Call

পরামর্শগুলো মেনে চললে আপনার চোখে নেমে আসতে পারে সুখকর এক চমৎকার ঘুম। ১. উত্তেজক কোনো কিছু পরিহার করুন শারীরিক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ওষুধ বা মাদক পরিহার করলে আপনি তলিয়ে যেতে পারেন ঘুমের অতল রাজ্যে। অনেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সিগারেট কিংবা কফি পান করেন। এ দুটোই ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। সিগারেটের নিকোটিন এবং কফির কেফিন স্নায়ুর উত্তেজনা ঘটিয়ে তাড়িয়ে দেয় ঘুমটাকে। একই কথা প্রযোজ্য চকোলেট এবং ব্যথানাশক ওষুধের ক্ষেত্রে। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধগুলোও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। যারা চাইনিজ খাবারের অভ্যস্ত তাদেরও দেখা দেয় অনিদ্রা। অনেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অরেঞ্জ স্কোয়াশ বা কমলালেবুর পানীয় পান করেন। কিন্তু এতে থাকে টারট্রাজিন নামক এক ধরনের রঙ, যা অনিদ্রা ঘটায়। তাই সুখকর ঘুমের জন্য এ সবকিছুই পরিহার করতে হবে। ২. অ্যালকোহল ত্যাগ করুন কারো কারো ধারণা অ্যালকোহল ঘুমের জন্য বেশ সহায়ক। কিন্তু অতিরিক্ত অ্যালকোহল মস্তিষ্কে ঘুমের ছন্দে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। অ্যালকোহল পানে একটানা ঘুম হয় না, বারবার ঘুম ভেঙে যায়। অনেক সময় ঘুম আসেই না। তাই ভালো ঘুমের জন্য ত্যাগ করতে হবে অ্যালকোহলের মায়াটুকু। ৩. দুধ পান করুন অনেকের অবশ্য দুধ হজম হয় না। কিন্তু যাদের দুধপানে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটে না তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ পান করতে পারেন। দুধ, হরলিকস কিংবা ওভালটিনে থাকে ট্রিপটোফেন নামক অ্যামাইনো এসিড, যা মস্তিষ্কে গিয়ে সেরোটোনিন নামক রাসায়নিক উপাদানে রূপান্তরিত হয় এবং আপনার ভালো ঘুম নিশ্চিত করে। ৪. ঘুমের ওষুধ খাবেন না কেউ কেউ ঘুমের জন্য নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খান। কিন্তু এটা চলতে থাকলে ওই ওষুধটার প্রতি নির্ভরতা চলে আসে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন ঘুমের ওষুধ বাদ দিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই ঘুমাতে। ৫. ক্ষোভ পুষে রাখবেন না মনের মধ্যে ক্ষোভ, রাগ প্রভৃতি পুষে রাখলে তা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে। বিছানায় যাওয়ার আগেই আপনার ক্ষোভ দূর করুন। একা একা সুর দিয়ে গান করুন। প্রশমিত করুন মনটাকে। কারো সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়লে সমঝোতায় আসুন তার সাথে। ৬. সালাদ খান বেশি করে আপনি যদি নিয়মিত লেটুস খান আপনার ঘুমটা ভালো হবে। যদিও সালাদ ঘুমের জন্য বেশ সহায়ক তবু এর মধ্যে লেটুস নিদ্রা উদ্রেককারী হিসেবে কাজ করে। তাই আপনি যখন সালাদ খাবেন সালাদে লেটুস খেতে ভুলবেন না। ৭. দূর করুন শারীরিক রোগ ঘুম না আসাটা শুধু মানসিক কারণ কিংবা অন্যান্য কারণই নয়, শারীরিক কারণও এ ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক শারীরিক অসুখে ঘুম আসে না। আপনার ঘুম না এলে আপনি কোনো শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন কি না তা নিশ্চিত হতে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হোন। ৮. বিছানায় রাখুন সুগন্ধি প্রাচীন লোকেরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘরে ছিটিয়ে দিতেন সুগন্ধি। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু সুগন্ধি যেমন- পুঁদিনা, কর্পূর, সাইপ্রাস, লেবু, মেলিসা, গোলাপ, চন্দন প্রভৃতি পত্রবিশেষ গুল্মের সুগন্ধি নিদ্রা ডেকে আনে। তাই আপনার বিছানায় এসব সুগন্ধি মেখে রাখতে পারেন। ৯. গান শুনুন ধীরলয়ে হার্ড গানগুলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় কিন্তু আপনি যদি লাইট অফ করে বিছানায় শুয়ে পড়ে শরীরটাকে শিথিল করে ধীরলয়ে গান শুনতে থাকেন দেখবেন এক সময় ঘুমের ঢল নেমে আসবে আপনার চোখে। ১০. দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন দুশ্চিন্তা অনিদ্রার অন্যতম কারণ। সব সময় চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে। অনেকে আবার দুশ্চিন্তা করেন ‘ঘুম আসছে না’ এই ভেবে। ঝেড়ে ফেলুন সব দুশ্চিন্তা। অবগাহন করুন ঘুমের গহিন সমুদ্রে। আশা করি আজ থেকে আর কোনদিন আপনার ঘুমের ওষুধ লাগবে না। যখন-তখন ইচ্ছামত ঘুমাতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Saabiq

Call

এক্ষেত্রে আপনি শারীরিক পরিশ্রম করতে পারেন।শারীরিক পরিশ্রম হয় এরকম খেলাধুলা করলেও উপকার পাবেন। মানসিক চিন্তামুক্ত থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ঘুম আসবে, কিছু নিয়ম মেনে চলুন--- ১। ঘুমানোর আগে বেডরুম রাখুন অন্ধকার। বেডরুমে একটা ডিজিটাল ঘড়ি বা অন্য কোনো আলোর উৎস থাকলে তা ঘুমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত করে। ২। বেডরুম রাখুন ঠাণ্ডা। তাই বলে খুব বেশি ঠাণ্ডা না কিন্তু। ৬০-৬৭ ডিগ্রী ফারেনহাইটের মধ্যে থাকাটাই ঘুমের জন্য ভালো। ৩। ঘুমের এক ঘণ্টা আগে সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে দিন। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টিভি এ জাতীয় সবকিছু। চেষ্টা করুন এসব ডিভাইস বেডরুমের বাইরে রাখতে। এগুলো আমাদের ঘুমের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে। ৪। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বেশি না, দিনে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যায়াম করলেই দেখবেন আপনার কতো ভালো ঘুম হচ্ছে। তবে ঘুমানোর ঠিক আগে ব্যায়াম করবেন না। চেষ্টা করুন ঘুমাতে যাবার কয়েক ঘণ্টা আগেই সব ব্যায়াম সেরে ফেলতে। ৫। রাতে ভারী খাবার খাবেন না। বিকালের পর থেকে আমাদের হজমের ক্ষমতা কমতে থাকে। এ কারণে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খেলে শরীর ঘুমাতে চায় না। বিশেষ করে আমিষ জাতীয় খাবার বেশি রাত করে খাওয়া উচিৎ নয়। কিছু যদি খেতেই হয় তবে হালকা খাবার খান। ৬। বেডরুম রাখুন নিরিবিলি। সেই ঘরে কোনো ঘড়ির টিকটিক শব্দ যদি ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় তবে তা ঘরের বাইরে রেখে আসুন। রাতে ফোন বাজলে ঘুম ভেঙে যাবে, তাই তাকেও বাইরে রেখে আসতে পারেন। তবে একেবারে নীরব ঘরে ঘুম নাও হতে পারে। তাই ফ্যান চালিয়ে রাখতে পারে। এর একঘেয়ে শব্দে ঘুম ভালো হবে। ৭। দিনের বেলায় কম ঘুমান। ঘুমালেও সেই ঘুম যেন আধা ঘণ্টার বেশি না হয়। বিকেলের আগেই এই ঘুম সেরে ফেলুন। ৮। শরীর এবং মন শান্ত করুন করুন ঘুমানোর আগে। এর জন্য অনেক উপায় আছে, যেমন- – যোগব্যায়াম – হালকা গরম পানিতে গোসল – প্রার্থনা – অ্যারোমাথেরাপি – জার্নাল লেখা ৯। ধূমপান ছেড়ে দিন (যদি করে থাকেন)। ধূমপান হলো ক্যফেইনের মতো, শরীর উত্তেজিত করে রাখে এবং ঘুম আসতে দেয় না। ১০। ঘুম যদি না আসে তবে বিছানায় শুয়ে না থেকে উঠে পড়ুন। অন্য কোনো কাজ করুন যতক্ষণ না ঘুম আসে। কার্টেসী- ইন্টারনেট।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
BidhanDey

Call

একেবারেই যদি ঘুম হয়না তাহলে তো খারাপ, আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার আগে Epitra 0.5 স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ ১ বার খাবেন। যদি উপকার পান তাহলে ১ দিন বাদ দিয়ে দিয়ে পরের দিন খেয়ে দেখতে পারেন, খুব বেশিদিন খাবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ