tusarmia80

Call

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়:

১। বেশি পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করা

দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় এই দুই ধরণের ফাইবার আছে। এই উভয় ধরণের ফাইবারই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারে। দ্রবণীয় ফাইবার শরীরের বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও নরম করে। অদ্রবণীয় ফাইবার মলের পরিমাণ করে। আস্ত শস্যদানা, পাস্তা, গমের ভুষি খাওয়া অনেক কার্যকরী হতে পারে।

২। সাহায্যকারী খাদ্য

নাশপাতি, ডুমুর, ব্রোকলি, কিউই, গাজর, পীচ ফল, আনারস এবং ডুমুর ইত্যাদি ফলগুলো নিয়মিত খান। এগুলোতে ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও প্রচুর ফাইবার থাকে বলে অন্ত্রের জন্য ভালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ ব্ল্যাকস্ট্রিপ গুড় খান। সকালে এটি আপনার কনস্টিপেশনকে সহজ করতে সাহায্য করবে। আখের গুড়কে অনেকবার জাল দিয়ে ঘন করে ব্ল্যাকস্ট্রিপ মোলাসেস তৈরি করা হয়। তাই এতে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম থাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৩। এড়িয়ে চলুন এই খাবার গুলো

চকলেট, অনেক বেশি পরিমাণে দুগ্ধজাত পণ্য, লাল মাংস, কলা ও ক্যাফেইন। ক্যাফেইন গ্রহণ করা নির্ভর করে আপনি ইতিমধ্যেই পানিশূন্যতায় ভুগছেন কিনা তার উপর। যদি পানিশূন্যতায় ভুগে থাকেন তাহলে ক্যাফেইন গ্রহণ না করাই ভালো।

৪। নিয়মিত ব্যয়াম

সক্রিয় জীবনধারা মেনে চলুন যেমন- দৌড়ানো, জগিং করা, সাঁতার কাটা বা অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করা। এর ফলে আপনার পরিপাক নালী স্বাস্থ্যবান থাকবে ও অন্ত্রের উপর ভালো প্রভাব ফেলবে।

৫। হারবাল চা ও উষ্ণ পানীয়

পুদিনা ও আদা উভয়েই পরিপাকের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। মেন্থল অন্ন নালীর পেশীকে শিথিল হতে সাহায্য করে। আদা তাপ প্রদানকারী গুল্ম তাই আদা শরীরের ভেতরে অধিক তাপ সৃষ্টি করে। হারবাল চিকিৎসকদের মতে আদা নিষ্ক্রিয় পরিপাককে গতি দিতে পারে। গ্রিনটি, ব্ল্যাকটি ও প্রাকৃতিক জোলাপ বা রেচক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। ল্যাক্টোজ অসহনীয়তার জন্য কিছু মানুষ দুধ পান করতে পারেননা। তবে যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে থাকেন তাহলে গরম দুধ খেলে আপনার কোষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য সকালে পানি বা চায়ের পরিবর্তে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

মুখের দুর্গন্ধ দীর করার নিয়ম:

প্রচুর পানি পান করুন

পানি শূন্যতায় ভুগলেও মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনাকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে এবং মুখের বাজে গন্ধ দূর করবে।

জিহ্বা ব্রাশ করুন

ব্রাশ করার মানে এই নয় যে কেবল দাঁতই ব্রাশ করবেন। জিহ্বাও ব্রাশ করা জরুরি। জিহ্বার জন্যও মনোযোগ প্রয়োজন। ব্যাকটেরিয়া জিহ্বাতেও বৃদ্ধি পায়। এতে মুখে দুর্গন্ধ হয়।

চুইঙ্গাম চিবানো

মুখের বাজে গন্ধ দূর করতে চিনি ছাড়া চুইঙ্গাম চিবুতে পারেন। এটি মুখের লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করবে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সাহায্য করবে এবং খাদ্যকণাও পরিষ্কার করবে।

চা খান

চায়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি মুখের দুগর্ন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর মধ্যে রয়েছে পলিফেন। এটি মুখের সালফার উপাদানকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।   

রোগা শরীল মোটা বানানোর উপায়:

১. স্বাস্থ্যকর খাবার খান :

আপনি হয়ত প্রচুর পরিমাণে খাচ্ছেন তারপরও আপনার স্বাস্থ্য ঠিকমত বাড়ছে না। তার কারণ হল আপনি খাচ্ছেন, কিন্তু ঠিক নিয়ম করে সঠিক খাবারটি খাচ্ছেন না। খালি পেট ভরে এটা সেটা খেলেই হবে না। খেটে হবে উপযুক্ত খাবারটি। আপনার শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, কার্বন এবং ফ্যাট এর প্রয়োজন হয় প্রতিদিন। এর জন্য প্রতিদিন বাদাম এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। প্রোটিনযুক্ত খাবার পেশী গঠনে সহায়তা করে। এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে মাংস গ্রহণ করুন। রোজ খান ডিম, পনির ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাত-রুটি-আলু। ওজন বাড়াতে চাইলে বসা ভাত খেলেই উপকার পাবেন। কেননা এটা থাকে প্রচুর ক্যালোরি। মিষ্টি খান রোজ।

২. বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন :

একটু পর পর তরল জাতীয় খাবারে ক্ষুধা দ্রুত তৈরি করে। এজন্য আপনি ক্ষুধা তৈরি করার জন্য একটু পর পর তরল জাতীয় যেকোনো খাবার খেতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ভারী খাবার খাওয়ার আগে এবং খাবারের মাঝখানে কখনই পানি খাওয়া ভালো না। এতে করে খাবার মাঝখানে পানি ক্ষুধাটাকে নিবারণ করে। ফলে ভারী খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না।

৩. ঘন ঘন খান :

আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে দিনে ৫ থেকে ৭ বার পরিমিত পরিমাণে খাবার খান। অামরা সচরাচর ৩ বার খেয়ে থাকি। আপনি দিনে ৬ বার খান কিন্তু পরিমাণটি নির্দিষ্ট করে। এতে করে আপনার খেতে কোনো সমস্যা হবে না। কলা, আম ইত্যাদি ফল বেশি পরিমাণে খাবেন। পাশাপাশি অন্যান্য ক্যালরিযুক্ত খাবারও গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন আপনি যত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাবেন আপনার দেহ থেকে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে প্রোটিন বেরিয়ে যাবে। তাই ভাজা বাদ দিয়ে বাদাম, পরিমিত মিষ্টি, ঘরে তৈরি নানান খাবার খান।

৪. সঠিক নিয়মে খান :

আপনি খাবার খাচ্ছেন কিন্তু কোনো নিয়ম মেনে খাচ্ছেন না এতে করে আপনার কোনো কাজই হবে না। আপনার ওজন কোনোভাবেই বাড়বে না। আপনি যদি নিয়ম করে খাবার তালিকা তৈরি করে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন বাড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দিনের একটি বড় তালিকা তৈরি করুন ও সেটি পালন করুন ঘড়ি ধরে। মোটামুটিভাবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে একটি ইতিবাচক ফলাফল পাবেন। ওজন বাড়ে সহায়ক খাবার গুলো রোজ খাবেন ও পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।

৫. শারীরিক ব্যায়াম :

অবাক হচ্ছেন? ভাবছনে আপনি রোগা মানুষ আপনার আবার ব্যায়াম কি? তাহলে জেনে রাখুন, কিছু বিশেষ ব্যায়াম শরীরের পেশী তৈরি করে ও ওজন বাড়ায়। তাছাড়া ক্ষুধার উদ্রেকও করে। জিমে যাওয়া শুরু করুন নিয়মিত, ট্রেইনারের কথা মেনে চলুন। চমৎকার শরীর তৈরি হবে।আবার আপনি যদি শুধু ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়েই যান আর কোনো ধরনের ব্যায়াম না করেন তাহলে আপনার শরীরের কিছু অংশে অতিরিক্ত মেদ দেখা দেবে যেমন তলপেটসহ অন্যান্য অংশে কিন্তু আপনার ওজন বাড়াতে খুব একটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে না। এজন্য যতটা সম্ভব শারীরিক ব্যায়াম করুন। এতে করে দেহের অতিরিক্ত মেদ নিঃসরণ করে একটা ভালো ওজন পেতে পারেন।

৬. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন :

ধূমপান একজন মানুষকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করে থাকে। এজন্য দেখা গেল যে স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য আপনি যতটা প্রয়োজন নিয়ম করে খাবার গ্রহণ করলেন কিন্তু পাশাপাশি ধূমপান চালিয়ে গেলেন। এতে করে আপনার কোনো ধরনের ইতিবাচক ফলাফল আসবে না। এর জন্য আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন আর ওজন বাড়াতে চান তাহলে আজই ধূমপান ত্যাগ করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
নিচে আপনার প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া হলো :
--------------------------------------------------------->
কোষ্ঠকাঠিন্য সহজে দূর করার উপায়:



★  প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে একটি খোসাসহ পুরো আপেল খান। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক কাপ কুসুম গরম পানি পান করুন। এটা হজমে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করবে।

 ★  বড় ১টি সাদা এলাচ এক কাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালবেলা এই এলাচটি থেঁতো করে দুধসহ খেয়ে ফেলুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাটি যদি ভয়াবহ রকমের বেশি হয় তাহলে সকাল ও রাতে একইভাবে দুধসহ এলাচ খান।


 ★  রাতে শোবার আগে এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। বাম কাত হয়ে ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে চিত হয়ে শোন। হাত দুপাশে রেখে পা উপর দিকে ওঠাতে থাকুন। যতটুকু পারেন। এবার ধীরে ধীরে পা নামিয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকবার করলেই আপনার টয়লেট পেয়ে যাবে। আর যদি এতেও কাজ না হয় তাহলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করুন। এরপর আবার পা ওঠা-নামা করতে থাকুন। 


★ নিয়ম করে প্রতিদিন হাঠুন ও প্রচুর পানি পান করুন।


জিব সাদা:
--------------------->
  জিব সাদা অথবা সাদা ছোপ ছোপ দাগ অনেকের জিভে সাদা সাদা ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। এটি মুখের ভিতরে ফাঙ্গাস হওয়ার ইঙ্গিত করে থাকে। যদি এই দাগ বেশি পরিমাণে হলে আপনি মারাত্নক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন। দীর্ঘদিন যাবত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন, ডায়াবেটিকসের রোগী, হজমের সমস্যা থাকলে অথবা অ্যাজমা থাকলে আপনার জিভে সাদা সাদা ছোপ ছোপ দাগ পড়তে পারে। এটি লিউকোপালকিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে। এছাড়া এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে ওরাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তাই দ্রুত চিকিৎসকেরর পরামর্শ নিন।



মুখে  দুর্গন্ধ দূরীকরণে করণীয় কাজ :
------------------------------------------------>

১। মুখে ঘা, ক্ষয়রোগ, মাড়ি রোগ হলে দ্রুত উপযুক্ত চিকিৎসা নেয়া অতিব দরকারি। এজন্য আপনার নিকটবর্তী ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
২। নিয়মিত দাঁত, মাড়ি, জিহবা পরিষ্কার করুন।
৩। নিয়মিত মাউথ অয়াশ দিয়ে গড়গড়া করুন।
৪। সকালে এবং রাতে শোবার আগে দাঁত ব্রাশ করুন। সেই সাথে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা ময়লা বের করতে ফ্রস ব্যবহার করুন।
৫। মুখে লালা বাড়াতে মাঝে মাঝে চুইংগাম চিবাতে পারেন।
৬। বর্তমানে বাজারে প্রোবায়োটিকস পাওয়া যায় সেগুলি খেলেও উপকার পাবেন আশা করা যায়।
৭। বড় কোন রোগের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকলে রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।



শরীর রোগা :
------------------->
রোগা শরীর ভাল করার জন্য আপনি একজন ভালো
ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এবং শরীর পরীক্ষা নিরিক্ষা করে
সঠিক রোগ নির্নয় করুন, ও তাহা সমাধানের চেষ্টা করুন।





ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ