আমার বয়স ১৬। সপ্তাহে প্রায় ৩-৪ দিন স্বপ্নদোষ হয়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

স্বপ্নদোষ আসলে কোন মারাত্নক রোগ বা অসুখ নয়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।কারন প্রতিনিয়ত আমাদের বীর্য থলি পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।তাই সেগুলো কমানোর জন্য স্বপ্নদোষ ও প্রসাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।তবে অতিরিক্ত (সপ্তাহে ৩-৪ বারের বেশি) স্বপ্নদোষ হলে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। ::স্বপ্নদোষ দুর করতে করণীয়:: ১.আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমান। ২.যৌন চিন্তা,পর্ণগ্রাফি দেখা,খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।৩.সবসময় টেনশন,ধুমপান ও দুশ্চিন্তামুক্ত এবং পর্যাপ্ত ঘুমাবেন। ৪.ঘুমানোর আগে প্রসাব ও রাত্রে উঠে প্রসাব করবেন। ৫.প্রতিদিন সকালে ২চা চামচ মধু পান করলে সুফল পাবেন। ৬.দৈনিক বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন।৭.ইসবগুলের ভূসির শরবত অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ রোধ করে।৮.সব ধরনের উত্তেজক খাদ্য ও মেডিসিন গ্রহন থেকে বিরত থাকবেন। :::অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে হামদর্দ এর "জারনাইড" সিরাপ টি সেবন করুন। এছাড়াও যৌন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বিভিন্ন গুরুত্তপুর্ন কিছু সূরা পরে ঘুমান । ২.যৌন কোন চিন্তা করবেন না ,পর্ণগ্রাফি ছবি বা ভিডিও দেখা বাদ দিন ।৩.টেনশন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন, যদি ধুমপান করার অভ্যাস থাকে তাহলে পরিহার করুন । ৪.প্রতিদিন নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাবেন।  ৫.ঘুমানোর আগে প্রসাব করে নিন । ৬.প্রতিদিন সকালে ২চা চামচ মধু খান।  ৭.প্রতিদিনই বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন।

এবং মাদক সেবন থেকে বিরত থাকুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রশ্ন করেছেন, স্বপ্নদোষ থেকে বাচার উপায় কি? আমাদের দেশের তরুণ-যুবকরা সঠিক সময়ে যথাযথ যৌন শিক্ষাটা না পাওয়ার কারণে এই ধরনের বিষয়গুলি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তার উপর আবার রাস্তাঘাটে কিছু হার্বাল নামধারী ঔষধ বিক্রেতা নানা প্রকার ভয় দেখিয়ে তাদের আরো বিভ্রান্ত করে তোলে। একটি বিষয় মনে রাখবেন স্বপ্নদোষ হলো প্রতিটি পুরুষের একটা প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা না করলেও চলবে। প্রতিটি পুরুষ তাদের দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকে বীর্য পেয়ে থাকে এবং বীর্য থলিতে যখন মাত্রাতিরিক্ত বীর্য জমা হয় তখন বাকিটা স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এই ঘটনা না ঘটলে আপনার মাথা ভারী মনে হবে এবং অন্যান্য কাজ কর্ম করতে ততটা মনোযোগী হতে পারবেন না। তাই এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি সিস্টেম। স্বপ্নদোষ যদি সপ্তাহে ১ বারের অধিক এবং মাসে ৫ বারের অধিক হতে থাকে তাহলে এটা রোগের পর্যায়ে পড়ে যাবে। তখন এর যথাযথ চিকিত্সা নিতে হবে। কিন্তু আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে এবং রাতে গুরুপাক খাবার খেয়ে ঘুমান তাহলেও আপনার স্বপ্নদোষ হতে পারে। এক্ষেত্রে রাতে হালকা প্রকৃতির সহজে হজম হয় এই রকম খাবার গ্রহণ করতে হবে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে প্রতিদিন সকালে ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য ক্রনিক হলে হোমিও চিকিত্সা নিন, এর থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। যদি মনে হয় আপনার অধিক স্বপ্নদোষ হচ্ছে এবং তা রোগের পর্যায়ে পড়ে যাচ্ছে তাহলে ভালো একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন, কিছু দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবেন আশা করি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ