আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন।এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে ফেরেস্তারাও তো ইবাদত করে।এর উত্তর হলো মানুষ কে তিনি বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছেন।মানুষ ইবাদত না করে অনেক ভুল করবে এবং তার জন্য একদিন ক্ষমাও চাইবে।আর তিনি কোরআন এ বলেছেন- "আল্লাহ তওবা কারীকে পছন্দ করেন॥" আর তাই তিনি মানুষকে তৈরি করেছেন।
আল্লাহ তায়ালার ১৮ হাজার মাখলুকের (সৃষ্টির) মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। একদিন আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে যে তিনি মানুষ সৃষ্টি করবেন।ফলে ফেরেশতারা জিজ্ঞাসা করলো, হে মাবুদ! আমরাই তো আপনার ইবাদত করছি তাহলে মানুষ সৃষ্টি করার কি দরকার? তখন আল্লাহ বললেন, হে ফেরেশতারা, "নিশ্চয়ই আমি যা জানি তা তোমরা জাননা"। তবে কুরআন মাজিদে মানুষ সৃষ্টির কারন পাওয়া যায়, আল্লাহ তায়ালা বলেন, "ওয়ামা খলাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিএয়াবুদুন" অর্থাৎ "আমি মানুষ আর জীনকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য"।
আল্লাহ তায়ালা এ ব্যাপারে বলেন:- আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।(সূরা:যারিয়াত:৫৬)
আল্লাহ আরো বলেন, পূণ্যময় তিনি,যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন,যাতে তোমাদের পরীক্ষা করেন কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী ক্ষমাময়। (সূরা মূলক ১-২)
জ্ঞানীদের নিকট একথা স্পষ্ট যে,যিনি যে জিনিস তৈরি করেন তিনি উক্ত জিনিসের হিকমত সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী জ্ঞাত থাকবেন।
আল্লাহ বলেন,আপনি বলে দিন আমার নামায,আমার কোরবানী এবং আমার জীবন এ মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে। তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল।(আনয়াম: ১৬২-১৬৩)