মানুষের সাথে সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা একটি আর্ট। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যার এই আর্ট কে যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে পারে না। প্রিয় বন্ধু আপনার প্রতি আমার তরফ থেকে দুইটা উপদেশ থাকবে। ১/ অন্যের কথা গভীর মনযোগ সহকারে শুনুন। ২/ যথাযথ ভাবে বুঝে শুধু ঐ কথার উপর রেফারেন্স সম্বলিত উত্তর প্রদান করুন। ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল।
এটা সাধারণত আপনার উপস্থিত বৃদ্ধির প্রভাব যার কারণে আপনার এমনটা হয়।একজনের সাথে কথা বললেই তারপর একটার পরে আরেকটা কথা আসে।আপনি যার সাথে কথা বলবেন তার কথাগুলো মনযোগী হয়ে শুনুন তারপর চিন্তা করুন তার কথার জবাবে কি উত্তর দেওয়া যায়।অন্যজনের কথা মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে তারপর নিজের মনের ভেতর থেকেই তার কথা শুনে অন্য কথা বেরিয়ে আসবে।যে তার কথার জন্য এই কথাটা বললে ভালো হবে,সেই কথাটা বললে ভালো হবে ইত্যাদি।
অন্যের কথার মনযোগী দিন মাথা থেকে আপনারো নানান ধরণের কথা বেরিয়ে আসবে।অন্যের কথার মনযোগ দিলে আপনার মাথাতেও বুদ্ধি আসবে।মানুষের সাথে যখন কথা বলবেন তখন আস্তে আস্তে কথা বলার চেষ্টা করুন,কোন তাড়াহুড়া করবেন না।সবসময় ইতিবাচক চিন্তা রাখবেন মাথায়।
কীভাবে সাবলীলভাবে কথা বলার চর্চা করবেন......... ১. শরীর ও মুখের অভিব্যক্তি প্রকাশ করা শিখুন হাসিমুখে কথা বলা শিখুন আর শরীরী ভাষার দিকে নজর দিন। কথা বলার সময় হাত কোথায় রাখছেন, ঘাড় কতটুকু বাঁকাচ্ছেন কিংবা ভ্রু কতটুকু ব্যবহার করছেন—সবটাই খেয়াল রাখুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলা শিখুন। যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, তাঁর দিকে না তাকিয়ে কথা বলা অসম্মান ও অভদ্রতা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরী ভাষা সংশোধনে সময় নিন। টানা পাঁচ সপ্তাহ এমন চেষ্টা করুন, নিজের মধ্যে পরিবর্তন দেখবেন। _________________ ২. আঞ্চলিকতার টান পরিহার করা শিখুন :::::---+ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পেশাদারি যেকোনো কাজে বাংলা ভাষায় সুন্দর করে কথা বলতে নিজের আঞ্চলিকতা পরিহারের চেষ্টা করুন। শুরুতে হয়তো সমস্যা হবে, কিন্তু আঞ্চলিকতা অবশ্যই পরিহার করা যায়। টানা ছয়-সাত সপ্তাহ সময় দিলে আঞ্চলিক টান কথায় কমিয়ে আনতে পারবেন। ইংরেজিতে কথা বলার সময় পরিষ্কারভাবে ব্রিটিশ কিংবা আমেরিকান উচ্চারণ অনুসরণ করুন। কথার মধ্যে কখন, কীভাবে, কতটুকু বিরতি নিতে হয়, তা নিজেই উপলব্ধি করুন। ___________ ৩. বুঝে কথা বলুন, শ্রোতাকেও বুঝুন :::::::----- কথা বলার সময় মুখ আর মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্বয় আনার চেষ্টা করুন। কথা শুরুর আগে কী বলবেন, তা গুছিয়ে নিন, প্রয়োজনে টুকরো কাগজে লিখে নিন। আপনি যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, তিনি কথা বুঝতে পারছেন কি না, সেদিকে মনোযোগ দিন। আপনি কী বলছেন, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার শ্রোতা কী শুনছেন বা কী বুঝছেন। আপনার কথায় আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। শ্রোতার মুখ ও শরীরের অভিব্যক্তি দেখে শ্রোতাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। ___________ ৪. বক্তৃতার ক্ষেত্রে কৌশলী হোন :::::------ অনেক মানুষের সামনে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় আপনাকে খুবই কৌশলী হতে হবে। শ্রোতাদের চোখে তাকান। তাঁদের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে আপনার স্ক্রিপ্ট পরিবর্তন করতে হতে পারে, সে জন্য তৈরি থাকুন। খুব দ্রুত কথা বলছেন কি না, সেটা বুঝতে হলে আগে নিজেই নিজের কথা মুঠোফোনে রেকর্ড করুন। বারবার অনুশীলন করুন। কথা বলার সময় অবশ্যই বক্তব্য গুছিয়ে নেবেন। অন্তত একটা ছক তৈরি করে নিন। প্রথম মিনিটে কী বলবেন, দ্বিতীয় মিনিটে কী আলোচনা করবেন আর বক্তব্য শেষ করবেন কীভাবে—সাজিয়ে নিন। ______ ৫. থিসিস বা গবেষণা উপস্থাপন::::::---- জটিল বাক্য ও নেতিবাচক কথা পরিহার করুন যাঁরা গুছিয়ে কথা বলেন, তাঁরা আসলে কম শব্দে খুব বেশি কাজের কথা বলেন। কথা বলার সময় জটিল বাক্য ব্যবহার করবেন না। শব্দভান্ডার কিংবা বিদ্যার দৌড় কখনোই কথার মধ্যে প্রকাশের চেষ্টা করবেন না। সরল ও সাধারণ শব্দ ও বাক্যে কথা বলার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখবেন, কথা বলার সময় অন্য কারও নামে নেতিবাচক বাক্য কিংবা শব্দ কোনোভাবেই বলবেন না। নেতিবাচক বাক্য ব্যবহারে আসলে নিজের দুর্বলতাই প্রকাশ পায়। সমালোচনা করতে হলে যৌক্তিকভাবে করুন। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিন।