অভিযোগ নাই, তা কিন্তু নয়। আসলে বিষয়টা একটু অন্যরকম। পরমাণু বোমা নিয়া মাথা ব্যাথা বা নিষেধের বিষয়টি ওঠে না এই কারনে যে, এটি সকলের কাছে নাই। যেমন সিরিয়ার কাছে নাই। আবার কয়েকটা দেশের কাছে থাকলেও নেতারা এটা নিয়া তেমন আলোচনা করেননা এই কারনে যে এটি ব্যবহার করাটায় একটা ঝামেলা। এমনকি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে কিনা তা নিয়া তাদের সন্দেহ আছে। এবং যেন তেন ভাবে ব্যবহার করলে এটি থেকে তারা নিজেরাই নিরাপদ থাকবেনা বলে অনেকটা নিশ্চিত যে মুখে যতই আসফলন করুক না কেন পরমানু বোমা ব্যবহার করবেইনা না। যেমন পাকিস্থান, ভারত, উঃ কোরিয়া। অন্য দিকে যে দেশ সফল ব্যবহার করতে পারবেন তারাও এটি অত সহজে ব্যবহার করবেনা। এর ধংস যজ্ঞ বিস্তর বলে কোন উন্নত রাষ্ট্র ছেলেমানুষীর মত সামান্য ব্যাপারে এটি ব্যবহার করবেনা। তাছাড়া তাদের কাছে এর বিকল্প আরও অনেক শক্তি আছে তাই এক রকম নিশ্চিত যে এর ব্যবহার হবেনা বলে নেতারা মাথা ঘামাননা। এর ব্যবহারে পরিবেশ যখন হবে তখন দ্বিপাক্ষিক নয়, বহু পাক্ষিক যুদ্ধ হবে। কাজেই এটি নিয়া শুধু ভয় দেখানো ব্যতিত মাথা ঘামাননা কেউই। অন্য দিকে রাসায়নিক অস্ত্র নিয়া সবাই দৌড়ের উপর কারন এটি বহু দেশের কাছে আছে। এমনকি গরিব অনুন্নত রাষ্ট্রও এটি ব্যবহার করতে পারেন। কারন এটি অন্যন্য অস্ত্রের মত অতি প্রকৌশল নাও হতে পারে, সামান্য একটা বিষাক্ত গ্যাসও রাসায়নিক অস্ত্র। এবং এটি বিস্ফোরনের মত ধংসযজ্ঞ ঘটায়না বলে এটি গোপনে ব্যবহার করতে উৎসাহিত হয় অনেক দেশ। তারা এর ব্যপক ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানেনা তাই ভাবে মরুক ওরা, আমাদের কি এমন ভাবনা থাকেই। অপরদিকে রাসায়নিক অস্ত্র ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিষ্ক্রিয়া ঘটায় বলে এর মৃত্যু ব্যপকতাও বেশি। এবং এটা গোপন গণহত্যা বলে এটি নিয়া নেতারা স্বরগরম। অন্যদিকে রাজনৈতিক কিছু কৌশলও কাজ করে এই বিষয়ে। ব্যপক ক্ষতি ছাড়া এবং কৌশলে কারো উপর দোষ চাপিয়ে একটা ঘটনা ঘটানো যায় বলে এটি আলোচিত হয়।