হিন্দু ধর্মে এটি বিশ্বাস করলেও প্রকৃত পক্ষে এর বাস্তবতা নেই|ইসলামী মতে মানুষের জন্মমৃত্যু একবার|যে একবার মরবে সে আর কখনো দুনিয়াতে প্রাণ ফিরে পাবে না|আর মানুষের আত্না ভূত হয় না|ভূত বলে কোন জিনিস নেই|এগুলো সব ভুয়া|যার কোন বাস্তবতা নেই|তাই এসবে কান না দেওয়া উচিত|যার বাস্তবতা নেই,তাতে বিশ্বাসের কিছু নেই
হিন্দু ধর্ম হলো মানব রচিত ধর্ম।তাই এই ধর্মের মধ্যে কিছু কুসংস্কার, বা অন্ধ বিশ্বাস রয়েছে।সেই অন্ধ বিশ্বাসের মধ্যে একটি হলো পুণঃজন্ম।খোদ জ্ঞানী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই ইহা বিশ্বাস করেন না। ইসলাম ধর্মে যেমন আছে মৃত্যুর পর জীবন,সেটারই প্রতিচ্ছবি তাদের পুনঃজীবন।পার্থক্য হলো,ইসলামের বিশ্বাস মৃত্যুর পরের জীবন আখেরাত।আর হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস ফের দুনিয়ায়। ইসলাম ধর্মের যেমন বিশ্বাস পূণ্য করলে জান্নাত,পাপ করলে জাহান্নাম।তাদের বিশ্বাস, পুণ্য করে গেলে পুনঃজীবনে রাজা বাদশাহর রুপে আসবে।আর পাপ করে গেলে চতুষ্পদ প্রাণীরর রুপে আসবে।ইহাই হলো পুনর্জীবন।ইহা নিসক একটা অন্ধ প্রথা।কেননা স্বয়ং হিন্দু ধর্মে স্বর্গ নরকের বিশ্বাস আছে।যদি পুনঃজীবনকে বিশ্বাস করা হয়,তবে প্রশ্ন হয় একি মৃত ব্যক্তি স্বর্গে যায় কেমনে(?) আবার পুনঃজীবন হয় কেমনে(?)।বিধায় ইহা একটি কুপ্রথা।যেভাবে খোদ হিন্দুগণ ইহাকে অন্ধবিশ্বাস বা কুপ্রথা নামে অভিহিত করে থাকেন।।।
আসলে হিন্দুদের মতে 84 লক্ষ বার বিভিন্ন জোনি তে জন্মগ্রহন করার পর মানুষ রুপে জন্মগ্রহণ করে। তার আগে বিভিন্ন রকম জন্তু, জানোয়ার আরো বিভিন্ন জাতিতে জন্মগ্রহন করে। সেটা শুধু তার পাপ এর উপর নির্ভর করে। আর 7 জন্মের সম্পর্ক থাকে শুধুমাত্র স্বামী-এবং স্ত্রীর মধ্যে। আর তারা মরার পর ভূত বা প্রেত আত্মা রপে জন্মগ্রহন করে না। যখন কোন মানুষ যদি আত্মহত্যা করে তখন সে পৃথিবী ধংশ না হওয়া পর্যন্ত সে প্রেতআত্মা রূপে থাকবে। আর যখন কোন মানুষ স্বাভাবিক ভাবে মৃত্য বরণ করে। তাহলে তার জীবীত কালে তার পাপ-পূন্য বিচার করে তার নতুন কোন প্রাণী জোনিতে জন্মগ্রহণ করে। যদি আরো কিচু জানার থাকে তাহলে বলবেন। ধন্যবাদ