Call

মুসলমানদের স্বর্নযুগ ছিল মুটামুটি ৩০০-৫০০ বছর।   এরপর থেকেই রাজনৈতিক অধঃপতন শুরু হয়। খিলাফত ব্যবস্থা ভেঙে দেশগুলো আলাদা হতে শুরু করে। এর মধ্যে তাতারদের আক্রমন ও ক্রুসেড যুদ্ধের প্রকোপে মুসলিম জাহান লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক, সামাজিক, সামরিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামি দাওয়াত চাপের মুখে পড়ে আছে। প্রতিদিন অসংখ্য বই বের হচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন শত শত নিরিহ মুসলিম মারা পড়ছে,  শুধু মুসলিম হবার অপরাধে। এজন্যই সংখ্যার দিক থেকে ইসলাম ২য় অবস্থানে আছে। তবে "একনিষ্ঠ অনুসারীর" সংখ্যার দিক দিয়ে ইসলামই শীর্ষস্থান দখল করে আছে।  ইসলাম (খিলাফত) সুপার পাওয়ার থাকলেও অন্য ধর্মকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেনি, কিন্তু অন্য সব ধর্মই ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। তা সত্বেও ইসলাম এখন সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বা Fastest Growing ধর্ম। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

খ্রিষ্টান ধর্মের উৎপত্তি ঈসা (আঃ) হতে, যা তাদের কাছে যিশুখ্রিস্ট নামে পরিচিত। অপরদিকে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর আগমন হয় ঈসা (আঃ) এর আগমনের ৫৭০ বছর পর।এই লম্বা সময়ে খ্রিষ্ট ধর্মের আরো প্রচার হয় ও বংশানুক্রমে প্রসার চলে।কিন্তু মহানবী (সঃ) ইসলাম নিয়ে আসার পর এর প্রসারও হয় ভালভাবে যদিও ৫৭০ অনেক সময়।তাছাড়া মধ্যযুগীয় বিভিন্ন যুদ্ধে বিধর্মীদের তূলনায় মুসলমানরাই বেশি ভিক্টিম।সেই তুলনাই বর্তমানে বিশ্বে মুসলিম ১৮০ মিলিয়ন যা অনেক বেশি।অপরদিকে খ্রিষ্টান ২২০ মিলিয়ন যার বয়স বর্তমানে ২০১৮ চলে।এটাই একমাত্র কারণ....

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
  • 'নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম'।
  • (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১৯)
  • এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর বা নবী-রাসূল পৃথিবীতে এসেছেন। তাঁরা সকলেই মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন, আবার মুসলিম থেকেই মৃত‍্যুবরণ করেছেন। সকলেই প্রচার করেছেন 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ এক, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নাই)। তাঁরা সকলেই তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত নিয়ে পথভ্রষ্ট মানুষদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন।
  • সকল নবী-রাসূলরাই ইসলাম প্রচার করেছেন। হযরত আদম (আঃ), হযরত দাঊদ (আঃ), হযরত মূসা (আঃ), হযরত ঈসা (আঃ), হযরত ইবরাহীম (আঃ), হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সহ সকল নবী-রাসূলরাই মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন, মুসলিম থেকেই মৃত‍্যুবরণ করেছেন আর ইসলাম বা তাওহীদের বাণী প্রচার করেছেন।
  • পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পয়গম্বর ইসলাম ধর্মে, কথাটি ভুল। বরং সব পয়গম্বরই ইসলাম ধর্মের, যেহেতু সকলেই তাওহীদের বাণী, আল্লাহর বাণী, ইসলামের বাণী প্রচার করেছেন। নবী-রাসূলদের মধ্যে সর্বপ্রথম হযরত আদম (আঃ) আল্লাহর বাণী তথা ইসলামের বাণী প্রচার করেছেন (তাঁর সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে) আর সর্বশেষ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বাণী তথা ইসলামের বাণী প্রচার করেছেন (সমগ্ৰ বিশ্বের মানুষদের মধ্যে)। তাঁর ব‍্যবহার আর দাওয়াতে মুগ্ধ হয়ে কয়েক বছরেই ইসলাম কবুল করেছিলো পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। যারা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আল্লাহকে ভুলে গিয়ে, ইসলামের বাণী ভুলে গিয়ে কুফর শিরকী করে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিলো, তাঁরাও হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর ব‍্যবহারে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম কবুল করেছিলো।
  • হযরত মূসা (আঃ), হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহর বাণী তথা ইসলাম প্রচার করেছেন, কিন্তু তাঁদের বিদায়ের পর তাঁদের অনুসারীরা কুফরী শিরকী করে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। তারা হযরত মূসা (আঃ), হযরত মরিয়ম (আঃ), হযরত ঈসা (আঃ) এর নামকে বিকৃত করে ফেলে, ধর্মগ্রন্থকে বিকৃত করে ফেলে, এমনকি 'আল্লাহ' নামের পরিবর্তে 'Dog' এর সাথে মিল রেখে 'God' নামের প্রচলন শুরু করে। ধর্ম বিচ‍্যুত হয়ে তারা খ্রিস্টান, ইহুদি, নাসারা নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাদের কাছে তাদের সন্তান-সন্ততি থেকেও নিকৃষ্ট প্রাণী কুকুর বেশি আদুরে। তারা হচ্ছে পথভ্রষ্ট জাতি, অভিশপ্ত জাতি।
  • হযরত ঈসা (আঃ)-কে মহান আল্লাহ তায়ালা মৃত‍্যু ব‍্যতীত ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন। কিয়ামতের পূর্বে হযরত ঈসা (আঃ) পৃথিবীতে নামবেন এবং হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর উম্মত হয়ে ৪০ বছর রাজত্ব করবেন। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর সময় পৃথিবীতে মুসলমানদের সংখ‍্যাই সবচেয়ে বেশি ছিলো। তাঁর উম্মতেরা হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে ইসলামী শাসন কায়েম করেছে। কিন্তু কুরআন, হাদীস থেকে দূরে সরে যাওয়ায় একটা সময় তাঁর উম্মতেরা ক্ষমতা, রাজত্ব দুটোই হারিয়ে ফেলেছে, কিছু মানুষ তো নাস্তিকেই পরিণত হয়ে গেছে।
  • বর্তমানে অভিশপ্ত খ্রিস্টান, ইহুদি, নাসারাদের নির্মমতার শিকার হয়ে মুসলমানরা নির্মমভাবে তাঁদের প্রাণ হারাচ্ছে। নিষ্ঠুর জঙ্গি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদিদের বর্বরতার শিকার হয়ে নিরীহ মুসলমানরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন দেশে প্রাণ হারাচ্ছে। আবার বিবেকবান, হৃদয়বান অনেক হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি ভাই-বোনেরা ইসলামের বাণী আর দাওয়াতে মুগ্ধ হয়ে প্রতিনিয়তই ইসলাম কবুল করে নিচ্ছে। নিষ্ঠুর জঙ্গি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদিরা হিংসাপরায়ণ হয়ে মুসলিম নিধন করে এবং বিভিন্ন কুপথ অবলম্বন করে মুসলমানদের সংখ‍্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
  • কিন্তু গবেষণা বলছে, ২০৫০ সালের পর পৃথিবীতে মুসলমানদের সংখ‍্যাই হবে সবচেয়ে বেশি।
  • ধন্যবাদ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ