শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

অবশ্যই কবীরাহ গোনাহ সমূহের মধ্য থেকে একটি কবীরাহ গোনাহ হবে। আর, গোনাহ সমূহের যেহেতু পরিমাণ নির্ধারিত নেই। তাই, গোনাহ কতটুকু হবে?, তা বলা যাবে না। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিয়ের আগে যৌনাচার সকল ধর্ম ও সমাজের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ। মনুষ্য সমাজেও তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইসলাম এ বিষয়ে কঠোর শাস্তির কথা বলে থাকে। 


কুরআনে রয়েছে-

“এবং অবৈধ যৌন সম্ভোগের নিকটে যেওনা। নিশ্চয় সেটা অশ্লীলতা এবং অত্যন্ত নিকৃষ্ট পথ”। (সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত-৩২)


“যে নারী ব্যভিচারিনী হয় এবং যে পুরুষ হয় ব্যভিচারী তবে তাদের প্রত্যেককে একশত বেত্রাঘাত করো এবং তোমাদের যেন তাদের প্রতি দয়া না আসে আল্লাহর দ্বীনে যদি তোমরা ঈমান এনে থাকো আল্লাহ ও শেষ দিবসের উপর এবং উচিত যে, তাদের শাস্তির সময় মুসলামানদের একটা দল উপস্থিত থাকবে।” (সূরা আন নূর, আয়াত ২)


বি.দ্র. এ শাস্তি ইসলামী রাষ্ট্রে কার্যকর করা যাবে। অন্য রাষ্ট্রে নয়। ইসলামী আদালতই বাস্তবায়ন করবে সাধারণ মানুষ নয়।




উপরে বর্ণিত শাস্তি পার্থিব জীবনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আর যিনাকারী ব্যক্তি যদি তওবাবিহীন মারা যায়, তাহলে পরকালে তাকে মর্মন্তুদ বেদনাদায়ক শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

১। হযরতে সায়্যিদুনা সামুরাহ বিন জুনদুব  رضى الله عنه হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রহমতে আলম  নামায পড়ানোর পর আমাদের অভিমূখী হয়ে বললেন, আজ রাত আমি স্বপ্ন যোগে দেখলাম, আমার নিকট দু’জন ব্যক্তি আসল এবং আমাকে এক পবিত্র ভূমির দিকে নিয়ে গেল। আমরা তন্দুরের ন্যায় একটি গর্তের নিকট গিয়ে পৌঁছলাম, যার উপরের অংশ ছিল সংকীর্ণ এবং নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত। উহাতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল এবং সে আগুনে কিছু পুরুষ ও মহিলা উলঙ্গাবস্থায় অবস্থান করছিল। যখন আগুনের শিখা বৃদ্ধ পায় তখন তারা উপরের দিকে চলে যায়, আর যখন আগুনের শিখা হ্রাস পায়, তখন শিখার সাথে সাথে তারাও নিচের দিকে নেমে আসে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? সে দু’জন ব্যক্তি বলল, এরা হল যিনাকারী নর-নারী। (বুখারী, ১ম খন্ড, হাদীস নং-১৩৮৬)

২। আল্লামা শামশুদ্দিন যাহবী رحمة الله عليه বর্ণনা করেন, যাবুর শরীফে উল্লেখ আছে, নিশ্চয়ই যিনাকারীদেরকে লজ্জাস্থানে বেঁধে আগুনে ঝুলিয়ে রাখা হবে এবং তাদেরকে লোহার হাতুড়ী দিয়ে প্রহার করা হবে, যখন তারা প্রহারে যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে ফরিয়াদ করবে, তখন আযাবের দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতারা বলবে, তোমাদের এ ফরিয়াদ তখন কোথায় ছিল, যখন তোমরা আনন্দ আহলাদে মত্ত ছিলে। ভোগ সম্ভোগে বিহ্বল ছিলে, এবং তোমাদের পুরুষাঙ্গ যৌনাঙ্গে ঢুকিয়েছিলে। তখন তোমরা তো আল্লাহকে ভয়ও করনি এবং তাঁকে লজ্জাও করনি। (কিতাবুল কবায়ের পৃ.৫৫)


৩। হযরতে সায়্যিদুনা মাকহুল দামেস্কী তাবেয়ী বর্ণনা করেন, দোযখীদের তীব্র দুর্গন্ধ অনুভূত হবে তখন তারা বলবে, আমরাতো এর চেয়ে তীব্র দুর্গন্ধ আর কখনো অনুভব করিনি। তখন তাদেরকে বলা হবে, ইহা যিনাকারীদের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ। (কিতাবুল কবায়ের, পৃ.৫৭)


৪। বর্ণিত আছে যে, বর্ণিত আছে যে জাহান্নামে এমন একটি উপত্যকা রয়েছে যা সাপ বিচ্ছুতে পরিপূর্ণ। সেখানকার প্রতিটি বিচ্ছু খচ্ছরের সমান মোটা এবং প্রতিটি বিচ্ছুর সত্তরটি হুল রয়েছে, আর প্রতিটি হুলে একটি একটি বিষের থলে রয়েছে। এ বিচ্ছুগুলো যিনাকারীকে দংশন করতে থাকবে এবং তার শরীরে বিষ ছড়িয়ে দিবে। যিনাকারী এক বৎসর পর্যন্ত সে দংশনের ব্যথার কষ্ট অনুভব করতে থাকবে। অতঃপর তার গোশত পঁচে হলুদ রঙের হয়ে যাবে। এবং তার লজ্জাস্থান হতে পুঁজ ও হলুদ রঙের পানি প্রবাহিত হতে থাকবে। (কিতাবুল কবায়ের, পৃ.৫৯)


৫। কিতাবুল কবায়ের এ উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি এমন কোন মহিলাকে কামোত্তেজনার সাথে স্পর্শ করবে যে মহিলা তার জন্য হালাল নয়, সে কিয়ামত দিবসে এ অবস্থায় উত্থিত হবে যে তার হাত সে মহিলার ঘাড়ের সাথে সংযুক্ত থাকবে। আর যদি সে ঐ মহিলাকে চুম্বন দিয়ে থাকে, তাহলে তার ওষ্ঠদ্বয়কে আগুনের কাঁচি দ্বারা কর্তন করা হবে। আর যদি সে ঐ মহিলার সাথে যিনা করে থাকে, তাহলে তার উরুদ্বয় কিয়ামত দিবসে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং বলবে, আমরা হারাম কাজের জন্য সাওয়ার হয়েছিলাম। ইহা শুনে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি গযবের দৃষ্টিতে দেখবেন। তখন তার চেহারার গোশত ঝরে পড়বে। সে ব্যক্তি তার যিনার কথা অস্বীকার করে বলবে, আমিতো যিনা করিনি, কিন্তু তার জবান তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে বলবে, আমি সে মহিলার সাথে কতা বলেছিলাম, যে আমার জন্য হালাল ছিল না, তার হাত বলবে, আমরা হারামের দিকে প্রসারিত হয়েছিলাম, তার চক্ষুদ্বয় বলবে, আমরা হারামের প্রতি দৃষ্টিপাত করেছিলাম, তার পদযুগল বলবে, আমরা হারামের দিকে গিয়েছিলাম, তার লজ্জাস্থান বলবে, আমি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিলাম। আমলনামা ফিরিশতাদের একজন বলবে, আমি শ্রবণ করেছিলাম এবং অপরজন বলবে আমি লিখেছিলাম। আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমি তার কাজ দেখেছিলাম এবং আমি তা গোপন রেখেছিলাম। অতঃপর তিনি বলবেন, হে আমার ফিরিশতারা! তাকে পাকড়াও করো এবং তাকে আমার শাস্তি প্রদান করো। নিঃসন্দেহে তার উপর আমার শাস্তি খু্বই কঠোর যে আমাকে লজ্জা ও হায়া করে না। (কিতাবুল কবায়ের, পৃ.৫৯)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

যেনা কারীর যে গুনা হয় বিয়ের আগে

এই বাজে কাজ করলে যিনা কারীর
গুনাহ হবে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ