আমার বোন প্রেম করে আমার ফুপাতো ভাই এর সাথে বিয়ে হয়। এবং এদের ৫ বছরের একটি ছেলে ও ৪ বছরের একটি মেয়ে আছে। তারা খুবই গরিব ,আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত। এমতাবস্থায় আমার মা ঋন করে জামাইকে মালদ্বীপে পাঠায় ,যাওয়া আগের মেডিকেল করে যায়নি। বিদেশে গিয়ে মেডিকেল করলে তার এইডস রোগ ধরা পড়ে। এমতাবস্থায় প্রায় এক বছর গেল। তারপর নিকটে সাধারণ একটি হাসপাতালে আমার বোনকে রক্ত পরীক্ষা করি, বিদেশের মেডিকেলের নামে। তো কোন সমস্যা ধরা পড়ে নি। আর বাচ্চাদের পরীক্ষা করা হয়নি। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছি। আমার বাবা মা তথা বংশে ভাল কোন শিক্ষিত লোক নেই, আমার বাবা চাচারা সবাই মূর্খ। এমতাবস্থায় আমার করনীয় কী?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার ভগ্নীপতিকে আবার কয়েকটা ক্লিনিকে HIV পরীক্ষা করান। যদি সব গুলা রিপোট HIV positive  হয় তবেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কারন HIV প্রাথমিক অবস্থায় ধরা খেলে এর চিকিৎসা আছে।
তবে আপনি যেহেতু বলছেন আপনার বোন ও ভাগ্নি HIV positive নয় সেহেতু বোনকে বলবেন স্বামীর সাথে যাতে কোনরূপ প্রনয়ে  না জড়ায়। আর আপনার ভগ্নীপতি আদর করেও আপনার ভাগ্নিকে চুমু না দে। এতে করে HIV সংক্রামিত হয়।
বাকি সব ঠিক আছে। ওনার সাথে চলা-ফেরা, খেলা-ধুলা করলে এ রোগ ছরাবেনা।
একই গোসল খানাই গোসল করলে এ রোগ ছরায় না।
একসাথেএকসাথে বসে খাবার খেলে এ রোগ ছরায় না।



সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণগুলো

১) দেহে লালচে দানা উঠা

২) প্রচণ্ড মাথা ব্যথা

৩) জ্বর

৪) গলা ভাঙ্গা

৫) লিম্ফগ্রন্থি ফুলে উঠা


সংক্রমণ পরবর্তী পর্যায়ের লক্ষণগুলো

১) কোনো কারণ ছাড়া দ্রুত দেহের ওজন কমতে থাকা

২) জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া

৩) কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হওয়া

৪) হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে উঠা

৫) ডায়রিয়ায় আক্তান্ত হওয়া


সংক্রমণের শেষ পর্যায়ের লক্ষণগুলো

১) ৩ মাসের বেশি সময় ধরে হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে থাকা

২) মুখ কিংবা জিহ্বা বাঁকা হয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝে সাদা সাদা দাগ পরতে দেখা যায়।

৩) দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা শুরু হয়। সবকিছু অস্পষ্ট এবং বিকৃত দেখতে পাওয়া

৪) দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে যাওয়া

৫) টানা ২-৩ সপ্তাহ বা এরচাইতে বেশি সময় ধরে অনেক বেশি জ্বর থাকা

৬) মাথা ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া

৭) শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া

৮) রাতের বেলা অনেক বেশি ঘাম হওয়া

৯) প্রচণ্ড দুর্বলতা বোধ করা


বড়দের ক্ষেত্রে যেসকল লক্ষণগুলো দেখা দেয় শিশুদের ক্ষেত্রে তা ভিন্ন হয়ে থাকে

১) দৈহিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হারে না হওয়া

২) ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া

৩) কানের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, টনসিল ইত্যাদিসহ নানা ছোটোখাটো সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করা

৪) হাঁটতে সমস্যা হওয়া

৫) বুদ্ধি ও মেধা বিকাশে দেরি হওয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আমার পরামর্শ হল, ছেলে মেয়ের পরীক্ষা করেন।।তারপর না ধরা পড়লে অনেক ভাল।।।।তারপর আপনার বোনকে তার সাথে ঘনিষ্ট মিলন বন্ধ করতে হবে।।।একসাথে বাস করলে, ঘুমালে রোগ ছড়াবে না।। আপনার দুলাভাইকে ব্যপারটা গোপনে জিজ্ঞেস করেন।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

এই মহুর্তে আপনার প্রথম দায়িত্ব হলো এইডস এর ভয়াবহতা আপনার বাবা-মা কে বোঝানো। আপনি যেহেতু একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন তাই আশা করি এসম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান আপনার আছে।

আপনি বললেন বিদেশে যাওয়ার নাম করে বোনের মেডিকেল টেস্ট করিয়েছিলেন, আমার মনে হয় এটি যথেষ্ট নয়। তাকে ভালো কোনো হাসপাতালে নিয়ে HIV টেস্ট করান, সম্ভব হলে তার ছেলেমেয়ের টেস্ট ও করিয়ে নিন। রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। 

এক্ষেত্রে আপনার ভগ্নীপতি দেশে আসলে তাকে আলাদা রাখুন, যত্নআত্তি যতখুশি করুণ তবে অবশ্যই আপনার বোনকে তার কাছ থেকে দূরে রাখুন।

//যদি রেজাল্ট পজিটিভ আসে তাহলে পরে আরেকটি প্রশ্ন করে জানাবেন//


একটি বিষয় আমার কাছে অদ্ভুত লাগছে, বিদেশে কারো এইডস ধরা পড়লে তাকে তো ডিপোর্ট করা কথা, কিন্তু আপনি বলছেন আপনার ভগ্নীপতি এখনো বিদেশেই আছে। 

ওনাকে বলুন আরেকবার HIV টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে।


আপাতদৃষ্টিতে আপনারা শঙ্কা মুক্ত, তবে অবশ্যই সচেতন থাকুন। আপনার পরিবার যেহেতু অশিক্ষিত তাই সবাইকে সচেতন করার দায়ভার আপনার উপরই বর্তায়, সুতরাং ভেঙ্গে পড়া চলবেনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ