আমি সিপিএ মার্কেটিং শিখতে চাই। সিপিএ মার্কেটিং আসলে কি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সিপিএ মার্কেটিং কী? সিপিএ মার্কেটিং এর পূর্ণ আর্থ CPA- Cost Per Action।সহজ ভাবে বাংলায় ধুরুন আপনাকে এমন একটি অফার দিল ডাউনলোড অফার যে, একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করাতে হবে। এবং পার ডাউনলোড এ ৩ ডলার করে দেয়া হবে।এখন আপনি যদি একটি ডাউনলোড করিয়ে দিতে পারেন পার ডাউনলোড এ পাবেন ৩ ডলার করে।এটি একটি Action।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বর্তমান সময়ে সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে যেমন আলোচনা তুঙ্গে তেমনি আবার এর কলঙ্কও আছে। সহজে এবং দ্রুত আয় হওয়ার ফলে নতুন মার্কেটারদের কাছে এটা যেমন গ্রহণযোগ্য তেমন তাদের আত্মবিশ্বাসের খোঁড়াক, যেই আত্মবিশ্বাস অনলাইন আর্নিং জগতে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অনেক কার্যকরী।


তেমনি আবার কিছু অসাধু মার্কেটার এবং কিছু জ্ঞানহীন যুক্তিবিদদের সমালোচনায় এটা এখন অনেকের চোখে দৃষ্টিকটু।


আসলেই সিপিএ মার্কেটিং নতুন হিসেবে আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারে, অনলাইন ক্যারিয়ারে কিভাবে আপনার আগমন সফল করতে পারে, আসলেই কে ফেইক তা বুঝার জন্যই আপনাকে জানতে হবে এটা কি? কেন করবেন? এবং কিভাবে করবেন? চলুন জেনে নেই –


অনলাইন মার্কেটিং কি?

online-marketing


অনলাইন আয় সম্পর্কে যারা শুনেছেন কিন্তু নিজে এখনো কিছু করছেন না তারা কিছু শব্দ সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার ফলে কিছু ভুল ধারনা পোষণ করেন। এর মধ্যে একটি শব্দ হচ্ছে ‘ফ্রিলান্সিং (Freelancing)’. মানুষ কেউ কেউ মনে করেন যে অনলাইন আয়ের যত পথ আছে সবকিছুই ফ্রিল্যান্সিং। আসলে মোটেই তা নয়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে বুঝায় মুক্তভাবে কাজ করা এবং কারো কর্তৃক সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে তার কোন কাজ করে দেওয়া। আর এই ক্ষেত্রে যে কাজটি করিয়ে নিচ্ছে সে করছে আউটসোর্সিং।


এবার আসুন অনলাইন মার্কেটিং। এটি একেবারেই ফ্রিল্যান্সিং এর আওতাভুক্ত কোন কিছু নয়। তবে যদি আপনি কোন ক্লায়েন্টের হয়ে তার কোন এসেট, বিজনেস, পণ্য মার্কেটিং করে থাকেন তাহলে সে আউটসোর্স করছে আর সেই ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র আপনি ফ্রিল্যান্সিং করছেন। তবে যদি নিজের কোন সাইট বা ভিডিও মার্কেটিং করেন যা থেকে আপনি কারো কাজ করা ছাড়া ভিন্ন উপায়ে রেভিনিউ আয় করেন তবে সেটা অনলাইন মার্কেটিং এবং অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং নয়।


যখন আপনি একটা ওয়েবসাইট বা একটা পেইসবুক পেজ করে তার মাধ্যমে কোন ইকমার্স (যেমনঃ অ্যামাজন) সাইটের এক বা একাধিক পণ্য প্রমোট করে সেল হলে কমিশন পাচ্ছেন তখন আপনি যা করছেন তা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে পণ্য হিসেবে কোন সেবাও থাকতে পারে। যেমন, যদি আপনি যদি কোন কম্পানির ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস সেল করে দেন সেটা কিন্তু সেবা।


সিপিএ মার্কেটিং কি?

মার্কেটাররা যা প্রমোট করতে পারেন সেগুলোর মধ্যে এমন কিছু বিষয় আছে যেটা পণ্য বা সেবা এধরনের কোন কিছুর আয়তায় পড়ে না। এগুলোকে সহজ ভাষায় একশন (Action) বলে। যেমনঃ কোন কিছু ডাউনলোড, শেয়ার, কোন সাইটে রেজিস্ট্রেশান ইত্যাদি।


একটা সহজ উদাহরন দেওয়া যাক। ধরুন, কোন কোম্পানির আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে ইউজার। সুতরাং তারা চাইবে যে তাদের সাইটের ইউজার বৃদ্ধি পাক। তখন তারা একেকজন ইউজার রেজিস্ট্রেশান এর জন্য পে করতে চাইবে এবং কোন মার্কেটার সাইটের সুবিধাগুলো যদি মার্কেটিং এর বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করে এবং লোকজন এইসব সুবিধা নেওয়ার জন্য কোম্পানির সাইটে এসে রেজিস্ট্রেশান করে তখন মার্কেটার রেজিস্ট্রেশান প্রতি আয় পাবে।


নিচের ইমেজের দিকে লক্ষ করুন। এটা একটা সিপিএ কেম্পাইনের ল্যান্ডিং পেজ এর চিত্র –


সিপিএ অফারের চিত্র


এটা ম্যাক্সবাউন্টি থেকে নেওয়া একটা সিপিএ অফারের ল্যান্ডিং পেজ। এখানে মুলত সুইডেন এর একটা জব সাইটের রেজিস্ট্রেশান ফর্ম আছে। এই রেজিস্ট্রেশান ফর্মে সাইন আপ কারিদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে এক বা একাধিকজন আইফোন পাবে। এটা হচ্ছে কোম্পানির ইউজার বৃদ্ধির একটি পলিসি যেখানে এই অফারটি তারা তাদের রেজিস্টার্ড ইউজারদের দিচ্ছে। আর মার্কেটার হিসেবে আপনি যদি এই ফর্মের মাধ্যমে কাউকে রেজিস্ট্রেশান করাতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি রেজিস্ট্রেশান এর জন্য $24 পাবেন।


এইটাই হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং ।


কেন করবেন সিপিএ মার্কেটিং?

নতুন যারা অনলাইনে


অনলাইন মার্কেটার হিসেবে আপনি বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং করতে পারেন। যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং ইত্যাদি। আবার এসইও, এসএমএম এগুলোও অনলাইন মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। এখন সমস্যা হচ্ছে মার্কেটার হতে হলে আপনাকে অনলাইনের অনন্য বিষয় সম্পর্কে ভালো মানের ধারনা রাখতে হবে যেটা আসলে অনলাইনে নতুন একজনের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। নিজের নিস সাইট বা অন্য কোন মেথডে কোন অনলাইন প্রমোশন করা হচ্ছে অনেকটাই হাই লেভেলের কাজ যেটা করার জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞতা দরকার। তাই যারা বেশ কিছুদিন ফ্রিলান্স বা অন্য অনলাইন আর্নিং মেথডে যুক্ত থাকেন এবং ফ্রিলান্স এবং আউটসোর্স সম্পর্কে ভালো ধারনা হয়ে যায় তারাই শুধুমাত্র মার্কেটিং এ যাওয়া উচিত। না হলে যতটা গবেষণা এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে হয় তা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।


কিন্তু সিপিএ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ভালোভাবে শিখে কাজ করতে পারলে অনেক বেশি গবেষণা ছাড়াই শুধুমাত্র নিয়ম মত কাজ করলে প্রথম থেকেই ভালো আয় করা যায়। এমনকি দ্রুত আয় জেনারেট হওয়ার ফলে যারা অনলাইনে নতুন এবং সিপিএ দিয়ে শুরু করেছেন তারা আত্মবিশ্বাস পান। তারা এমনটা ভাবতে পারেন যে অনলাইনে আয় আমার পক্ষে সম্ভব।


কিভাবে করবেন সিপিএ মার্কেটিং?

সিপিএ মার্কেটিং মূলত অনলাইন অন্য যেকোনো মার্কেটিং এর মতই। শুধু এখানে কোন কিছু বিক্রি বা কোন সার্ভিস প্রমোশন নয় বরং কোন বিশেষ ধরনের একশন প্রমোট করা হয়।


নিয়মিত ফেইসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেইজ শেয়ার করে এবং গুগল প্লাস কমিউনিটিতে শেয়ার করেই প্রচুর আয় করা যায়। তাছাড়া মার্কেটিং মেথড হিসেবে অনেকে ইমেইল এবং ক্রেইগলিস্ট সহ অনন্য মার্কেটিং মেথড ব্যবহার করেন।


তবে বুঝে শুনে কাজ না করলে নিজেকে স্পামার হিসেবে পরিচিত করতে খুব বেশি সময় লাগে না। আপনি যদি এমন কারো নিকট একটা সার্ভিস ইনফরমেশন প্রদান করেন যেটাতে সে মোটেই ইন্টারেস্টেড না তখনই ঘটে সমস্যা। এরকম কাজ করলে আপনার কারনে অন্য মার্কেটারগন কলঙ্কিত হন।


সিপিএ মার্কেটিং শিখার জন্য অনলাইনে অনেক রিসোর্স আছে। তবে সেগুলো থেকে আপনি খুব বেশি শিখতে পারবেন না। কারন সেগুলো থেকে শিখার গোছানো কোন উপায় থাকে না এবং প্রাক্টিকালি না দেখলে নতুনরা খুব ভালো বুঝতেও পারেন না। কোন বিশ্বস্ত ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করে শিখে নিতে পারেন। ট্রেনিং করলে আপনার ট্রেইনারের লাইভ কাজ দেখে যে ধারনা হবে তা অনলাইনে সহজে পাওয়া যাবে না।


শিখতে হলে প্রথমেই আপনার যেটা লাগবে তা হচ্ছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট বেসিক স্কিল। এবং কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনার নিজের পার্সোনাল কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আর সর্বোপরি নিয়মিত কাজ করে যাওয়ার ধৈর্য থাকতে হবে।


সফটনেট বিডির কোর্সগুলোর মধ্যে ১০ দিনের টানা প্রফেশনাল সিপিএ মার্কেটিং কোর্স সবথেকে জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য। কেউ যদি কোর্সটি করতে চান তাহলে এই লিঙ্কে গিয়ে রেজিস্ট্রেশান করে নিন। আমরাই আপনাকে ফোন করবো। অথবা আপনি অফিসে ফোন করে বা সরাসরি অফিসে এসেও ভর্তি কনফার্ম করতে পারেন।


কোথায় পাবেন সিপিএ অফার?

এখন কথা হচ্ছে মার্কেটিং মেথড জানেন, কাজ শিখলেন সবকিছুই ঠিক, প্রমোট করার জন্য অফারগুলো কোথায় পাবেন? খুব সোজা। গুগল সার্চে গিয়ে ‘top cpa marketplace’ লিখে সার্চ করুন। তবে আপনাদের জন্য নিচের ইনফোগ্রাফে এই বছরের জরিপে সবথেকে সেরা ১০ সিপিএ মার্কেটপ্লেস এর লিস্ট দেওয়া হল –


Screenshot_5


কিভাবে আয় করা টাকা তুলবেন?

নতুনরা না জানার কারনে যত ধরনের অবান্তর এবং অহেতুক প্রশ্ন করে থাকেন তার মধ্যে অন্যতম প্রশ্নই বোধয় এটি। এই প্রশ্নটি এক্সপার্টদের কাছে বিরক্তিকর হলেও নতুন যারা শিখতে বা কাজ করতে চান তাদের কাছে এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, এবার সে সিপিএ শিখতে আসুক কিংবা এফিলিয়েট। কারন, একটাই তারা বিশ্বাস করতে পারেন না যে আমি কম্পিউটারে বসে কাজ করে ভার্চুয়ালি টাকা কামাই সে টাকা কি করে হাতে পাওয়া সম্ভব। আসল ব্যাপারটা তারা জানেন না। আর তা হচ্ছে পৃথিবীব্যাপী চলমান বেশ কয়েকটা পেমেন্ট সিস্টেম আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি এক দেশে বসে আরেক দেশ থেকে যেকোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারেন আর মুহূর্তেই পে করে দিতে পারেন। কিন্তু এগুলো বাংলাদেশের মত দেশে সচরাচর নয়। কারন আমরা আইটি তে ততোটা উন্নত নই।


এই পেমেন্ট সিস্টেমগুলোর মধ্যেই এক বা একাধিক সিস্টেম সব মার্কেটপ্লেস গুলোই ব্যবহার করে। এধরনের পেমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়গুলো হচ্ছে – পেপাল, পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড, স্কিল, নেটেলার ইত্যাদি। এর মধ্যে পেপাল ছাড়া বাকি সব আমাদের দেশ থেকেই সহজে ব্যবহার করা যায়। আর পেপাল যেহেতু সরাসরি বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায় না কিন্তু অনেক জনপ্রিয় এবং বেশিরভাগ মার্কেটপ্লেসে সাপোর্ট করে তাই প্রফেশনালরা বিদেশি ঠিকানা ব্যবহার করে এটি করে নিয়ে থাকে।


আরেকটি সর্বাধিক জনপ্রিয় মেথড পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড। এটা একটা ডুয়েল কারেন্সির মাস্টারকার্ড অর্থাৎ আপনার উপার্জিত অর্থ এতে ডলার বা ইউরোতে থাকে এবং আপনি যখন যেই দেশে থাকেন তখন সেই দেশের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেন। আর সেই সময় টাকা আপনার কারেন্সিতে কনভার্ট হয়ে উইথড্র হয়। মানে হচ্ছে আপনি যদি পেওনিয়ার কার্ডটি এটিএম বুথে ঢুকিয়ে ৫০০ টাকা তুলেন তাহলে এটা আপনাকে টাকায় ৫০০ টাকা দেবে এবং কার্ড থেকে চার্জসহ যা হয় সেই পরিমান ডলার চলমান ডলারের রেট অনুযায়ী কেটে রাখবে।


এইসব পেমেন্ট মেথড ব্যবহারের জন্য রেজিস্ট্রেশান করতে হয় আর তারপর যেই যেই মার্কেট প্লেসে আপনি কাজ করছেন সেগুলোতে পেমেন্ট মেথড হিসেবে দিয়ে দিতে হয়। তাহলেই প্রতি মাসে বা প্রতি ইউথড্রতে (যেই যেই মার্কেটপ্লেসের রুল অনুযায়ী) মার্কেটপ্লেস আপনার পেমেন্ট মেথডের অ্যাকাউন্টে আপনার আয়ের টাকা পাঠিয়ে দেবে।


শেষকথা

সিপিএ মার্কেটিং তথা অনলাইন মার্কেটিং তথা অনলাইন আয় এখনো যাদের কাছে রুপকথার গল্প মনে হয় তাদের সম্পর্কে একটি কথাই বলার থাকতে পারে, তারা পত্রিকা পড়ে না অথবা পড়লেও আইটি পাতাতে কখনো চোখ রাখেনা। কারন এখন আর অনলাইনে সফলতার গল্প কিংবা সফলতার কৌশল জাতীয় লেখাগুলো শুধু ব্লগ কিংবা অনলাইন মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়। কারন যেরকম ভাবে আমাদের দেশের চাকুরীর বাজারে হাল পড়ছে তার চেয়ে কয়েকগুণ দ্রুত প্রশস্ত হচ্ছে অনলাইন আয়ের পথ। তাই আগামি প্রজন্ম যদি আইটি জ্ঞান নিয়ে বড় হয় তাহলে তাদের জন্য ক্যারিয়ার যুদ্ধ শব্দটি হবে অজানা আর যদি তা না হয় তাহলে ক্যারিয়ারের খোঁজে তারা মুখ থুবড়ে পড়বে।


আশাকরি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। আশাকরি এখান থেকে আপনারা সিপিএ মার্কেটিং তথা অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ এবং সঠিক ধারনা পাবেন। আপনার সিপিএ মার্কেটিং ক্যারিয়ার কিকস্টার্ট করতে চাইলে নিচের ব্যানারে ক্লিক করে আমাদের সিপিএ মার্কেটিং কোর্সের জন্য রেজিস্ট্রেশান করুন – ১০ দিনের এই কোর্সের কোর্স ফি ১০ হাজার টাকা।


তথ্যসুত্র

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ