যিকিরা করার জন্য কোন নিয়ত নেই,আপনি যখন ইচ্ছা তখন যিকির করতে পারেন,,, যিকির করলে কি লাভ হয় জেনে নিন... ১. জিকিরের ফলে শয়তান বিতাড়িত হয়। ২. অন্তর হতে পাপের কালিমা মুছে যায়। ৩.   মানসিক    অবসাদ   দূর   হয়   ও     এবাদতের প্রেরণা জাগে। ৪. চেহারা নুরানী ও জোতির্ময় হয়। ৫.  জীবিকার  প্রাচুর্য  ও  উপার্জনে   বরকত  লাভ  হয়। ৬. আল্লাহ তায়ালার রেজামন্দী ও সন্তোষ লাভ হয়। ৭.   আল্লাহ   তায়ালার    কুদরত   বা নৈকট্যলাভ  হয়। ৮. মারেফাত ও হাকীকতের দ্বার উন্মুক্ত হয়। ৯.   চারিত্রিক  দুর্বলতা  দূর  ও চারিত্রিক   উৎকর্ষ লাভ হয়। ১০. দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও পরকালের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। ১১.    তাকদীরের    খারাবী    দূর    হয়ে     সৌভাগ্য  নেমে আসে। ১২.   সমাজে   মকবুলিয়ত   ও    জনপ্রিয়তা লাভ  হয়। ১৩. ফেরেশতাদের সাহচর্য  ও দোয়া লাভ হয়। ১৪. দুনিয়ায় থাকতেই স্বর্গসুখ লাভ হয়। ১৫.   পরকালে   বিশেষ  মরতবালাভের  উপযুক্ত বিবেচিত হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

জিকির মানে স্মরণ করা, উলেল্গখ করা, নাম লওয়া, আলোচনা করা, মনে করা ইত্যাদি। সুতরাং আলল্গাহর জিকির বলতে বোঝায়, আলল্গাহকে মনে মনে স্মরণ করা, আলল্গাহর নাম নেওয়া, আলল্গাহ সম্বন্ধে আলোচনা করা এবং বিপদে-মুসিবতে আলল্গাহকে মনে করা, তাকে ডাকা। বাংলায় একটি নির্দিষ্ট শব্দের মধ্যে জিকির শব্দের অনুবাদ সীমাবদ্ধ নয় বিধায় আমরা এখানে আরবি জিকির শব্দটিই উলেল্গখ করব। জিকির মূলত দুটি অর্থই বহন করে :মনে মনে স্মরণ করা ও মুখে উচ্চারণ করা। আলল্গাহর জিকির বলতেও এ দুটিকেই বোঝানো হয়। অন্তরের জিকিরের কোনো নির্দিষ্ট সময়-নিয়ম নেই; সবসময়, সর্বাবস্থায় আলল্গাহকে স্মরণ করতে হবে। কিন্তু মুখে উচ্চারণ করে আলল্গাহর জিকির করার ব্যাপারে কোরআন-সুন্নাহতে নির্দিষ্ট নিয়ম এবং নির্দিষ্ট বাক্য শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে আলল্গাহর জিকির করতে হবে, এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আলল্গাহ বলেন- সকাল-সন্ধ্যায় আপন মনে তোমার রবের জিকির করো বিনয় ও ভয় নিয়ে, অনুচ্চ আওয়াজে এবং গাফেল হয়ে থেক না (সুরা আরাফ, ২০৫)। এ আয়াত থেকে বোঝা যায় জিকিরের ক্ষেত্রে চারটি বিষয় লক্ষণীয়- বিনয় ও নম্রতা, আলল্গাহর ভয়, আওয়াজ হবে অনুচ্চ এবং মনোযোগিতা। কথার মাধ্যমে আলল্গাহর জিকির করার সময় এ চারটি দিক অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এ চারটি বিষয়ের কোনো একটিও যদি অনুপস্থিত থাকে, তবে জিকির পরিপূর্ণ হবে না। এবার দেখা যাক কোন কোন শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করে আমরা জিকির করব। পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ থেকে আমরা জিকিরের জন্য যেসব বাক্য পেয়ে থাকি তা মূলত চারটি অর্থের প্রতিনিধিত্ব করে :১. তাসবিহ তথা আলল্গাহর পবিত্রতা বর্ণনা-সূচক বাক্য, যেমন : সুবহানালল্গাহ (আলল্গাহ পবিত্র); ২. তাহমিদ তথা আলল্গাহর প্রশংসা-সূচক বাক্য। যেমন :আলহামদুলিলল্গাহ (সব প্রশংসা আলল্গাহর); ৩. তাহলিল তথা আলল্গাহর একত্ব প্রকাশক বাক্য। যেমন : লা ইলাহা ইলল্গালল্গাহ (আলল্গাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই); ৪, তাকবির তথা আলল্গাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশক বাক্য। যেমন :আলল্গাহু আকবার (আলল্গাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হাদিসে এ চারটি বাক্যকে আলল্গাহ এবং রাসুলের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য হিসেবে উলেল্গখ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, সূর্য যা কিছুতে আলো দিয়ে থাকে, এসব কিছুর চেয়ে আমার কাছে প্রিয় হচ্ছে সুবহানালল্গাহ, আলহামদুলিলল্গাহ, লা ইলাহা ইলল্গালল্গাহ, আলল্গাহু আকবার বলা। বুখারি শরিফের একটি হাদিসে বলা হয়েছে, দুটি বাক্য রয়েছে যেগুলো মুখে উচ্চারণ করা সহজ, নেকির পালল্গা ভারী এবং আলল্গাহর কাছে প্রিয়। বাক্য দুটি হলো, সুবহানালল্গাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানালল্গাহিল আজিম। হাদিসে এ বাক্যগুলোর আরও অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এ বাক্যগুলো দিয়ে আমরা সবসময়ই আলল্গাহর জিকির করতে পারি। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ