনি বাড়ি থেকে মসজিদে আসলেন নামাজ পড়া বা পড়ানোর জন্য এটাই নিয়ত। যা মুখে বলা জরুরী নয়।
আল্লাহর বানীঃ তোমাদের মনে যা আছে তা যদি তোমরা গোপন রাখ কিংবা প্রকাশ কর, আল্লাহ তা অবগত আছেন। (সূরা আলে ইমরান আয়াত ২৯)
ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল।