এখানে ২ টা ব্যপার আছে । এটা ফরজ না । তাই গুনাহ হবে না । তবে করা উত্তম । আর অরেকটা কথা হচ্ছে, আপনি কেন এই কাজটা ছাড়বেন ? এটা সিহাহ সিত্তাহর শ্রেষ্ঠ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত । তাছাড়া ইমাম বুখারি এই ব্যপারে আলাদা বইও লিখেছেন । কিছু মানুষের ভয়ে বা লজ্জায় (!) কেন একটা উত্তম কাজ ত্যাগ করবেন ? তাই রাফউল ইয়াদাঈন করাই উত্তম ।
মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের রাসুলের (সাঃ) হাদিসের ওপর আমল করা উচিত। যেহেতু রাফউল ইয়াদাইন করা ও না করা সম্পর্কে উভয় ধরনের আমল রাসুল (সাঃ) থেকে পাওয়া যায়, তাই সবার উচিত উভয় ধরনের আমলই করা। কিন্ত আমরা তা না করে কেন দ্বন্দ্বে লিপ্ত হই? এর অবশ্য-ই কোন-না কোন কারন রয়েছেঃ হাদিসে এসেছেঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম বার ব্যতীত নামাযে আর কোথাও রাফউল ইয়াদাইন করেন নি। আলকামা (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের 'নিয়মে' নামায আদায় করে দেখাব না? তিনি 'আবদুল্লাহ' নামায আদায় করলেন, কিন্তু প্রথম বার 'তাকবীরে তাহরীমার সময়' ছাড়া আর কোথাও রফউল ইয়াদাইন করেননি। (সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ২৫৭ হাদিসের মানঃ সহিহ।) তাই আমরা হানাফিরা নির্দিধায় বলতে পারি নামাযে রাফউল ইয়াদাইন না করলে কোন গুনাহ হবে না।