শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
tusarmia80

Call

ওজন কমাতে নিয়মগুলো ফলো করুন।

(১) স্বাস্থ্যকর খাবার বা হেলদি ফুড নিয়ে অনেকেরই ভুল ধারণা থাকে। কারণ স্বাস্থকর খাবার বলতে অনেকেই বোঝেন মাংস ও চর্বি জাতীয় খাবারকে। ওজন কমাতে গিয়ে অতিরিক্ত হেলদি ফুড খেলে ওজন বাড়তে পারে। বাদাম, কলা, ডার্ক চকোলেট, অ্যাভোকাডো বেশি পরিমাণে খেলেও ক্যালরির কারণে ওজন বাড়তে পারে। সুতরাং ওজন কমাতে চাইলে ‘হেলদি ফুড, পরিমিত গ্রহণ’ কথাটি মনে রাখেতে হবে। 

(২) কেউ কেউ ওজন কমাতে গিয়ে সকালের নাস্তাকে ‘বাই বাই’ করে খালি পেটেই পার করেন পুরো সময়টা। কিন্তু ওজন কমানোর প্রাথমিক শর্ত নিয়মিত ব্রেকফাস্ট। ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই ব্রেকফাস্ট করেন না। এতে ওজন তো কমবেই না, বরং বেড়ে যায়। তাই না খেয়ে নয় বরং প্রতিদিনের সকালের নাস্তার তালিকায় নিয়ম করে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখাতে হবে ওজন কমাতে চাইলে।

(৩) বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সাধারণত রাত ১০টার আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। বেশি রাত করে খাবার খেলে ওজন কমাতে পারবেন না। রাত করে খাওয়ার কারণে অনেকে খেয়েই শুতে যান। এর ফলে গ্রহণ করা খাবার দ্রুত হজম হতে পারে না। এ কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। তাই রাতে ঘুমাতে যাবার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে ডিনার সেরে ফেলতে হবে।

(৪) স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই হজমে সাহায্য করবে এমনটি নয়। অনেক খাবার আছে যা স্বাস্থ্যকর হলেও শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে না। তাই যে সব খাবারে ভিটামিন সি-র পরিমাণ বেশি থাকে হজমে সাহায্য করে সে সব খাবার বেশি গ্রহণ করা উচিত। কারণ এরা একই সাথে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। যেমন- কমলালেবু, আঙুর বা লেবু জাতীয় খাবার।

(৫) পর্যাপ্ত ঘুম না হলে খিদে বাড়ানোর হরমোন ক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে খিদের পরিমাণ বেড়ে যায়। যে কারণে খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অনেকেই পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেন। সুতরাং ওজন কমাতে চাইলে রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টার একটি পরিচ্ছন্ন ঘুম খুবই জরুরি।

(৬) যেকোনো পানীয় চওড়া গ্লাসে বেশি বেশি নেন সবাই। এক গবেষণায় বলা হয়, লম্বা ও চিকন গ্লাসে পানীয় যে পরিমাণ নেন, খাটো ও চওড়া গ্লাসে তার চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি ঢালেন। তাই লম্বা ও চিকন গ্লাসে পানি খান।


(৭) কাঠবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি খাদ্য। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল আছে তা পুরো দিন শরীরে এনার্জি সরবরাহ করে। কাঠবাদামের ফাইবার ক্ষুধা কমায়। সকাল শুরু করুন একমুঠো কাঠবাদাম দিয়ে। ডাক্তাররা শরীরের সুস্থতার পাশাপাশি দেহের চর্বি নিয়ন্ত্রণে কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে লবণাক্ত কাঠবাদাম এড়িয়ে চলুন।


(৮) ওজন কমাতে সবচাইতে ভালো উপাদান হলো পানি। যদি শুধু পানীয়জল খেতে ভালো না লাগে তাহলে এর সঙ্গে অল্প লেবু বা শসা কিংবা টমেটোও যোগ করে নিতে পারেন। এতে বেশি ক্যালোরি যেমন যোগ হবে না, তেমনি অন্যরকম একটা ফ্লেভারও পাবেন।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ