শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

মানুষের মৃত্যুর পর তার সেলসমূহ অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুবরণ করতে শুরু করে। মৃত্যুর পূর্বে এদের মাঝে কয়েক মিনিট রাসায়নিক বিক্রিয়া চলমান থাকে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়। ফলে দেহে অম্লত্ব বৃদ্ধি পায়।

পরবর্তীতে কোষে উপস্থিত এনজাইমের ক্রিয়ায় কোষের মেমব্রেন ভেঙ্গে যায় এবং পরিশেষ সম্পূর্ণ কোষ গলে যায়।

একই সময়ে মৃতদেহ প্রতি ঘন্টায় ০.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা হারাতে থাকে, যতক্ষণ না এটি কক্ষতাপমাত্রার সমান হয়।

রক্তনালিকা সমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং রক্ত শরীরের নিম্নাংশে এসে জমাট বাঁধে (যদি শোয়া অবস্থায় থাকে), ফলে ঐ অংশ লালচে বেগুনি এবং উপরাংশ পীত বর্ণ ধারণ করে।

২-৬ ঘন্টার মধ্যে শরীর শক্ত হয়ে যায়, একে বলে Rigor mortis। দেহের প্রোটিন লিঙ্ক আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার ফলেই এরকমটা হয়। রিগর মর্টিস ৩ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

এরপর পরিপাকনালীর ব্যাকটেরিয়াসমূহ দেহের টিস্যু ও সেল ভাঙতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ দেহাভ্যন্তর তরলে পরিণত করে। এসময় মারাত্মক দুর্গন্ধ বিশিষ্ট মিথেন ও হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস নির্গত হয়। সম্পূর্ণ এ পক্রিয়াকে বলে Puturefaction.

সৃষ্ট দুর্গন্ধ বিভিন্ন পোকামাকড়কে আকর্ষণ করে।

২০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে Butyric Fermentation নামক একটি প্রসেস শুরু হয়। এসময় দেহের অবশিষ্টাংশ সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায় এবং মাটির বিভিন্ন উপাদানের প্রভাবে মোল্ডে পরিণত হয়। 

বছর দুয়েকের মধ্যে সম্পূর্ণ দেহ ডিকম্পোজ হয়ে শুধু অস্থিগুলো অবশিষ্ট থাকে। এদের স্থায়িত্ব মাটির ধরণ ভেদে কয়েক বছর থেকে কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মানুষ মারা যাওয়ার পর। কবর দেওয়া হয়। তারপর কবরের কাযক্রম শুরু।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ