মহান আল্লাহ মানুষকে মৃত্যুর উপাদান দিয়ে সুষ্টি করেছেন তাই মানুষ মরণশীল।
মানুসের মস্তিকের কোষগুলো -নিউরন , এগুলো প্রতিস্থাপিত হয় না। তাই বয়সের সাথে নিউরনগুলো মারা যায় এবং মস্তিষ্ক ঠিকমত আর কাজ করতে পারে না বুড়ো হলে, তাই অনেক বুড়ো হলে , মস্তিকের কর্মক্ষমতা না থাকায় আমরা মারা যাই। মস্তিষ্ক ছাড়া মানব শরীরের আর সব কিছুই প্রতিস্থাপিত করা যায়।
মৃত্যু মানব জীবনের এক অবধারিত পরিণতি। পৃথিবীর সব কিছু থেকে পলায়ন করা সম্ভব হলেও মৃত্যু থেকে পলায়ন করা সম্ভব নয়।
এ কথা বিশ্বের সব দেশের, সব ভাষার এবং সব রকমের মানুষ বিশ্বাস করে। কারণ, এ পর্যন্ত যত মানুষ দুনিয়ায় এসেছে কেউ চিরস্থায়ী থাকতে পারেনি। সবাইকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে। এখন যারা বেঁচে আছেন তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। মহাসত্য এই মৃত্যুর কথা আমরা কি স্মরণ করি? করলেওবা কতটুকু করি? আল কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে- 'সব প্রাণকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। ' (সুরা আলে ইমরান, আয়াত-১৮৫) আরও ইরশাদ হচ্ছে- 'পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই ধ্বংস হয়ে যাবে। একমাত্র আপনার রবের পবিত্র সত্তা অবশিষ্ট থাকবে। ' (সুরা আর রহমান, আয়াত ২৬-২৭) আরেক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, তোমরা যেখানেই থাক মৃত্যু তোমাদের পাবেই। (সুরা নিসা, আয়াত-৭৬) অপর স্থানে উল্লেখ হয়েছে, 'তোমরা যে মৃত্যু থেকে পালাতে চাও, সে মৃত্যুর সঙ্গে অবশ্যই তোমাদের সাক্ষাৎ হবে। তারপর তোমাদের সেই মহান আল্লাহর কাছে ফেরত পাঠানো হবে যিনি প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য সব বিষয় জানেন। এবং তিনি তোমাদেরকে তোমাদের আমল ও কাজকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন। ' (সুরা জুমআ, আয়াত-৮)। হাদিসের কিতাবগুলোতেও মৃত্যুর ভয়াবহতা উল্লেখ হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি হজরত জাবের (রা.) বলেন, রসুল (সা.) বলেন, তোমরা মৃত্যু কামনা করবে না। কারণ, মৃত্যুর ভয়াবহতা বড় শক্ত। এ ছাড়া বান্দার হায়াত দীর্ঘ হওয়া এবং আল্লাহতায়ালা তাকে তওবার তওফিক দেওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। মুসনাদে আহমদ। প্রিয় পাঠক! আমাদের সবাইকে মৃত্যুর আগে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। মহান আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। নিজের গুনাহগুলো ক্ষমা চাইতে হবে। আল্লাহর কাছে এই আশা রাখতে হবে যে, আল্লাহ আমার গুনাহগুলো মাফ করে দেবেন। গুনাহ যত বেশিই হোক, আশা রাখতে হবে ক্ষমার। কারণ মহান আল্লাহ ক্ষমা চাওয়াকে ভালোবাসেন। ক্ষমা করাকেও ভালোবাসেন। তাই আল্লাহতায়ালা বান্দা ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায়কালে কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করেন এবং ক্ষমা উপহার দেন, আমিন
মানুষ মারা যায় এজন্যে যে যদি কোন একজন সন্ত্রাসী বা ক্ষমতাশালী ব্যক্তি যার ক্ষমতা নেই সেই সকল লোক কে নিজের গোলাম বানিয়ে নিতো আর সারা জীবন তাদের গোলাম বানিয়ে রাখতে যাদের ক্ষমতা নেই তরা সারা জীবন কষ্ট করে থাকতো।
সে জন্যই মানুষ মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর হাত থেকে কোন প্রাণীর বাচার উপায় নেই।
তবে মানুষ মরেও বাঁচতে পারে, তার কার্য তাকে চিরদিন বাঁচিয়ে রাখে। মানুষ মরেও বাঁচতে চাইলে ভালো কাজ করতে হবে তখন মরেও চিরদিন বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয় এবং অন্তরে।
তবে মৃত্যুর হাত থেকে নয়, মৃত্যুর হাত থেকে কোন প্রাণীর ক্ষেত্রে বাঁচার কোনো উপায় নেই। জন্ম হলে মৃত্যু হবে, এটাই স্বাভাবিক, এটাই পৃথিবীর নিয়ম।