সিপিএ মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কোন কোন বিষয়সমুহ জানতে হবে ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কিভাবে করবেন সিপিএ মার্কেটিং? সিপিএ মার্কেটিং মূলত অনলাইন অন্য যেকোনো মার্কেটিং এর মতই। শুধু এখানে কোন কিছু বিক্রি বা কোন সার্ভিস প্রমোশন নয় বরং কোন বিশেষ ধরনের একশন প্রমোট করা হয়। নিয়মিত ফেইসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেইজ শেয়ার করে এবং গুগল প্লাস কমিউনিটিতে শেয়ার করেই প্রচুর আয় করা যায়। তাছাড়া মার্কেটিং মেথড হিসেবে অনেকে ইমেইল এবং ক্রেইগলিস্ট সহ অনন্য মার্কেটিং মেথড ব্যবহার করেন। তবে বুঝে শুনে কাজ না করলে নিজেকে স্পামার হিসেবে পরিচিত করতে খুব বেশি সময় লাগে না। আপনি যদি এমন কারো নিকট একটা সার্ভিস ইনফরমেশন প্রদান করেন যেটাতে সে মোটেই ইন্টারেস্টেড না তখনই ঘটে সমস্যা। এরকম কাজ করলে আপনার কারনে অন্য মার্কেটারগন কলঙ্কিত হন। সিপিএ মার্কেটিং শিখার জন্য অনলাইনে অনেক রিসোর্স আছে। তবে সেগুলো থেকে আপনি খুব বেশি শিখতে পারবেন না। কারন সেগুলো থেকে শিখার গোছানো কোন উপায় থাকে না এবং প্রাক্টিকালি না দেখলে নতুনরা খুব ভালো বুঝতেও পারেন না। কোন বিশ্বস্ত ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করে শিখে নিতে পারেন। ট্রেনিং করলে আপনার ট্রেইনারের লাইভ কাজ দেখে যে ধারনা হবে তা অনলাইনে সহজে পাওয়া যাবে না। শিখতে হলে প্রথমেই আপনার যেটা লাগবে তা হচ্ছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট বেসিক স্কিল। এবং কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনার নিজের পার্সোনাল কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আর সর্বোপরি নিয়মিত কাজ করে যাওয়ার ধৈর্য থাকতে হবে। সফটনেট বিডির কোর্সগুলোর মধ্যে ১০ দিনের টানা প্রফেশনাল সিপিএ মার্কেটিং কোর্স সবথেকে জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য। কেউ যদি কোর্সটি করতে চান তাহলে এই লিঙ্কে গিয়ে রেজিস্ট্রেশান করে নিন। আমরাই আপনাকে ফোন করবো। অথবা আপনি অফিসে ফোন করে বা সরাসরি অফিসে এসেও ভর্তি কনফার্ম করতে পারেন। কিভাবে আয় করা টাকা তুলবেন? নতুনরা না জানার কারনে যত ধরনের অবান্তর এবং অহেতুক প্রশ্ন করে থাকেন তার মধ্যে অন্যতম প্রশ্নই বোধয় এটি। এই প্রশ্নটি এক্সপার্টদের কাছে বিরক্তিকর হলেও নতুন যারা শিখতে বা কাজ করতে চান তাদের কাছে এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, এবার সে সিপিএ শিখতে আসুক কিংবা এফিলিয়েট। কারন, একটাই তারা বিশ্বাস করতে পারেন না যে আমি কম্পিউটারে বসে কাজ করে ভার্চুয়ালি টাকা কামাই সে টাকা কি করে হাতে পাওয়া সম্ভব। আসল ব্যাপারটা তারা জানেন না। আর তা হচ্ছে পৃথিবীব্যাপী চলমান বেশ কয়েকটা পেমেন্ট সিস্টেম আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি এক দেশে বসে আরেক দেশ থেকে যেকোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারেন আর মুহূর্তেই পে করে দিতে পারেন। কিন্তু এগুলো বাংলাদেশের মত দেশে সচরাচর নয়। কারন আমরা আইটি তে ততোটা উন্নত নই। এই পেমেন্ট সিস্টেমগুলোর মধ্যেই এক বা একাধিক সিস্টেম সব মার্কেটপ্লেস গুলোই ব্যবহার করে। এধরনের পেমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়গুলো হচ্ছে – পেপাল, পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড, স্কিল, নেটেলার ইত্যাদি। এর মধ্যে পেপাল ছাড়া বাকি সব আমাদের দেশ থেকেই সহজে ব্যবহার করা যায়। আর পেপাল যেহেতু সরাসরি বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায় না কিন্তু অনেক জনপ্রিয় এবং বেশিরভাগ মার্কেটপ্লেসে সাপোর্ট করে তাই প্রফেশনালরা বিদেশি ঠিকানা ব্যবহার করে এটি করে নিয়ে থাকে। আরেকটি সর্বাধিক জনপ্রিয় মেথড পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড। এটা একটা ডুয়েল কারেন্সির মাস্টারকার্ড অর্থাৎ আপনার উপার্জিত অর্থ এতে ডলার বা ইউরোতে থাকে এবং আপনি যখন যেই দেশে থাকেন তখন সেই দেশের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেন। আর সেই সময় টাকা আপনার কারেন্সিতে কনভার্ট হয়ে উইথড্র হয়। মানে হচ্ছে আপনি যদি পেওনিয়ার কার্ডটি এটিএম বুথে ঢুকিয়ে ৫০০ টাকা তুলেন তাহলে এটা আপনাকে টাকায় ৫০০ টাকা দেবে এবং কার্ড থেকে চার্জসহ যা হয় সেই পরিমান ডলার চলমান ডলারের রেট অনুযায়ী কেটে রাখবে। এইসব পেমেন্ট মেথড ব্যবহারের জন্য রেজিস্ট্রেশান করতে হয় আর তারপর যেই যেই মার্কেট প্লেসে আপনি কাজ করছেন সেগুলোতে পেমেন্ট মেথড হিসেবে দিয়ে দিতে হয়। তাহলেই প্রতি মাসে বা প্রতি ইউথড্রতে (যেই যেই মার্কেটপ্লেসের রুল অনুযায়ী) মার্কেটপ্লেস আপনার পেমেন্ট মেথডের অ্যাকাউন্টে আপনার আয়ের টাকা পাঠিয়ে দেবে। শেষকথা সিপিএ মার্কেটিং তথা অনলাইন মার্কেটিং তথা অনলাইন আয় এখনো যাদের কাছে রুপকথার গল্প মনে হয় তাদের সম্পর্কে একটি কথাই বলার থাকতে পারে, তারা পত্রিকা পড়ে না অথবা পড়লেও আইটি পাতাতে কখনো চোখ রাখেনা। কারন এখন আর অনলাইনে সফলতার গল্প কিংবা সফলতার কৌশল জাতীয় লেখাগুলো শুধু ব্লগ কিংবা অনলাইন মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়। কারন যেরকম ভাবে আমাদের দেশের চাকুরীর বাজারে হাল পড়ছে তার চেয়ে কয়েকগুণ দ্রুত প্রশস্ত হচ্ছে অনলাইন আয়ের পথ। তাই আগামি প্রজন্ম যদি আইটি জ্ঞান নিয়ে বড় হয় তাহলে তাদের জন্য ক্যারিয়ার যুদ্ধ শব্দটি হবে অজানা আর যদি তা না হয় তাহলে ক্যারিয়ারের খোঁজে তারা মুখ থুবড়ে পড়বে। আশাকরি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। আশাকরি এখান থেকে আপনারা সিপিএ মার্কেটিং তথা অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ এবং সঠিক ধারনা পাবেন। আপনার সিপিএ মার্কেটিং ক্যারিয়ার কিকস্টার্ট করতে চাইলে নিচের ব্যানারে ক্লিক করে আমাদের সিপিএ মার্কেটিং কোর্সের জন্য রেজিস্ট্রেশান করুন – ১০ দিনের এই কোর্সের কোর্স ফি ১০ হাজার টাকা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ