রাসূল (সাঃ) থেকে জানা যায় তিনি বা তাঁর সাহাবীগণ কখনো নামাজের নিয়ত করেননি। নিয়ত বলতে আসলে বোঝায় মনের সংকল্প, ইচ্ছা বা বাসনা। আমি নামাজ পড়বো আল্লাহকে খুশি করার জন্য এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এটাই হলো নামাজের নিয়ত ।যেহেতু রাসূল ( সাঃ) কখনো নামাজের নিয়ত মুখে করেনি, তাই এটা করা যাবে না। এটা বিদায়াত।
" প্রত্যেক কাজ নির্ভর করে নিয়ত করার উপর" বুখারী ১ নং হাদিস। রাসূল (স) বলেছেন প্রত্যেক কাজের শুরুতে নিয়ত করা উচিত। নামাজের শুরুতে নিয়ত পড়া হয় যেখানে নবী বলেছেন তোমরা নিয়ত করো। তিনি তো পড়তে বলেন নি। তাই উচিত সালাত আদায় করার জন্য ওযু করে সালাতের নিয়তে দাড়িয়ে সর্বপ্রথম তাকবীর দিয়ে সালাত আদায় করা। তাকবীরের আগে কোনো কিছু বলা বেদায়াত হবে। কারন নবী (স)এটা করেন নি। আপনাকে আবারও বলতেছি নিয়ত করতে হবে পড়তে নয়। কারন নবী (স) শুধু করতে বলছেন পড়তে নয়। আপনি বুখারী শরিফের ১ নং হাদিসটি দেখতে পারেন। ইনশাল্লাহ বুঝবেন।
হচ্ছে ইসলামে শরিয়াতের যে বিধানগুলোর গুরুত্ব বা অাদেশ দেওয়া হয়নি বা শরিয়াতের কোনো স্হানে দলিল নেই আর তাহা যদি গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয় যা কোনো নবী রাসূলগণ করেন নাই বা নির্দেশ ও দেন নাই তা যদি ইবাদাত হিসেবে গ্রহণ করা হয় তাই বিদাত।যেমনঃ ফরজ নামাজের পর ঈমাম সাহেব ও মুসল্লি নিয়ে সম্মিলিত ভাবে দোয়া করা।নবী -রাসূলগণ থেকে কোনো সাহাবি তাঁদের নিচের যারা অাছেন তারা সবাই কোনোদিন ফরজ নামাজ শেষে মুসাল্লিদের নিয়ে দোয়া করেন নাই বা আমাদের করার কোনো নির্দেশ দেন নাই।আর আমরা যদি তাহা ইবাদাত হিসেবে করি তাই বিদাত।