১) পাজল মিলানঃ
বিভিন্ন পত্রিকায় শব্দজট, পাজল, বুদ্ধির প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। খেলুন রুবিক্স কিউব। প্রথম প্রথম এসব সমাধান করতে সময় বেশি লাগলেও ধীরে ধীরে আপনি অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন। এসব মিলাতে যত সময় কম লাগবে বুঝবেন আপনার আইকিউ লেভেল বেড়ে চলছে।
২) মেডিটেশন করুনঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে, মেডিটেশন বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর কার্যকর এক অস্ত্র। এটি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে, ধৈর্য ধরতে শেখায়, মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিদিন ৩০ মিনিট মেডিটেশন করার চেষ্টা করুন।
৩) ব্যায়াম করুনঃ
বিখ্যাত সৃজনশীল লেখক Win Wenger এর মতে, হালকা ব্যায়াম আপনার বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে তোলে। দিনের কিছু সময় বের করুন ব্যায়ামের জন্যে। ব্যায়াম করার পরপরই মেডিটেশন করতে পারেন। এতে আপনার শরীরের পাশাপাশি প্রশান্তি ছড়িয়ে পড়বে মনেও।
৪)পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চত করুন:
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। ঘুমের সময় সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যগুলোকে মস্তিষ্কসংরক্ষণ করতে থাকে। আর ঘুমকে বলা হয় মেমোরি চার্জার। ঘুমের সময় আপনার মেমোরি পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।
৫) খাদ্যতালিকা সাজিয়ে তুলুনঃ
আনন্দের কথা হচ্ছে এমন কিছু খাবার ও ফল আছে যা খেয়েও আমরা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়াতে পারি। চলুন জেনে নেই সে সকল খাবার সম্পর্কে।
জাম:
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন জাম,লিচু,স্ট্রবেরি,কালোজাম বা আঙ্গুরের মত ফল। ফলগুলোতে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা ব্রেইনের কোষের অক্সিডেশন এবং ক্রমাগত ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করে। অর্থাৎ ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ব্লু বেরীকে ব্রেইনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর খাবার বলে ধরা হয়, কেননা তা আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধে সহযোগিতা করে ও শেখার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
পাতা কপি ও পালং শাক:
পালং শাক ও পাতা কপিতে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন কে এবং বিটা ক্যারোটিন থাকে। যা পেশী শক্তি ও স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়োমিত পাতা কপি বা পালং শাক খান তাদের স্মৃতি শক্তি যারা খায় না তাদের চেয়ে অনেক বেশি।
সামুদ্রিক মাছ:
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা ফ্যাটি এসিডের ৪০% হচ্ছে ডি এইচ এ, যা সামুদ্রিক মাছের তেলে পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হিসেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেনের বিভিন্ন কোষের মধ্যে সংবেদন আদান-প্রদান বাড়িয়ে দেয়।
বাদাম এবং বীজ দানা:
বাদাম এবং বীজ দানা জাতীয় খাবারে রয়েছে ভিটামিন ই, ও একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট এর উৎস। বাদাম এবং বীজ দানার এ উপাদান সমূহ স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া আমন্ড বাদামও ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
কফি:
প্রতিদিন সকালে এক কফি পান করুণ। কারণ দীর্ঘদিন কফি পান করেন এমন ১৪০০ লোকের উপর চালানো গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ কফি পান করেন তাঁদের স্মৃতি ভ্রংশের রোগ অনেকটাই কম হয়। এদের তুলনায় যারা দিনে দুই কাপ কফি পান করেন তাদের ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। ধারণা করা হয়,কফিতে থাকা ক্যাফেইন ও এন্টি-অক্সিডেন্ট ব্রেইনের কোষগুলোকে সুরক্ষিত করে।
বিট এবং ব্রোকলি:
বিট এবং ব্রোকলিও হতে পারে আপনার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির আরেকটি হাতিয়ার। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ‘ভিটামিন কে’, যা মেধা ও স্মৃতি বর্ধক।
এইসব কাজ করে নিজের বুদ্ধিমত্তার স্তর বাড়ানোর আছে প্রচুর উদাহরণ।
আজকালকার জীবনে নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে ও মানুষ এই প্রযুক্তির মায়াজালে আটকা পড়ে যাচ্ছে।প্রযুক্তি ব্যবহার করা মানুষের জন্য বলতে গেলে পেশায় পরিণত হয়েছে।কিন্তু খেয়াল রাখবেন এই পেশাটা যেন নেশায় পরিণত হয়।নেশায় পরিণত হওয়া প্রযুক্তি মানুষকে মুক্ত চিন্তা হতে বাধা দেয়।তাই চেষ্টা করুন আপনাকে যেন মোবাইল বা কম্পিউটার জাতীয় প্রযুক্তি আকৃষ্ট করতে না পারে।আপনি যদি কোনো প্রযুক্তির মায়াজালে বন্দি না থাকেন তাহলে আপনার মন প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারবে এবং আপনি কোনো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হবেন না।