মজি বের হলে শরীর নাপাক হয়ে যায়.তাহলে কি ফরজ গোসল করতে হবে?

স্বপ্নদোষ হওয়ার পর গোসলে দেরি করতে নেই। এটা মাকরুহ। যে কোনো সময় যে কারো মৃত্যু  হতে পারে। আর নাপাক অবস্থায় কোন মুসলমান  মরতে চায়! তাই সর্বাবস্থায় পাক থাকাই কর্তব্য। স্বপ্নদোষ হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি গোসল করে নেওয়া উচিত। তাছাড়া সকালে গোসল না করে বিকেলে করলে দুপুরে জোহরের নামাজ পড়বেন কীভাবে!! তাই নামাজ পড়ার প্রয়োজনেই দুপুরের আগে গোসল করে নেওয়া জরুরি। 

অবশ্যই করতে হবে। যে কোন অবস্থায় আপনি যদি উপলব্ধি করতে পারেন যে আপনার বীর্যস্খলন হয়েছে তাহলে আপনার জন্য গোসল ফরজ হয়ে যাবে।

হ্যা আপনার রোযা সহি হবে। তবে ফজরের আগে অবস্যই গোসল করতে হবে।  তানাহলে আপনার ফজরের নামাজ কাযা হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব অতি তারাতারি গোসল করাই ভালো।

নাভির নিচের লোম 40  দিনের মধ্যে পরিষ্কার করা সুন্নত । এসম্পর্কে মুসলিম শরীফে হাদিস এসেছে, ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻳَﺤْﻴَﻰ ﺑْﻦُ ﻳَﺤْﻴَﻰ، ﻭَﻗُﺘَﻴْﺒَﺔُ ﺑْﻦُ ﺳَﻌِﻴﺪٍ، ﻛِﻼَﻫُﻤَﺎ ﻋَﻦْ ﺟَﻌْﻔَﺮٍ، - ﻗَﺎﻝَ ﻳَﺤْﻴَﻰ ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﺟَﻌْﻔَﺮُ...

হ্যাঁ রোজা হবে, তবে এ অবস্থায় সারাদিন অতিবাহিত করলে রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে। তথ্য সূত্র: আাহকামে যিন্দেগী,পৃষ্ঠা-২৬১।

শরীয়তের পরিভাষায় প্রস্রাবের আগে পরে যে আঠালো বা তরল ঘোলাটে পদার্থ বের হয় তাকে "ওদী"বলে। আর কামুত্তেজনার সাথে সুখানুভতি ছাড়া যে পদার্থ বের হয়,যা বের হওয়ার পরও লিঙ্গ শিথিল হয়না...

উলঙ্গ হয়েও ফরজ গোসল করা গেলেও এটা অনুচিত কাজ। আর এটা নির্জনতায় হতে হবে। যেমন, বাথরুমে- যেখানে কেউ দেখতে পাবে না। তবে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা অনুত্তম। কারণ, কোনো মানুষ...

দ্বিতীয় বার গোসলের প্রয়োজন নেই। তবে লিঙ্গ মাথা ধুয়ে নিতে হবে ও বীর্য যেখানে  লাগবে তা ধুয়ে নিতে হবে। এবং নামাজ পড়তে হলে নতুন করে ওজু করতে হবে। 

সামান্য উত্তেজনা তথা পূর্ণ উত্তেজনার পূর্বে যে, সাদা, পাতলা, তরল পদার্থ বের হয়। তার জন্য গোসল ফরয হবে না।  আর, যদি তা কাপড় বা শরীরে লাগে, তাহলে যেখানে  লাগবে সেইস্থান...

প্রস্রাবের সাথে বীর্য বের হলে ফরজ গোসল করতে হবে না, ভাল ভাবে প্রসাবের স্থান ধুয়ে নিলেই চলবে । তবে তেমন কোন অসুবিধা না হলে এবং মনের তৃপ্তির জন্য গোসল করাই ভাল।