হযরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে নবী করীম (সাঃ) হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে এরশাদ করেছেন, “হে ওমর! যার হাতে আমার প্রাণ আমি সেই প্রতিপালকের শপত করে বলছি, শয়তান যখন কোন রাস্তা দিয়ে তোমাকে যেতে দেখে তখন সে তোমার ভয়ে রাস্তা পরিবর্তন করে বিকল্প রাস্তা দিয়ে পলায়ন করে। (সহীহ মুসলিম)
হ্যা এই হাদিসটি পরিপুর্ন সহিহ।যেঃহযরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে নবী করীম (সাঃ) হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে এরশাদ করেছেন, “হে ওমর! যার হাতে আমার প্রাণ আমি সেই প্রতিপালকের শপথ করে বলছি, শয়তান যখন কোন রাস্তা দিয়ে তোমাকে যেতে দেখে তখন সে তোমার ভয়ে রাস্তা পরিবর্তন করে বিকল্প রাস্তা দিয়ে পলায়ন করে। সহিহ মুসলিম আশাকরি উত্তরটি পেয়েছেন।
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৪৬/ সাহাবী (রাঃ) গণের ফযীলত (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم) হাদিস নম্বরঃ ৫৯৮৫ ২. উমর (রাঃ) এর ফযীলত ৫৯৮৫। মানসুর ইবনু আবূ মুযাহিম, হাসান হুলওয়ানী ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমার (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলে তখন কুরায়শ মহিলারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আলাপরত ছিল এবং উচ্চস্বরে তারা বেশি বেশি কথা বলছিল। যখন উমার (রাঃ) অনুমতি চাইলেন, এরা উঠে আড়ালে চলে গেলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অনুমতি দিলেন এবং তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসছিলেন। উমার বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর আপনার মুখকে হাস্যোজ্জ্বল রাখুন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি এদের ব্যাপারে আশ্চোর্যবোধ করছি যারা আমার কাছে বসা ছিল। আর তোমার শব্দটি শোনামাত্রই আড়ালে চলে গেল। উমার (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনাকেই তো এদের বেশি ভয় কলা উচিত। এরপর উমার (রাঃ) বললেন, ওহে! নিজের প্রাণের শক্ররা! তোমরা আমাকে ভয় কর আর আল্লাহর রাসুলকে ভয় কর না! তারা বললো, হ্যাঁ, তুমি তো আল্লাহর রাসূলের চেয়ে বেশি কঠোর এবং রাগী। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! শয়তান যখন তোমাকে কোন পথে চলতে দেখে, তখন সে তোমার পথ ছেড়ে অন্য পথ ধরে চলে।