শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
রুপ

Call

মহিলাদের জন্য ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে জামাতে নামায পড়া মাকরূহ। তবে যদি নামায পড়লে তা আদায় হয়ে যাবে। নারীদের আসল স্থান হল তাদের বসবাসের ঘর। নারীদের মসজিদে এসে নামায পড়া রাসূল সাঃ পছন্দ করতেন না। তবে যেহেতু রাসূল সাঃ সবার নবী। আর রাসূল সাঃ এর কাছে ওহী নাজিল হতো। তাই নারীরা রাসূল সাঃ এর জমানায় ওহীর বানী শুনার জন্য মসজিদে আসতো। এটি ছিল শুধুই প্রয়োজনের তাগিতে। যে প্রয়োজন রাসূল সাঃ ইন্তেকালের দ্বারা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় দ্বীন শিখা প্রতিটি নর-নারীর জন্য আবশ্যক। রাসূল সাঃ ছিলেন সেই দ্বীনের বাহক। তাই রাসূল সাঃ এর সময়ে যেহেতু সময়ে সময়ে দ্বীনের বিধান অবতীর্ণ হতো, তাই পুরুষ সাহাবীদের সাথে মহিলা সাহাবীরাও রাসূল সাঃ এর দরবারে এসে সেই দ্বীন শিখতে চেষ্টা করতেন। সেখানে পুরুষ নারী এক সাথে হওয়ার কারনে কোন ফিতনার আশংকা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সেই আশংকা ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করেছে। তাই ফুক্বাহায়ে কেরাম নারীদের ঈদগাহে ও মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে নিষেধ করেন। এটা না জায়েজ নয়, তবে মাকরূহ। সেই সাথে ইসলামের মূল স্পিরিটের বিপরীত পদ্ধতি। কারণ ইসলামের মূল থিউরী হল নারীরা থাকবে বাড়িকে সৌন্দর্য মন্ডিত করে। রাস্তাঘাটে অবাধে বিচরণ এটা তাদের কাজ নয়। নিম্নের হাদীসগুলো দেখেন। আব্দুল্লাহ বিন সুয়াইদ আল আনসারী রাঃ তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু হুমাইদ আস সায়িদী এর স্ত্রী রাসূল সাঃ এর কাছে এসে  বললেনহে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় আমি আপনার সাথে নামায পড়তে পছন্দ করি। তখন নবীজী সাঃ বললেন-আমি জেনেছি যে, তুমি আমার সাথে নামায পড়তে পছন্দ কর।  অথচ তোমার একান্ত রুমে নামায পড়া উত্তম তোমার জন্য তোমার বসবাসের গৃহে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার বসবাসের গৃহে নামায পড়া উত্তম তোমার বাড়িতে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার বাড়িতে নামায পড়া উত্তম তোমার এলাকার মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার এলাকার মসজিদে নামায পড়া উত্তম আমার মসজিদে [মসজিদে নববীতে] নামায পড়ার চেয়ে।  তারপর তিনি আদেশ দিলেন তার গৃহের কোণে একটি রুম বানাতে। আর সেটিকে অন্ধকারচ্ছন্ন করে ফেললেন। তারপর সেখানেই তিনি নামায পড়তেন মৃত্যু পর্যন্ত। সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৬৮৯, ইলাউস সুনান-৩/২৬। এ হাদীস কি প্রমাণ করছে? মহিলারা মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে নামায পড়বে এ নির্দেশ কার? যদি রাসূল সাঃ নারীদের মসজিদে আসাকে অপছন্দ করে থাকেন, তাহলে সেখানে আমি কে যে, তাদের মসজিদে আসা/ঈদগাহে আসা পছন্দ করবো? আরেকটি হাদীস দেখি হযরত আবু আমর বিন শায়বানী থেকে বর্ণিত। তিনি দেখেছেন-হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ মহিলাদের মসজিদে থেকে বের করে দিতেন। আর বলতেন যে, মসজিদের চেয়ে তোমাদের জন্য ঘরই উত্তম। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৫২০১, মুসান্নাফে ইবনুল জি’দ, হাদীস নং-৪২৯ সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৫৪৪১ আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-৯৪৭৫। ভাল করে খেয়াল করুন। আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ অপছন্দ করেন, আমরাও তা অপছন্দ করি। যে বঞ্চনা রাসূল সাঃ এর প্রিয় সাহাবীর আমল। সেটি আমাদের গলার মালা। যদিও সেটি সাহাবা বিদ্বেষীদের অপছন্দ হয়ে থাকে। হযরত আমরাতা বিনতে আবদির রহমান বলেন-রাসূল সাঃ এর সহধর্মীনী হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন-যদি রাসূলুল্লাহ সাঃ মহিলাদের এখনকার অবস্থা জানতেন, তারা কি করে? তাহলে তাদের মসজিদে আসতে নিষেধ করতেন যেভাবে বনী ইসরাঈলের মহিলাদের নিষেধ করা হয়েছে। ইয়াহইয়া বলেন-আমি আমরাতাকে বললাম-বনী ইসরাঈলের মহিলাদের কি মসজিদে আসতে নিষেধ করা হয়েছে? তিনি বললেন-হ্যাঁ। সহিহ মুসলিম -১/১৮৩, হাদীস নং-১০২৭ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫৬৯ মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৫৯৮২ মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-২৫৯ সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৫৪০ এবার ভেবে দেখুন-রাসূল সাঃ এর তিরোধানের পর মুসলিম নারীরা এমন কি পোশাক পড়তেন, যার কারনে আম্মাজান হযরত আয়শা রাঃ একথা বলেছেন? আর বর্তমান নারীদের পোশাকের দৃশ্য দেখলে আম্মাজান আয়শা রাঃ কী বলতেন? উপরোক্ত হাদীসসমূহের আলোকে একথা পরিস্কার যে, মহিলাদের ঈদগাহে ও মসজিদে আসা মাকরূহ। [collected ]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মহিলাদের ‘ঈদের মাঠে যাওয়া প্রসঙ্গেঃ- উন্মু আতিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন কুমারী, তরুণী, প্রাপ্তবয়স্কা, পর্দানশিন এবং ঋতুবতী সব মহিলাদের (নামাযের জন্য) বের হওয়ার (ঈদের মাঠে যাওয়ার) হুকুম করতেন। ঋতুবতী মহিলারা নামাযের জামা'আত হতে এক পাশে সরে থাকতো কিন্তু তারা মুসলমানদের দু'আয় শারীক হত। এক মহিলা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি কোন নারীর নিকট (শরীর ঢাকার মত) চাদর না থাকে? তিনি বললেনঃ তার (মুসলিম) বোন তার অতিরিক্ত চাদর তাকে ধার দিবে।  সূনান আত তিরমিজী। হাদিস নম্বরঃ ৫৩৯ আবু ঈসা বলেনঃ উন্মু আতিয়্যার হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ইবনু আব্বাস ও জাবির (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। একদল বিদ্বান এ হাদীসের অনুকূলে মত দিয়েছেন। তারা মহিলাদের ঈদের মাঠে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। অপর একদল বিদ্বান মহিলাদের ঈদের মাঠে যাওয়া মাকরূহ বলেছেন। বর্ণিত আছে যে, ইবনুল মুবারাক বলেছেন, আজকাল মহিলাদের ঈদের মাঠে যাওয়াকে আমি মাকরূহ মনে করি। যদি কোন মহিলা ঈদের মাঠে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে, তবে তার স্বামী তাকে পুরানো কাপড় পরে যাওয়ার অনুমতি দিবে, কিন্তু সাজগোজ করে বের হতে দিবে না। যদি স্ত্রী এতে রাজী না হয় তবে স্বামী তাকে মাঠে যাবার অনুমতি দিবে না। আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, আজকালকার মহিলারা যেরূপ বিদ'আতি সাজসজ্জা আবিষ্কার করে নিয়েছে, যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলো দেখতেন তবে তাদেরকে তিনি মাসজিদে আসতে নিষেধ করতেন, যেভাবে বানী ঈসরাঈলের মহিলাদের নিষেধ করা হয়েছিল। সুফিয়ান সাওরীও মহিলাদের ঈদের মাঠে যাওয়া মাকরুহ বলেছেন। সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪০ হাদিসের মানঃ সহিহ। তবে তাদের বাড়িতে নামাজ পড়াই উত্তম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যাঁ পড়তে পারেন যতদূর জানি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ