শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

ভয় পাওয়ার কারণ : বিশেষ করে বাচ্চারা রাতের বেলায় অন্ধকারে বেশ ভয় পেয়ে থাকে। অন্ধকারে কোনোভাবেই নিজেকে নিরাপদ মনে করে তারা। আবার কিছু কিছু প্রাপ্তবয়ষ্কের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে। রাতের বেলায় লাইট না জ্বালিয়ে তারা ঘুমোতে পারেন না। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় যে, তারা এজন্য অন্ধকারে ভয় পায় না যে দানবজাতীয় কোনোকিছু তাদের এসে আক্রমণ করবে বরং তাদের ভয়ের কারণ হল নীরবতা। অন্ধকার ঘরে নীরবতা অনেক বেশি হয় যার ফলে সামান্য শব্দই গাঢ়ভাবে আমাদের কানে এসে লাগে। ফলে অন্ধকারে হওয়া অতিরিক্ত নীরবতাই ভয়ের মূল কারণ। ভয় পাওয়া ভালো : ভয় পেতে কেউ না চাইলেও গবেষণায় দেখা গেছে যে ভয় পাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। টাইম ফর কিডসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভয় পাওয়ার অনেক ভালো দিক রয়েছে। ভয় পেলে মস্তিস্কে এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে যার কারণে অবসাদ দূর হয়ে যায়। এমনকি অনেক চিন্তাও দূর হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে ভয়ে পেলে মস্তিস্কে এনডোরফিনস এবং ডোপামিনস নামের দুই ধরণের বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ প্রবাহিত হয় যা মনে সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করে। এছাড়া যখন কেউ ভয় পায় তখন তার দেহে অক্সিটক্সিন তৈরি হয়। এটি একজনের সাথে অন্যের সম্পর্ক তৈরিতে সাহায্য করে। যখন মানুষ তাদের ভয়ের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে তখন তারা নিজেদের আরও কাছাকাছি আসে । মানুষের ক্লান্তি দূর করতেও ভয়ের জুড়ি নেই। অনেক সময় ক্লাসে সবার সামনে বা স্কুলের কোনো অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার সময় ভয় কাজ করে আমাদের। তবে এই ভয়ের জন্যই আত্মবিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। আর কাজটাও সহজ হয়ে যায়। যদিও ভয় স্বাস্থের জন্য ভালো তবে এটা মনে রাখতে হবে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে ভয়কে অনুভব করে। যা কারও কাছে শুধু একটি মজার বিষয় সেটি অন্যের কাছে অনেক ভীতিকর কিছু হতেও পারে। ছোটদের ক্ষেত্রে ভয় দেখানো ব্যাপারটা নেতিবাচক। তবে যারা একটু বড় তাদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে চিৎকার দিয়ে ভয় দেখানোটা খারাপ না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ