লিঙ্গ কে হাতের মুঠোয় নিয়ে সামনে ও পিছনে সজোরে সঞ্চালন করা।
সেই সঙ্গে লিঙ্গকে মাঝখানে রেখে উরূদুটি সামনে ও পিছনে রগরানো । কখনো বালিশে, গোটানো বেডশিটে, তোশকে বা এ জাতীয় কোন বস্তুতে, তীব্র জলের ধারায় হাত দিয়ে লিঙ্গ কে সামনে পিছনে সঞ্চালন করে বীর্যপাত ঘটানো কে হস্তমৈথুন বলে।
***হস্তমৈথুন প্রধান সমস্যা হলো
দ্রুত বীর্যপাত খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়। নিয়মিত পর্ন দেখে হস্তমৈথুন করা অব্যাহত রাখলে পরে স্ত্রীর কাছে গেলেও পেনিস দাড়াবেনা, পর্নের সাহায্য লাগতে পারে, মানুষ অভ্যাসের দাস।
*বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না।।**
*অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।
**চোখের ক্ষতি হয় স্মরণ শক্তি কমে যায়।
আরেকটি সমস্যা হল Leakage of semen।অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া।
*শারীরিক ব্যথা কোমর এবং মাথা ঘোরা।
**যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া।
**শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন
**হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন এবং চোখে ঘোলা দেখতে পারেন।
আল্লাহ তা’আলার দেয়া এ সুন্দর যৌবনকালটাকে ক্ষয় করার জন্য যে ব্যক্তি তার স্বীয় লিঙ্গের পিছনে লেগে যায় এবং নিজ হাত দিয়ে এটা চর্চা করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তার এ হাত পরকালে সাক্ষী দেবে যে, সে এ পাপ কোথায় কতবার করেছে- যা পবিত্র কালামে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “সেই দিন আমি তাদের মুখের উপর মোহর মেরে দেব, বরং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে, আর তাদের পা সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত সে-সন্বন্ধে। ” -(আল- কুরআন, ৩৬:৬৫)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ “ যে ব্যক্তি স্বীয় জিহ্বা এবং লজ্জাস্থান জামিন হবে আমি তার জাহান্নামের জন্যে জামিন হবো।” -(বুখারি, মিশকাত) উক্ত হাদিস থেকে প্রমানিত হচ্ছে, মানব দেহের এ দু’টো অঙ্গ অত্যন্ত দুর্বল ও বিপদজনক। এ দু’টো অঙ্গের মাধ্যমে বিশেষ করে লজ্জাস্থানের মাধ্যমে পাপ করাতে শয়তানের জন্য খুব সুবিধা। এ দু’টো অঙ্গের মাধ্যমে বেশীরভাগ পাপ হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি এ দু’টো অঙ্গের হেফাজত করে, বিশেষ করে যুবক অবস্iউমi লিঙ্গের হেফাজত করে অবয়িদ কোন প্রকারেই বীর্যপাত ঘটাতে চেষ্টা না করে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশের বিরাট সুযোগ পেয়ে যাবে। অন্যত্র সহীহ হাদীস থেকে আরও প্রমানিত হয়ঃ “(একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যুবকদের লক্ষ্য করে বলেন) হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখে, তাদের বিবাহ করা উচিত। কেননা বিবাহ দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর যে বিবাহের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখে না, তার উচিত (কামভাব দমনের জন্য) রোযা রাখা।” -(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেনঃ “তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তা’আলা নিজের দায়িত্ব মনে করেন। (১) ঐ খতদাতা ব্যক্তি, যে তার খতের মূল্য পরিশোধের চেষ্টা করে। (২) সে বিবাহিত যুবক, যে চরিত্রের হিফাজতের উদ্দেশে বিবাহ করে। (৩) সে মুজাহিদ, যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।” -(হাসানঃ আত-তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত) হস্তমৈথুন এমনই একটি কাজ যার অর্থ নিজেকে কলুষিত করা। এটা একটা জঘন্য কলুষ বা পাপ বোধযুক্ত কাজ। হস্তমৈথুন এমনই গোপনীইয় পাপ যা মানুষ চোরের মত চুপিসারে করে এবং প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেনঃ “উত্তম চরিত্র হল পু্ন্য। আর যে কাজ তোমার মনে খটকা সৃষ্টি করে এবং লোকের কাছে প্রকাশ হওয়াকে তুমি পছন্দ কর না, তা হল পাপ।” -(মুসলিম, মিশকাত) অশালীন, অশোভনীয় ও অন্যায় কাজে মনে সঙ্কোচবোধ করার নাম হলো লজ্জা বা হায়া। যার লজ্জা নেই সে পারে হস্তমৈথুনে লিপ্ত হতে। লজ্জা বা হায়া সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ “লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে আনে । ” – [বুখারী ও মুসলিম] মুসলিমের এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ “লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়।
=>নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগান।
=>ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন।
=>নিজেকে বুঝাান, এটি ক্ষতিকর
=>যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।
=>যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন।
=>ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে।
=>হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।
=>সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।
=>ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
=>বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে দরজা খোলা রেখে তোয়ালে জড়িয়ে গোসল করুন, এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।
=>যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।
১২_১৩ বছর বয়সে হস্তমৈথুন করলে তার শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হবে| যেসব সমস্যা হবে: ১|শারীরিক ২|মানসিক এই দুটি প্রধান সমস্যা হবে| ৩|লিঙ্গ দুর্বল ও বাকা হবে| ৪|মাথা ব্যথা ৫|অকাল বাধ্ক্য| ৬|চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে| ৭|স্মরন শক্তি কমে যাবে| তাছাড়া আরো 21 টি সমস্যা হবে| তাছাড়া ইসলাম এটিকে সর্মথন করে না| তাই আপনি হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকুন ধন্যবাদ|
আপনার মারাত্মকধরণের ক্ষতি হতে পারে। যেমনঃ
স্বমেহন বর্তমানে একটি বড় সমস্যা। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম এবং কবীরা গুনাহ। শরীয়ত অনুযায়ী যারা হস্তমৈথুন করে তারা সীমালংগনকারী। হস্তমৈথুনের কারণে দুই ধরনের সমস্যা হয়--- (১)মানসিক সমস্যা। (২)শারীরিক সমস্যা। আমি পর্ব-০১ এ শারীরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব। পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে তার মধ্যে একটি হল নপুংসকতা (Impotence)। [১]। অর্থাৎ ব্যক্তি যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়। পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক (Impotent)হয়ে যায়। আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত (Premature Ejaculation)। অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে।ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না। [২]। আরো একটি সমস্যা হল emporary Oligospermia। [৩] ।Oligospermia হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়।তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম।[২ কোটি]। যার ফলে Male infertility দেখা দেয়।অর্থাৎ সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয়। একজন পুরুষ যখন স্ত্রী গমন করেন তখন তার থেকে যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত।স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয় না। [৪]।অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়। Dr.Liu বলেন-- "There is a huge change in body chemistry when one masturbates excessively" [৫] আর শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয়-- [১]Nervous system,heart,digestive system,urinary system এবং আরো অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীররোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায়। [২]চোখের ক্ষতি হয়। [৩]স্মরণ শক্তি কমে যায়। [৪]মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে। [৫] আরেকটি সমস্যা হল Leakage of semen। অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয়।ফলে অনেক মুসলিম ভাই নামায পড়তে পারেন না।মহান আল্লাহ্ তা'আলার স্মরণ থেকে মুসলিমদের দূরে রাখে হস্তমৈথুন। আর কোন নারী যখন স্বমেহনবা হস্তমৈথুন করে তখন তার Hymen(fold of mucous membrane partly closing the vagina in a virgin) break হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অর্থাৎ তার কুমারীত্ব (Virginity)হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকে স্বমেহন করতে গিয়ে কুমারীত্ব হারিয়ে ফেলে। ফলে তার বিয়ে করতে সমস্যা হয়।বিয়ের পর স্বামী তার এ অবস্থা দেখে তাকে সন্দেহ করে তালাক দেয়। তাই হস্তমৈথুন নারীদের অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করে।[আরো অনেক সমস্যা আছে বিস্তারিত আলোচনা করলাম না।] এখন একটু ভিন্ন প্রসংগে আসি। মিসরীয় ফারাওদের আনুষ্ঠানিকভাবে নীল নদে হস্তমৈথুন করতে হত। এখন আধুনিক ফারাওদের কথা বলি, ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যের মানুষের মাঝে করা একটি জরিপে দেখা যায়১৬ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে ৯৫% পুরুষ ও ৭১% নারী তাদের জীবনের যে কোন সময়ে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছে।২০০৯ সালে নেদারল্যান্ড অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে সাথে যুক্তরাজ্যেও বয়সন্ধিকালীন ছেলে- মেয়েদের হস্তমৈথুন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়। হস্তমৈথুন একটি ভাল অভ্যাস বলে তারা প্রচার করছে। কারণ?কারণ হল ব্যবসা। হস্তমৈথুনের সাথে পর্ণোগ্রাফির খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।জুতার সাথে মোজার,চায়ের সাথে বিস্কুটের,কাগজের সাথে কলমের যে রকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হস্তমৈথুনের সাথে পর্ণোগ্রাফিরও সেরকমই সম্পর্ক।পর্ণোগ্রাফির ব্যবসা হল কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। পশ্চিমারা যদি হস্তমৈথুনের অপকারিতা মানুষের কাছে তুলে ধরে তাহলে তাদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসার ক্ষতি হবে।কারণ তখন হস্তমৈথুনের হার কমে যাবে। পর্ণো সিডি,ম্যাগাজিন,Sex Toy, Sex Doll,এর বিক্রি ব্যাপকভাবে কমবে। এজন্য তারা হস্তমৈথুনের কোন অপকারিতা নেই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা সমকামিতা বৈধ করেছে। সমকামিতার মত হস্তমৈথুনের অপকারিতাকেও তারা এড়িয়ে চলছে। যাই হোক,আমার মুসলিম ভাই-বোনেরা হস্তমৈথুন নামের এই যৌন বিকৃতি থেকে দূরে থাকুন।মহান আল্লাহ্ তা'আলাকে ভয় করুন।আপনার বন্ধু- বান্ধবীদের এই ব্যাপারে সচেতন করুন।এই ব্যাপারে আলোচনা করুন। এই সামাজিক সমস্যা দূর করুন। সব শেষে একটি হাদীস শেয়ার করছি। রসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন-- "যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের ননিশ্চয়তা দিব।"(বুখারী ও মুসলিম)