সত্যি কথা হলো আমি বর্তমানে এটাতে আসক্ত..মুক্তি কিভাবে সম্ভব?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে সেগুলি হলো :- পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে সেগুলি হলো :- ১। পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক হয়ে যায়। অর্থাৎ যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়। ২। আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয় । বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না । ৩। অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম । যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয় । (যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয়না। ) ৪। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়। হস্তমৈথুনের ফলে শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয় :- হস্তমৈথুনের ফলে পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ – বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায় । মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে। স্মরণ শক্তি কমে যায় এবং চোখেরও ক্ষতি হয় । আরেকটি সমস্যা হল সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া যাকে বলা হয় Leakage of semen । ফলে অনেক মুসলিম ভাই নামায পড়তে কষ্ট হয়। তাই এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে অভিজ্ঞ কোনো হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে ট্রিটমেন্ট নিন। দেখবেন অল্প কিছু দিনের চিকিত্সায় মন থেকে হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর হয়ে আপনি চিরদিনের মত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন আপনি কিভাবে এই বদঅভ্যাস পরিহার করবেন??? ১. আপনি কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন। ২. মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন। এব্যাপারে ইসলামেরও কড়া নির্দেশ আছে আর এর জন্য পরকালে কঠিন শাস্তিও নির্ধারণ করা আছে। মহান আল্লাহ আগে পুরুষদের কে পর্দা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পুরুষের পর্দা মানে দৃষ্টি সংযত রাখা। ৩. যতটা সম্ভব নিজেকে কোনো ভালো কাজে ব্যস্ত রাখুন। ৪. ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনেই নেশা থেকে মুক্তি পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। চেষ্টা করে যান। চেষ্টা করতেই থাকুন।ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হবেন ই। ৫. পর্ণ ভিডিও দেখা এবং চটি গল্প পড়া থেকে বিরত থাকুন। পর্ণ ভিডিও দেখা ও চটি গল্প পড়ার কারণে স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে । আপনার কম্পিউটারে অথবা মোবাইলের মেমোরিতে পর্ণ ভিডিও থাকলে সে গুলো মুছে ফেলুন। এবং ফেসবুক ব্যবহার করেন থাকেন এবং ফেসবুকে চটি জাতীয় পেইজে লাইক দিয়ে থাকেন তাহলে সেগুলো আজই আনলাইক করে ফেলুন। এবং এই পেইজের পোস্ট যাতে আপনার হোম পেইজে না আসে সে জন্য ঐ পেইজ টি ব্লক করে দিন। তার সাথে আপনার ওয়েব ব্রাউজারে যদি পর্ণ বা চটি সাইট বুকমার্ক করা থাকে তাহলে এই ধরণের বুকমার্ক গুলো ব্রাউজার থেকে মুছে দিন। ৬. যেসব ব্যক্তিরা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ ভিডিও বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন। ৭. হস্তমৈথুনে চরম ভাবে আসক্ত হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন। ভালো গল্পের বই পড়তে পারেন অথবা আমাদের সাইট থেকেও আপনি ভালো ভালো গল্প পড়তে পারেন। ৮. সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। হাতে কোনো কাজ না থাকলে মজাদার মুভি দেখুন বা বই পড়ুন। অথবা মজাদার বা একশন ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে। আপনি মুসলিম হয়ে থাকেন তা হলে এই সময়টুকুতে ইসলামিক বই পড়তে পারেন অথবা যিকির আযকার ও নবী করীম (সাঃ) এর দরূদ পাঠ করতে পারেন। ৯. একা থেকে অথবা বাসায় বসে থেকে যদি পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে যায় তাহলে বাথরুমে গিয়ে প্রসাব করে আসুন। তাহলে উত্তেজনা ভাবটা কেটে যাবে। এবং ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। খেলাধুলা করতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে বসে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন। ১০. সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না এবং আলোচনাও করবেন না। ১১. গোসল করতে গিয়ে যদি হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকে তাহলে যথা সম্ভব দ্রুত গোসল সেরে বাথরুম থেকে বেরিয়ে যান এবং গোসল করতে গিয়ে লিঙ্গ নাড়াচাড়া করবেন না। ১২. যখনি মনে যৌন চিন্তাধারা উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন। ১৩. ভালো বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান। ১৪. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। ১৫. নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন। ১৬. ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন ১৭. অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই। ১৮. উপুর হয়ে ঘুমাবেন না। ঘুমের মাঝে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে বাথরুমে গিয়ে প্রসাব করে আসবেন। ১৯. বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না। ২০. মেয়েবন্ধু বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাপ বা যৌনালাপ করবেন না। ২১. আপনি যদি বিবাহের উপযুক্ত হয়ে থাকেন এবং বিবাহ করার সামর্থ্যবান হোন, মানে আপনার পরিবার সচ্চল অবস্থা থাকে তাহলে বিবাহ করে ফেলুন। চাকরীর আশায় বসে থাকবেন না। বাবা-মা’দেরও উচিৎ প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের যথা দ্রুত সম্ভব বিবাহ দিয়ে দেওয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হস্তমৈথুনের ক্ষতি কি কিঃ অনেকেই হস্তমৈথুন করেন যার ফলে শক্তি হ্রাস সহ নানাবিদ শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য বিষয় গুলো হলোঃ ১. শারীরিক ব্যথা এবং মাথা ঘোরা। ২. যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া। স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে যাওয়া থেকে যৌন দুর্বলতা সৃষ্টি হয়। যৌন দুর্বলতা মানে অকাল বীর্যপাত। যার কারণে বিবাহ পরবর্তী দাম্পত্য জীবনে আপনি অসুখী হতে পারেন এবং আপনার স্ত্রী অতৃপ্ত থেকে যেতে পারে। ৩. শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন । ৪. হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন এবং চোঁখে ঘোলা দেখতে পারেন। হস্তমৈথুনের কারণে দুই ধরনের সমস্যা হয়---(১)মানসিক সমস্যা। (২)শারীরিক সমস্যা। পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে তার মধ্যে একটি হল নপুংসকতা (Impotence)। [১] অর্থাৎ ব্যক্তি যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়।পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক(Impotent)হয়ে যায়। আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত(Premature Ejaculation)।অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে।ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না।[২] আরো একটি সমস্যা হল Temporary Oligospermia।[৩]। Oligospermia হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম।[২ কোটি]। যার ফলে Male infertility দেখা দেয়। অর্থাৎ সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয়। একজন পুরুষ যখন স্ত্রী গমন করেন তখন তার থেকে যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয় না।[৪]।অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।Dr.Liu বলেন-- "There is a huge change in body chemistry when one masturbates excessively" [৬] আর শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয়-- [১]Nervous system,heart,digestive system,urinary system এবং আরো অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায়। [২]চোখের ক্ষতি হয়। [৩]স্মরণ শক্তি কমে যায়। [৪]মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে।[১] আরেকটি সমস্যা হল Leakage of semen। অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয়। ফলে অনেক মুসলিম ভাই নামায পড়তে পারেন না। মহান আল্লাহ্ তা'আলার স্মরণ থেকে মুসলিমদের দূরে রাখে হস্তমৈথুন। আর কোন নারী যখন স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তখন তার Hymen (fold of mucous membrane partly closing the vagina in a virgin) break হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অর্থাৎ তার কুমারীত্ব(Virginity)হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকে স্বমেহন করতে গিয়ে কুমারীত্ব হারিয়ে ফেলে। এটা থেকে মুক্তির উপায়: ১. আপনি কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন। ২. মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন। এব্যাপারে ইসলামেরও কড়া নির্দেশ আছে আর এর জন্য পরকালে কঠিন শাস্তিও নির্ধারণ করা আছে। মহান আল্লাহ আগে পুরুষদের কে পর্দা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পুরুষের পর্দা মানে দৃষ্টি সংযত রাখা। ৩. যতটা সম্ভব নিজেকে কোনো ভালো কাজে ব্যস্ত রাখুন। ৪. ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনেই নেশা থেকে মুক্তি পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। চেষ্টা করে যান। চেষ্টা করতেই থাকুন।ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হবেন ই। ৫. পর্ণ ভিডিও দেখা এবং চটি গল্প পড়া থেকে বিরত থাকুন। পর্ণ ভিডিও দেখা ও চটি গল্প পড়ার কারণে স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে । আপনার কম্পিউটারে অথবা মোবাইলের মেমোরিতে পর্ণ ভিডিও থাকলে সে গুলো মুছে ফেলুন। এবং ফেসবুক ব্যবহার করেন থাকেন এবং ফেসবুকে চটি জাতীয় পেইজে লাইক দিয়ে থাকেন তাহলে সেগুলো আজই আনলাইক করে ফেলুন। এবং এই পেইজের পোস্ট যাতে আপনার হোম পেইজে না আসে সে জন্য ঐ পেইজ টি ব্লক করে দিন। তার সাথে আপনার ওয়েব ব্রাউজারে যদি পর্ণ বা চটি সাইট বুকমার্ক করা থাকে তাহলে এই ধরণের বুকমার্ক গুলো ব্রাউজার থেকে মুছে দিন। ৬. যেসব ব্যক্তিরা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ ভিডিও বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন। ৭. হস্তমৈথুনে চরম ভাবে আসক্ত হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন। ভালো গল্পের বই পড়তে পারেন অথবা আমাদের সাইট থেকেও আপনি ভালো ভালো গল্প পড়তে পারেন। ৮. সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। হাতে কোনো কাজ না থাকলে মজাদার মুভি দেখুন বা বই পড়ুন। অথবা মজাদার বা একশন ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে। আপনি মুসলিম হয়ে থাকেন তা হলে এই সময়টুকুতে ইসলামিক বই পড়তে পারেন অথবা যিকির আযকার ও নবী করীম (সাঃ) এর দরূদ পাঠ করতে পারেন। ৯. একা থেকে অথবা বাসায় বসে থেকে যদি পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে যায় তাহলে বাথরুমে গিয়ে প্রসাব করে আসুন। তাহলে উত্তেজনা ভাবটা কেটে যাবে। এবং ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। খেলাধুলা করতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে বসে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন। ১০. সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না এবং আলোচনাও করবেন না। ১১. গোসল করতে গিয়ে যদি হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকে তাহলে যথা সম্ভব দ্রুত গোসল সেরে বাথরুম থেকে বেরিয়ে যান এবং গোসল করতে গিয়ে লিঙ্গ নাড়াচাড়া করবেন না। ১২. যখনি মনে যৌন চিন্তাধারা উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন। ১৩. ভালো বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান। ১৪. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। ১৫. নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন। ১৬. ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন ১৭. অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই। ১৮. উপুর হয়ে ঘুমাবেন না। ঘুমের মাঝে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে বাথরুমে গিয়ে প্রসাব করে আসবেন। ১৯. বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না। ২০. মেয়েবন্ধু বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাপ বা যৌনালাপ করবেন না। ২১. আপনি যদি বিবাহের উপযুক্ত হয়ে থাকেন এবং বিবাহ করার সামর্থ্যবান হোন, মানে আপনার পরিবার সচ্চল অবস্থা থাকে তাহলে বিবাহ করে ফেলুন। চাকরীর আশায় বসে থাকবেন না। বাবা-মা’দেরও উচিৎ প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের যথা দ্রুত সম্ভব বিবাহ দিয়ে দেওয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Bastob

Call

হস্তমৈথুন একটি বদ অভ্যাস।এটা শরীরের জন্য ক্ষতি কর। এটাতে একবার আসক্ত হলে ছাড়ার  আর কোনো উপায় থাকে না। মহান আল্লাহ তালা যদি কাউকে বিশেষ ভাবে রহমত করে তাহলে সে ছাড়তে পারবে। আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যদি আল্লাহ তালা  রহমত করেই,

এর জন্য কিছু পরামর্শ

  1. প্রতিজ্ঞা করুন আপনি আর কোনো দিন হস্তমৈথুন করবেন না।
  2. পর্ণ ভিডিও দেখা বন্ধ করে দিন
  3. মন থেকে বাজে চিন্তা দূর করে দিন। যেমন কোনো মেয়ের সেক্স করার ইচ্ছা,  বিয়ে করে বউকে নিয়ে কিভাবে    কি করবেন, এমন চিন্তা ছেড়ে দিন।
  4. হঠাৎ করেই মনের মধ্যে এই ধরনের চিন্তা আসতে পারে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে। আপনি তখনি আপনার চিন্তা কে অন্যদিকে ফিরিয়ে নিবেন। 
  5. যখন নিজেকে এই ধরনের চিন্তা থেকে ফিরাতে না পারবেন তখন একা থাকবেন না, মানুষ জনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন
  6. উত্তেজনার সময় কখনওই বিছানায় ডলাডলি করবেন না    
  7. যখন অনেক দিন হস্তমৈথুন না করবেন তখন মনে হতে পারে: দেখি কত মিনিট হস্তমৈথুন করতে পারি বা বীর্য কত গাড় হয়েছে। সাবধান এসব পরিক্ষা করার দরকার নেই। পরিক্ষা করার মানে আপনি শেষ
  8. ভুলবশত যদি কোনো দিন হস্তমৈথুন করেই ফেলেন তখন আর চিন্তা করবেন না। ভাববেন এটা আপনার এক্সসিডেন্ট হয়েছে। 
  9. এই সময় আপনার মনে হতে পারে, প্রতিজ্ঞা তো ভঙ্গ করেই ফেলেছি এখন আর হস্তমৈথুন না করে লাভ কি। তাহলে চিন্তা করুন কেউ একবার এক্সসিডেন্ট হলে, সে কি ইচ্ছা করে বার বার এক্সসিডেন্ট হয়? তাহলে আপনি কেনো বার বার এক্সসিডেন্ট হবেন।  
  10. আপনার বন্ধুরা যারা হস্তমৈথুন করে তাদের সাথে হস্তমৈথুন নিয়ে আলাপ করবেন না। জানতে চাইবেন না কে কত বার হস্তমৈথুন করেছে। এতে আপনার হস্তমৈথুন এর প্রতি আগ্রহ বেরে যেতে পারে। 
  11. মনে রাখবেন হস্তমৈথুন করা কবিরা গুনা। আল্লাহ কে ভয় করুন। নামাজ রোজা সঠিক ভাবে পালন করুন।

হয়ত আল্লাহতালা আপনাকে এই জঘন্য কাজ থেকে মুক্তি দিতে পারে
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ