সালাতে রাফউল ইয়াদাইন করা বা না করা উভয় বিষয়েই সহীহ হাদিস রয়েছে। তাহলে আমাদের করনীয় হওয়া উচিত দুটিই পালন করা। অর্থাৎ একেক সালাতে একেক রকম বা একেক সময় একেক রকম করি না কেন? ( প্রশ্নটির উত্তর মানসূর আহমাদ ভাইসহ অন্যন্য ভাই দিতে চেষ্ঠা করবেন)
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আসলেইি মুসলমানত্বির দাবি হল- প্রত্যেক বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করা। সুতরাং যেহেতু রাফউল ইয়াদাইন করা ও না করা সম্পর্কে দুই ধরনের আমল রাসুল থেকে পাওয়া যায়, তাই সবার উচিত উভয় ধরনের আমলই করা! কিন্তু আমরা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও কেন রাসুলের (সা.) সব হাদিসের ওপর আমল করি না- আসলেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন! সব ধরনের হাদিসের ওপর আমল না করার অনেক কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে রাফউল ইয়াদাইন না করার অন্যতম কারণ হল- শুধু তাকবিরে তাহরিমা ছাড়া অন্যান্য সব রাফউল ইয়াদাইন মানসুখ (রহিত) হয়ে গেছে। একারণেই আমরা সেগুলোর ওপর আমল করি না। দেখুন- প্রথমে রাফউল ইয়াদাইন প্রত্যেক উঠাবসায় ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা আস্তে আস্তে মানসুখ হয়। শেষপর্যন্ত কেবল তাকবিরে তাহরিমার রাফউল ইয়াদাইন বাকি থাকে। আর কোনো হুকুম মানসুখ হয়ে গেলে, তা আর পালন করা যায় না। একারণেই আমরা রাফউল ইয়াদাইনের অন্যান্য হাদিসের ওপর আমল করি না। আমাদের দেশে আহলে হাদিস বা লা মাজহাবি ভাইয়েরা রাফউল ইয়াদাইন করে থাকেন। তাদের অনেকেই হানাফিদেরকে বলেন যে, হানাফিরা রাফউল ইয়াদাইন না করে সহিহ হাদিসের ওপর আমল করছেন না! কিন্তু বাস্তবতা হল, তারা নিজেরাও সহিহ হাদিসের ওপর আমল করছেন না! কেননা, সহিহ হাদিসে প্রায় আট বার পর্যন্ত রাফউল ইয়াদাইন পাওয়া যায়। কিন্তু তারা মাত্র দুই তিন জায়গায় রাফউল ইয়াদাইন করেন! তাহলে বাকিগুলোর ওপর তো কেউই আমল করছেন না!! এটার কারণ কী? লা মাজহাবি ভাইয়েরা কী জবাব দেবেন, জানি না। তবে আমাদের জবাব হল- শুধু তাকবিরে তাহরিমা ছাড়া অন্যান্য সব রাফউল ইয়াদাইন মানসুখ হয়ে গেছে। তাই আমরা ওইগুলোর ওপর আমল করি না। না হয় মুসলমান হিসেবে অবশ্যই রাসুলের (সা.) হাদিসের ওপর আমল করা উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ