মাথা ন্যাড়া করার প্রত্যাক্ষ কোন শারীরিক অপকার বা উপকার নাই। তবে পরোক্ষভাবে কিছু উপকার বা অপকার আছে।
উপকারঃ
১।মাথা ন্যাড়া করলে মাথার ত্বক পরিস্কার রাখতে সুবিধা বেশি ফলে মাথায় খুশকি, ত্বকের চর্মরোগ, ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২। পরিবেশ থেকে প্রচুর জীবানু চুলে আটকে যায় এবং মাথার ত্বক থেকে নির্গত তেলের পুষ্টির উপর নির্ভর করে জীবানুরা বাসস্থান গড়ে। ন্যাড়া করলে এই অসুবিধা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৩। মাথার ত্বক সহজে আলো অক্সিজেন পায় ফলে ত্বক পূষ্ট থাকে।
৪। ছোটদের ন্যাড়া করলে সাধারন ভাইরাস জর, সর্দি কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা হয়।
৫। ছোটদের ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয় যদিও তা খুব বেশি নয়।
অপকারীতাঃ
১। ন্যাড়া মাথায় রৌদ্রে বেশিক্ষন থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।
২। স্রেব্রাম, নিউরন কোষ তাপে কার্যকারীতা কমে যেতে পারে।
৩। প্রাকৃতিক ভাবে মাথাকে রক্ষার জন্যই চুল গজায়। এটি ভারসাম্য রক্ষায় কিঞ্চিত সাহায্য করে। ন্যাড়ার ফলে এই উপকার পাওয়া যায়না
৪। কিছু ক্ষেত্রে ন্যাড়া মাথা শারীরিক অস্বস্তি বাড়ায়।
৫। ন্যাড়া মাথা সহজে সুর্যের আল্ট্রাভায়োলেট সি গ্রহন করে। এতে ত্বকের ক্যান্সার, মাথা ব্যাথা, চোখের অসুবিধা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
৬। ন্যাড়া মাথার ত্বক সহজে মাথার আদ্রতা হারায়, এতে মাথার ত্বক ধীরে ধীরে পুরু জঠুর হয়ে বেশি বয়সের ছাপ ফেলে বাধক্য ঘটাতে পারে।
মাথা ন্যাড়া করার উপাকারীতা জানলে আজই আপনি মাথা ন্যাড়া করার জন্য আগ্রহ দেখাতে বাধ্য হবেন।
মাথা ন্যাড়া করার প্রথম এক দুইমাস বন্ধুসমাজে বা আত্বীয়স্বজনদের সামনে চলতে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতি স্বীকার হতে হয়। কিন্তু আপনি যদি এর উপকারীতা জানতে পারেন তবে আজই মাথা ন্যাড়া করায় আগ্রহ দেখাবেন।
আজ জেনে নিন,মাথা ন্যাড়া করার অজানা দশটি উপকারীতাঃ-
১) যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। তাদেরকে বলছি, আপনার মাথায় কি খুশিকীর উপদ্রব আছে?
আপনার মাথার ত্বক কি তেলতেলে ভাব থাকে?
তাহলে আজই আপনার মাথা ন্যাড়া করুন।
তারপর প্রয়োজনে ডাক্তার দেখান।
যারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগেন, তাদের মাথা টাক হওয়ার পেছনে প্রধান এবং একমাত্র কারন খুশিকী!!! এই খুশিকীর কারনেই আপনার মাথায় চুল টিকতে পারেনা। এই খুশিকী যতদিন আপনার মাথায় আছে,ততদিন কোন দূর্বল চুল আপনার মাথায় টিকতে পারবেনা।
আর এই খুশিকী আপনি হাজারো চেস্টা করেও পুরোপুরিভাবে পরিস্কার করতে পারবেন না।
তাই এক্ষেত্রে মাথা ন্যাড়া করার বিকল্প নেই।
২) অনেক ডাক্তার বলে থাকে যে, চুল পড়া সমস্যায় মাথা ন্যাড়া করে তেমন কোন উপকারীতা নেই।
প্রকৃতপক্ষে এই কথা যারা বলে, তারা পুরোপুরিভাবে নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বলে।
মাথা ন্যাড়া করার ফলে প্রথমত খুশিকী পুরোপুরিভাবে দূর হবে, দ্বিতীয়ত চুলের সকল ইনফেকশন ঘা দূর হবে। তৃতীয়ত, খুশিকীর কারনে অনেক চুল গজাতে পারেনা। মাথা ন্যাড়া করার ফলে সেইসকল চুল পুনরায় উজ্জীবিত হবে।
যাদের বংশে টাক সমস্যা আছে, তারা যদি অন্তত ২ বছর অন্তর অন্তর মাথা ন্যাড়া হয়,তবে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে রক্ষা পেতে পারে।
৩) অনেকের মতে বার বার মাথা ন্যাড়া করলে চুলের ফলিকে সমস্যা হয়। হ্যাঁ ঠিক। কিন্তু এটা শুধুমাত্র বাচ্চাদের হয়। যারা চুলের নতুন স্টাইল দিতে চাচ্ছেন বা চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য মাথা ন্যাড়া করা খুবই উপকারী।
যাদের সবেমাত্র চুপ পড়া শুরু হয়েছে, তারা ডাক্তার দেখানোর পর, চিকিৎসা করার শুরুতেই মাথা ন্যাড়া করে চিকিৎসা করুন। তাহলে অনেক ভালো উপকার পাবেন।
৪) যারা চুল পড়া বা টাক সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অনেকে আবার মাথা ন্যাড়া করার ১০-১৫ দিন পর পুনরায় মাথা ন্যাড়া করে থাকে। এই পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রে বৃথা।
কারন আপনি যখন প্রথম বার মাথা ন্যাড়া করবেন,তখন একাধিকবার চাছবেন। তাহলেই চলবে।
৫) মাথা ন্যাড়া করলে মস্তিস্কের জন্য অনেক উপকারী দিক আছে। আপনার চুল পড়া বা অন্যন্যা সমস্যা না থাকলেও আপনি মাথা ন্যাড়া করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রথমত মাথা ন্যাড়া করলে আপনার যৌণ শক্তি বাড়বে, দ্বিতীয়ত আপনার চিন্তাশক্তি আগের তুলনায় তীক্ষ্ণ হবে।
৬) যাদের ঘুম অনেক বেশি হয় বা যাদের মধ্যে অলসতা অনেক বেশি, তারা যদি মাথা ন্যাড়া করে তবে তাদের এই দুটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
৭) যাদের বংশে টাক আছে, তারা মাথা ন্যাড়া করার পর প্রতিদিন মাথায় সরাসরি ক্যাস্টর অয়েল দিবেন।
মনে রাখবেন চুল গজানোর ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েলের উপর কিছুই নেই। এই ক্যাস্টর অয়েল যেকোন বড় ডিপার্টমেন্ট সপ বা কসমেটিকস দোকানে পাবেন। দাম পড়বে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা।
৮) মাথা ন্যাড়া করার পর সম্ভব হলে একবার মাথায় মেহেদি পাতা বেটে দিবেন। কারন মেহেদি পাতা মাথার চুলের গোড়ার সকল ইনফেকশন দূর করবে।
যাদের চুল পড়া বা টাক সমস্যা আছে তাদের জন্য এই কৌশল।
৯) চুল পড়ার যত ধরনের ঔষধ আছে, প্রতিটি ঔষধের মারাত্বক সাইড ইফেক্ট আছে। যেমনঃ চুল পড়ার জন্য বাজারে ফার্মেসিতে যে স্প্রে পাওয়া যায় সেটি ব্যাবহারে আপনার যৌন শক্তি লোপ পাবে।
তারপর চুপ পড়া চিকিৎসায় পিআরপি করা হলে, আপনার শরীরে এলার্জির সকস্যার পাশাপাশি আপনি সন্তান ধারনে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন।
তাই চিকিৎসা না করে চুল পড়া বা টাক সমস্যাকে মেনে নিন। বিশ্বে তথা ব্যাংলাদেশে বেশিরভাগ সফল ও বিখ্যাত ব্যাক্তিদের মাথায় চুল নেই।
চুল পড়া রোগের সঠিক চিকিৎসা আবিস্কার করতে কেউ পারেনা এমন কিন্তু নয়। চুল পড়ার চিকিৎসা করতে গেলে শরীরে অন্য কোন ক্ষেত্রে আপনার মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। তাই চুলপড়ার চিকিৎসা না করাই শ্রেয়।
১০) ডাক্তারি চিকিৎসা বাদে চুল পড়ার সর্বোত্তর চিকিৎসা থেকে থাকলে সেটি হলো মাথা ন্যাড়া করা। আপনার চুলের গ্রোথ যতই কম হোক ন কেন, সম্পূর্ন চুল গজাতে ২ মাসের বেশি লাগবেনা।
গবেষণায় দেখা গেছে, চুল কামিয়ে ন্যাড়া মাথা হওয়া মানুষরা চুলওয়ালা মানুষের তুলনায় বেশি পৌরুষ শক্তিসম্পন্ন হয়ে থাকেন। সোশ্যাল সাইকোলজি অ্যান্ড পারসোনালিটি সায়েন্স জার্নালে আমেরিকার পেনসিলভিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ারটন স্কুলের অধ্যাপক আলবার্ট ম্যানিস তাঁর গবেষণালব্ধ ফলাফল তুলে ধরে জানিয়েছেন, চুল কামিয়ে চকচকে ন্যাড়া মাথার মানুষরা সচারচর ক্ষুরধার ও কঠিন স্বভাবের। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে তাদের প্রভাবশালী ও বেশি পৌরুষ বিরাজ করে। ঠিক যেমনটা দেখা যায় শক্তিমান নেতাদের মধ্যে। ম্যানিস তাঁর গবেষণাকালে তিন ধরনের পরীক্ষায় দেখেছেন, ন্যাড়া মাথার মানুষরা অনুভূতিগুলো প্রকাশে হন জেদি। চুল কামিয়ে ফেলা এবং মাথাভর্তি চুলওয়ালা লোকদের ছবি ও বর্ণনা দিয়ে তিনটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কাকে তাঁরা বেশি পুরুষালী, ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী বলে মনে করে। সব ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীরা ন্যাড়া মাথাদেরই বেশি পৌরুষবান মনে করেন। ঝাকড়া চুলেওয়ালা মানুষের চুল ডিজিটালি সরিয়ে ফেলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মৌখিক বর্ণনা ও লিখিতভাবে প্রশ্ন করেও দেখা গেছে, ন্যারা মাথাওয়ালাদের বেশি পৌরুষবান ও শক্তিশালী মনে করা হয়। শারীরিক বর্ণনা জানতে চাওয়া হলেও পরীক্ষার্থীরা ন্যাড়াদের লম্বা-চওড়া ও শক্তিবান বলে মত দিয়েছেন। অধ্যাপক আলবার্ট ম্যানিস বলেন, তাঁর ভাষায়, আমি আশ্চর্য হয়েছি, চুল কামিয়ে ফেলা মানুষদের প্রতি বেশি পৌরুষবান, আধিপত্য বিস্তারকারী মনোভাবের নিরেট অবস্থান দেখে। শারীরিক বর্ণনাতেও চুলওয়ালা মানুষদের চেয়ে ন্যাড়া মাথারা শক্তসামর্থ ও লম্বা-চওড়া বলে ধারণা করা হয়। মাথা কামিয়ে ন্যাড়া হওয়া ভয়ডরহীন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেরই প্রকাশ। পাতলা চুলের সুদর্শন মানুষরা কম প্রভাব বিস্তারকারী বলে গবেষণায় দেখা গেছে। অনেক ডাক্তারের কাছে শুনেছি একান্ত প্রয়োজন না হলে ন্যাড়া করা উচিত নয়।
মাথা ন্যাড়া হওয়ার উপকারীতা :
হোম কোয়ারিন্টিনে থাকাতে অনেক ছেলেদের মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া বা টাক করতে দেখা যাচ্ছে। গরমের সময় অনেক ছেলেদেরও মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া করতে দেখা যায়। মাথা টাক করার আসলেই কোনো উপকারিতা আছে কী? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চুল ফেলে ন্যাড়া করার উপকারীতা।
মাথা ন্যাড়া করার কথা শুনলেই অনেকেই নাক সিটকায়। মাথা ন্যাড়া করার উপাকারীতা জানলে আজই আপনি মাথা ন্যাড়া করার জন্য আগ্রহ দেখাতে বাধ্য হবেন।
মাথা ন্যাড়া করার প্রথম এক দুইমাস বন্ধুসমাজে বা আত্বীয়স্বজনদের সামনে চলতে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতি স্বীকার হতে হয়। কিন্তু আপনি যদি এর উপকারীতা জানতে পারেন তবে আজই মাথা ন্যাড়া করায় আগ্রহ দেখাবেন।
মাথা ন্যাড়া করার পর প্রথম দুইমাস পরিচিতদের সামনে যেতে একটু ইতস্ত বোধ হবে। আপনার চুলের গ্রোথ যতই কম হোক না কেন, সম্পূর্ন চুল গজাতে ২ মাসের বেশি লাগবেনা। কিন্তু মাথা ন্যাড়া করার উপাকারীতা জানলে আপনি আজই মাথা ন্যাড়া করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবেন ।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির একটি চুল ২ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত বেচে থাকতে পারে মাথায়। এরপর এ চুলটি মরে গিয়ে উঠে যায় এবং সেখানে আরেকটি নতুন চুল গজায়। কিন্তু সেই চুলের হেয়ার ফলিকলও মরে যায় তবে সেখানে আর নতুন করে চুল গজাতে পারে না। তখনই আসলে মাথায় টাক দেখা দিতে শুরু করে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া উচিৎ। চুল পড়া রোধে বেশি করে শাক সবজি খেলেও চুল পড়া রোধ করা সম্ভব।
আপনি কি অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন? মাথায় কি প্রচুর খুশকির উপদ্রব? তাহলে আজই মাথা ন্যাড়া করে ফেলুন। যারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগেন তাদের চুল পড়ার প্রধান এবং একমাত্র কারন খুশকি। এই খুশকির কারনেই আপনার মাথার চুল টিকতে পারেনা। এই খুশকি যতদিন আপনার মাথায় আছে ততদিন কোন দূর্বল চুল আপনার মাথায় টিকতে পারবেনা। আর এই খুশকি আপনি হাজার চেস্টা করেও পুরোপুরিভাবে দূর করতে পারবেন না। তাই মাথা ন্যাড়া করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই।
মাথা ন্যাড়া করার ফলে প্রথমত খুশকি পুরোপুরিভাবে দূর হবেই, দ্বিতীয়ত মাথার উপড়ের চামড়ার সকল ইনফেকশন বা ঘা দূর হবে। তৃতীয়ত, খুশকির কারনে অনেক চুল গজাতে পারেনা। মাথা ন্যাড়া করার ফলে সেই সকল চুল পুনরায় উজ্জীবিত হবে। যাদের বংশে টাক সমস্যা আছে, তারা যদি অন্তত বছরে ২বার মাথা ন্যাড়া হয় তবে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে রক্ষা পেতে পারেন।
যারা চুলের নতুন স্টাইল দিতে চাচ্ছেন কিন্তু স্টাইল দিতে পারছেন না, তাদের জন্য মাথা ন্যাড়া করা খুবই উপকারী। যাদের নতুন চুপ পড়া শুরু হয়েছে তারা ডাক্তার দেখানোর পরই মাথা ন্যাড়া করে চিকিৎসা শুরু করুন। তাহলে অনেক তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন। অনেকে আবার অধিক চুল গজানোর জন্য ১০-১৫ দিন পর পুনরায় মাথা ন্যাড়া করে থাকে। এই পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রে বৃথা।
মাথা ন্যাড়া করলে ব্রেণের জন্য অনেক উপকারী দিক আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে মাথা ন্যাড়া করলে আপনার যৌণ শক্তি বাড়বে এবং আপনার চিন্তাশক্তি আগের তুলনায় তীক্ষ্ণ হবে। আপনার চুল পড়া বা অন্যন্যা সমস্যা না থাকলেও আপনি মাথা ন্যাড়া করতে পারেন। এছাড়া যাদের ঘুম অনেক বেশি হয় বা যাদের মধ্যে অলসতা অনেক বেশি, তারা মাথা ন্যাড়া করে দেখতে পারেন, মাথা ন্যাড়া করার ফলে এই দুটি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
যাদের বংশে টাক সমস্যা আছে, তারা মাথা ন্যাড়া করার পর প্রতিদিন মাথায় ক্যাস্টর অয়েল দিবেন। চুল গজানোর ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েলের বিকল্প কিছু নেই। ক্যাস্টর অয়েল যেকোন বড় ডিপার্টমেন্ট সপ বা কসমেটিকস দোকানে পাবেন। মাথা ন্যাড়া করার পর সম্ভব হলে একবার মেহেদী পাতা বেটে মাথায় লাগান, এতে আপনার মাথার চুলের গোড়ার সকল ইনফেকশন দূর হবে। ডাক্তারী চিকিৎসা ব্যাতিত চুল পড়ার অন্যতম চিকিৎসা থেকে থাকলে সেটি হলো মাথা ন্যাড়া করা।
চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। তাদেরকে বলছি, আপনার মাথায় কি খুশিকীর উপদ্রব আছে?
আপনার মাথার ত্বক কি তেলতেলে ভাব থাকে?
তাহলে আজই আপনার মাথা ন্যাড়া করুন।
তারপর প্রয়োজনে ডাক্তার দেখান।
যারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগেন, তাদের মাথা টাক হওয়ার পেছনে প্রধান এবং একমাত্র কারন খুশিকী!!! এই খুশিকীর কারনেই আপনার মাথায় চুল টিকতে পারেনা। এই খুশিকী যতদিন আপনার মাথায় আছে,ততদিন কোন দূর্বল চুল আপনার মাথায় টিকতে পারবেনা।
আর এই খুশিকী আপনি হাজারো চেস্টা করেও পুরোপুরিভাবে পরিস্কার করতে পারবেন না।
তাই এক্ষেত্রে মাথা ন্যাড়া করার বিকল্প নেই।
অনেক ডাক্তার বলে থাকে যে, চুল পড়া সমস্যায় মাথা ন্যাড়া করে তেমন কোন উপকারীতা নেই।
প্রকৃতপক্ষে এই কথা যারা বলে, তারা পুরোপুরিভাবে নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বলে।
মাথা ন্যাড়া করার ফলে প্রথমত খুশিকী পুরোপুরিভাবে দূর হবে, দ্বিতীয়ত চুলের সকল ইনফেকশন ঘা দূর হবে। তৃতীয়ত, খুশিকীর কারনে অনেক চুল গজাতে পারেনা। মাথা ন্যাড়া করার ফলে সেইসকল চুল পুনরায় উজ্জীবিত হবে।
যাদের বংশে টাক সমস্যা আছে, তারা যদি অন্তত ২ বছর অন্তর অন্তর মাথা ন্যাড়া হয়,তবে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে রক্ষা পেতে পারে।
অনেকের মতে বার বার মাথা ন্যাড়া করলে চুলের ফলিকে সমস্যা হয়। হ্যাঁ ঠিক। কিন্তু এটা শুধুমাত্র বাচ্চাদের হয়। যারা চুলের নতুন স্টাইল দিতে চাচ্ছেন বা চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য মাথা ন্যাড়া করা খুবই উপকারী।
যাদের সবেমাত্র চুপ পড়া শুরু হয়েছে, তারা ডাক্তার দেখানোর পর, চিকিৎসা করার শুরুতেই মাথা ন্যাড়া করে চিকিৎসা করুন। তাহলে অনেক ভালো উপকার পাবেন।
যারা চুল পড়া বা টাক সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অনেকে আবার মাথা ন্যাড়া করার ১০-১৫ দিন পর পুনরায় মাথা ন্যাড়া করে থাকে। এই পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রে বৃথা।
কারন আপনি যখন প্রথম বার মাথা ন্যাড়া করবেন,তখন একাধিকবার চাছবেন। তাহলেই চলবে।
মাথা ন্যাড়া করলে মস্তিস্কের জন্য অনেক উপকারী দিক আছে। আপনার চুল পড়া বা অন্যন্যা সমস্যা না থাকলেও আপনি মাথা ন্যাড়া করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রথমত মাথা ন্যাড়া করলে আপনার যৌণ শক্তি বাড়বে, দ্বিতীয়ত আপনার চিন্তাশক্তি আগের তুলনায় তীক্ষ্ণ হবে।
যাদের ঘুম অনেক বেশি হয় বা যাদের মধ্যে অলসতা অনেক বেশি, তারা যদি মাথা ন্যাড়া করে তবে তাদের এই দুটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
যাদের বংশে টাক আছে, তারা মাথা ন্যাড়া করার পর প্রতিদিন মাথায় সরাসরি ক্যাস্টর অয়েল দিবেন।
মনে রাখবেন চুল গজানোর ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েলের উপর কিছুই নেই। এই ক্যাস্টর অয়েল যেকোন বড় ডিপার্টমেন্ট সপ বা কসমেটিকস দোকানে পাবেন। দাম পড়বে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা।
মাথা ন্যাড়া করার পর সম্ভব হলে একবার মাথায় মেহেদি পাতা বেটে দিবেন। কারন মেহেদি পাতা মাথার চুলের গোড়ার সকল ইনফেকশন দূর করবে।
যাদের চুল পড়া বা টাক সমস্যা আছে তাদের জন্য এই কৌশল।
চুল পড়ার যত ধরনের ঔষধ আছে, প্রতিটি ঔষধের মারাত্বক সাইড ইফেক্ট আছে। যেমনঃ চুল পড়ার জন্য বাজারে ফার্মেসিতে যে স্প্রে পাওয়া যায় সেটি ব্যাবহারে আপনার যৌন শক্তি লোপ পাবে।
তারপর চুপ পড়া চিকিৎসায় পিআরপি করা হলে, আপনার শরীরে এলার্জির সকস্যার পাশাপাশি আপনি সন্তান ধারনে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন।
তাই চিকিৎসা না করে চুল পড়া বা টাক সমস্যাকে মেনে নিন। বিশ্বে তথা ব্যাংলাদেশে বেশিরভাগ সফল ও বিখ্যাত ব্যাক্তিদের মাথায় চুল নেই।
চুল পড়া রোগের সঠিক চিকিৎসা আবিস্কার করতে কেউ পারেনা এমন কিন্তু নয়। চুল পড়ার চিকিৎসা করতে গেলে শরীরে অন্য কোন ক্ষেত্রে আপনার মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। তাই চুলপড়ার চিকিৎসা না করাই শ্রেয়।
ডাক্তারি চিকিৎসা বাদে চুল পড়ার সর্বোত্তর চিকিৎসা থেকে থাকলে সেটি হলো মাথা ন্যাড়া করা। আপনার চুলের গ্রোথ যতই কম হোক ন কেন, সম্পূর্ন চুল গজাতে ২ মাসের বেশি লাগবেনা।