আমি প্রচন্ড সাইনোসাইটিস সমস্যায় ভুগতেছি। চিরতরে বিদায় দিতে চাই সাইনাসকে। আমার কি করা উচিত?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সাইনোসাইটিস চিরবিদায় করা মোটামুটি অসম্ভব। সাইনোসাইটিস নিরাময়ের জন্য খুব জটিল চিকিৎসা/অপারেশন। তবে সাইনোসাইটিস বেশি থাকলে তা কমানোর জন্য বিভিন্ন নিয়ম কানুন মানতে হয়। যেমন :-

১. প্রতিদিন দুপুর একটার মধ্যে গুছল করা। প্রয়োজনে হালকা একটু ঘরম পানি ব্যবহার করা।

২. ধুলাবালি থেকে দূর থাকা।

৩. ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকা।

হোমিও প্যাথিক  ডাক্তারের কাছে গিয়েও বিভিন্ন চিকিৎসা করাতে পারবেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সাইনোসাইটিসের প্রথমিক অবস্থায় কিছু ব্যবস্থা নিলে এর ভেগান্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।এজন্য আপনি ধূমায়িত এলাকা ও দূষিত বায়ূ এড়িয়ে চলুন।ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখুন।এছাড়া উপসর্গ বিশেষে কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করুন যেমন-গ্লোনিয়াম,থুজা ,স্পাইজেলিয়া,বেলেজনা,মেডোরিনাম ইত্যাদি।তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্টারের পারমর্শে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সাইনোসাইটিসের কারণ ও চিকিৎসা

ডা.এস.জামান পলাশ

সাইনোসাইটিস অতি পরিচিত একটি সমস্যা। মুখমণ্ডল তথা মাখার খুলির চারদিকে চার জোড়া বায়ুভর্তি কুঠুরি থাকে। এসব কুঠুরিকেই বলা হয় সাইনাস। সাইনাসগুলোর নাম হচ্ছেথ ম্যাক্সিলারি, ফ্রন্টাল, ইথময়েডাল ও স্ফেনয়েডাল। সাইনাসের ইনফেকশন সাধারণত ম্যাক্সিলারি সাইনাস-এ হয়ে থাকে। মাথার খুলিতে অবস্থিত এই সাইনাসের বিভিন্ন কাজ রয়েছে। বলা হয়ে থাকে এসব সাইনাস নাকের মধ্যস্থিত বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র রাখে। মাথাকে হালকা রাখে এবং খুলির বিভিন্ন অঙ্গকে রা করে। সাইনাসের অভ্যন্তরীণ আবরণ হিসেবে থাকে এক ধরনের ঝিল্লি। এ ঝিল্লির প্রদাহকেই বলা হয় সাইনোসাইটিস।

সাইনোসাইটিসের কারণঃ- নাকের ইনফেকশন : নাকের মধ্যকার ঝিল্লিরই ধারবাহিকতা গড়ায় সাইনাস পর্যন্ত। আর তাই নাকে কোনো ইনফেকশন হলে তা ঝিল্লির নিচে অবস্থিত লসিকাতন্ত্রের মাধ্যমে সাইনাসে চলে যায়। বেশিরভাগ সাইনোসাইটিস ভাইরাসজনিত ইনফেকশনের পর ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশনের জন্য হয়ে থাকে। যেসব ব্যাকটেরিয়া এর পেছনে থাকে সেগুলো হলোথ স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, হেমোফিলাস ইনফুয়েঞ্জা, মেরাসেলা ক্যাটারালিস, স্ট্রেপটোকক্কাস পাইওজেনস, স্ফে অরিয়াস, এবং কেবসেলা নিউমোনিয়া ইত্যাদি।

সাঁতার : দূষিত পানি কিংবা উচ্চমাত্রার কোরিনযুক্ত পানিতে গোসল করলে পানি সাইনাসে গিয়ে ইনফেকশন করতে পারে।

আঘাত : যে কোনো আঘাতের কারণে সাইনাস ছিদ্র হয়ে উন্মুক্ত হলে ইনফেকশন হতে পারে।

দাঁতের ইনফেকশন : মাড়ির একদম শেষ প্রান্তের দুটি দাঁত তুলে ফেলার সময় দাঁতের গোড়া দিয়ে সাইনাস উন্মুক্ত হয়ে এবং ইনফেকশন হতে পারে।সরাসরি নয় তবে সাইনোসাইটিসের উদ্রেক করে এমন সব কারণের মধ্যে রয়েছে : নাক বন্ধ করে এবং নাকের নিঃসরণে বাধাদানকারী অবস্থার মধ্যে আছেথ নাকের প্যাক, নাকের বাঁকা হাড়, নাকের মাংস ফুলে বড় হয়ে যাওয়া (হাইপারট্রফাইড ইনফিরিয়র টারবিনেট), নাকের পলিপ ইত্যাদি। নাকের নিঃসরণ নাকের মধ্যেই আটকে থাকতে পারে এমন অবস্থার মধ্যে আছেথ সিসটিক ফাইব্রোসিস নামক রোগের কারণে নাকের ঘন নিঃসরণ, বড় এডিনয়েড, জন্মগতভাবে নাকের পেছনের ছিদ্রটি বন্ধ থাকা।

উপসর্গ মাথাব্যথা : সাধারণত মাথাব্যথা হচ্ছে এ রোগের উপসর্গ। ফুলে যেতে পারে চোখের নিচের কিংবা উপরের অংশের পাতা। চিবুক কিছুটা লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে। নাকের ভেতরের পুঁজ একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যাবে। নাকের ভেতরের মাংস ফোলা থাকতে পারে। নাকের হাড় বাঁকা থাকতে পারে।

চিকিৎসা -হোমিওপ্যাথিঃ-সাইনোসাইটিস চিকিৎসা শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব হয়।শুধু মাত্র নিয়মিত ৩ থেকে ৬ মাস ঔষধ সেবন করতে হয়।কারন রক্তের এলার্জি নির্মূল করতে না পারলে সাইনোসাইটিস নির্মূল হয়না,তাই হোমিও ঔষধে একটু সময় লাগে কিন্তু সাইনোসাইটিস নির্মূল হয়ে যাবে যা জীবনে আর হবে না।

এ্যালোপ্যাথিকঃ-সাইনোসাইটিসের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে। নাকে নাকে বিশেষ ধরনের ড্রপ দিতে হয়। এন্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে হয়। ব্যথার জন্য দেয়া যেতে পারে ব্যথানাশক। ওষুধে না সারলে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হয়। একসময় এ সমস্যার জন্য সাইনাস ওয়াশ করা হতো। ফাংশনাল এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন সাইনোসাইটিস নিয়ে অযথা ভুগতে হয় না। তবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে হতে পারে বিভিন্ন জটিলতা। সুতরাং জটিলতা এড়াতে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Source:Zamanhomeohall

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ