পড়া মনে রাখার উপায় ১. আত্মবিশ্বাস আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত। মনকে বোঝাতে হবে পড়াশোনা অনেক সহজ বিষয় আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে। তাহলে অনেক কঠিন পড়াটাও সহজ মনে হবে। কোনো বিষয়ে ভয় ঢুকে গেলে সেটা মনে রাখা বেশ কঠিন। আর পড়ালেখা করার উত্তম সময? হচ্ছে ভোর। সকালে মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে। ২. কনসেপ্ট ট্রি পড়া মনে রাখার ভালো কৌশল হলো ‘কনসেপ্ট ট্রি’। এ পদ্ধতিতে কোনো একটি বিষয়ে শেখার আগে পুরো অধ্যায়টি সাতটি অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশের জন্য এক লাইনে একটি করে সারমর্ম লিখতে হবে। তারপর খাতায় একটি গাছ এঁকে সাতটি সারমর্মকে গাছের একেকটি পাতায় লিখে রাখতে হবে। পাতাগুলোতে প্রতিদিন চোখ বোলালেই অধ্যায়টি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে। এটি একটি পরীক্ষিত বৈজ্ঞানিক ধারণা। বাংলা ও ভূগোলের জন্য এ কৌশলটি বেশি কার্যকর। ৩. কিওয়ার্ড যেকোনো বিষয়ের কঠিন অংশগুলো ছন্দের আকারে খুব সহজে মনে রাখা যায়। যেমন: রংধনুর সাত রং মনে রাখার সহজ কৌশল হলো ‘বেনীআসহকলা’ শব্দটি মনে রাখা। প্রতিটি রঙের প্রথম অক্ষর রয়েছে শব্দটিতে। এমনিভাবে ত্রিকোণমিতির সূত্র মনে রাখতে ‘সাগরে লবণ আছে, কবরে ভূত আছে, ট্যারা লম্বা ভূত’ ছড়াটি মনে রাখা যেতে পারে। এর অর্থ দাঁড়ায়, সাইন=লম্ব/অতিভুজ (সাগরে লবণ আছে), কস=ভূমি/ অতিভুজ (কবরে ভূত আছে), ট্যান=লম্ব/ভূমি (ট্যারা লম্বা ভূত)। ৪. কালরেখা ইতিহাস মনে রাখায় এ কৌশলটি কাজে দেবে। বইয়ের সব অধ্যায় সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নিয়ে গত ৪০০ বছরের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা বানাতে হবে। সেখান থেকে কে, কখন, কেন উল্লেখযোগ্য ছিলেন, সেটা সাল অনুযায়ী খাতায় লিখতে হবে। প্রতিদিন একবার করে খাতায় চোখ বোলালে খুব সহজে পুরো বই সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হবে। ফলে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। কিন্তু আলাদা আলাদাভাবে ইতিহাস মনে রাখাটা কষ্টকরই বটে! ৫. উচ্চঃস্বরে পড়া পড়া মুখস্থ করার সময় উচ্চঃস্বরে পড়তে হবে। এই পদ্ধতিতে কথাগুলো কানে প্রতিফলিত হওয়ার কারণে সহজে আয়ত্ত করা যায়। শব্দহীনভাবে পড়ালেখা করলে একসময় পড়ার গতি কমে গিয়ে শেখার আগ্রহ হারিয়ে যায়। আর আগ্রহ না থাকলে পড়া শেখার কিছুক্ষণ পরই তা মস্তিষ্ক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। শেখা হয়ে যাওয়ার পর বারবার সেটার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এটাও পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে। ৬. নিজের পড়া নিজের মতো ক্লাসে মনোযোগী হতে হবে। স্যারদের লেকচার ও পাঠ্যবইয়ের সাহায্য নিয়ে নিজে নিজে নোট করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। একটি প্রশ্নের উত্তর কয়েকভাবে লেখার চর্চা করতে হবে। নিজের তৈরি করা পড়া নিজের কাছে অনেক সহজ মনে হবে। পরবর্তী সময়ে নিজের লেখাটি দু-একবার পড়লে অনায়াসেই সেটি আয়ত্ত হয়ে যাবে এবং নিজের মতো করে লেখা যাবে। আর এভাবে পড়লে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কাও কম থাকে। ৭. নতুন-পুরনোর সংমিশ্রণ নতুন কিছু শেখার সময় একই রকম আরো বিষয় মিলিয়ে নিতে হবে। কারণ একেবারে নতুন কোনো তথ্য ধারণ করতে মস্তিষ্কের বেগ পেতে হয়। কিন্তু পুরনো তথ্যের সঙ্গে নতুন তথ্য সংযোজন করতে পারে খুব সহজে। উদাহরণস্বরূপ, ‘সিডি’ শব্দটি শেখার ক্ষেত্রে পুরনো দিনের কলের গানের কথা মনে রাখলে শব্দটা সহজেই মনে থাকবে। শুধু মনে রাখতে হবে, শব্দ দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা কী। ফিজিক্সের নতুন কোনো সূত্র শেখার সময় মনে করে দেখতে হবে, এ ধরনের সূত্র আগে পড়া কোনো সূত্রের সঙ্গে মেলে কি না। ৮. কেনর উত্তর খোঁজা এ নিয়মটা প্রধানত বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য প্রযোজ্য। তাদের মনে সব সময় নতুন বিষয় জানার আগ্রহ প্রবল হতে হবে। অনুসন্ধানী মন নিয়ে কোনো কিছু শিখতে চাইলে সেটা মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর কোনো অধ্যায় পড়ার পর সেটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ল্যাবে ব্যবহারিক ক্লাস করতে হবে। তবেই বিজ্ঞানের সূত্র ও সমাধানগুলো সহজে আয়ত্ত করা যাবে। ৯. কল্পনায় ছবি আঁকা বিষয়সদৃশ একটি ছবি আঁঁকতে হবে মনে। গল্পের প্রতিটি চরিত্রকে আশপাশের মানুষ বা বস্তুর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই বিষয়টি নিয়ে পড়তে বসলে মানুষ কিংবা বস্তুটি কল্পনায় চলে আসবে। এ পদ্ধতিতে কোনো কিছু শিখলে সেটা ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। আর মস্তিষ্ককে যত বেশি ব্যবহার করা যায়, তত ধারালো হয় ও পড়া বেশি মনে থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

 স্মৃতিশক্তি কীভাবে বাড়ানো যায়, কীভাবে পড়া অনেকক্ষণ মনে রাখা যায়,দেখে নিন

মনোযোগ তৈরি করা :

মানুষের সমস্ত ক্রিয়াই নিয়ন্ত্রণ করে মন। আর মনটিকেই প্রথমত বুঝিয়ে নিতে হবে যে এখন আমি এই কাজটি করব এবং এই কাজটি আমাকে মনে রাখতে হবে। তাই পড়ার বিষয়ে আগে মনোযোগ বসিয়ে নিতে হবে। যে পড়াটি পড়বেন সেই পড়াটিতে মনোযোগ স্থাপন করতে হবে।

মেডিটেশন করে নিন :
পড়াশোনায় মনোযোগ পুরোপুরি বসাতে চাইলে ব্রেন থেকে যাবতীয় যত চিন্তা তা মুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ ব্রেনটিকে রিফ্রেশ করতে হবে। এর জন্য মেডিটেশন সবচেয়ে উপযোগী। মেডিটেশন ব্রেনকে সতেজ ও চিন্তামুক্ত করে তোলে এবং এর কাজ করার ক্ষমতাকে হাজার গুল বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে মেডিটেশন করে নিতে পারেন।

জটিল টপিকগুলো বারবার পড়ুন :
মনে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই বারবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে বলেন বাবা মায়েরা। একটি বিষয়ে অনেক জটিল টপিক থাকতে পারে। এই জটিল টপিকগুলো একবার পড়ে মনে রাখা সম্ভব না। তাই এই ধরনের জটিল টপিকগুলো বারবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রয়োজনে অবসর সময়ে তা আওড়াতে পারেন। এতে বিষয়টি মনে থাকবে বেশি।

বাস্তবের সাথে মিলিয়ে পড়ুন :
কোনো কিছু মনে রাখার জন্য তা যদি বাস্তব কোনো বিষয়ের সাথে মিলিয়ে পড়া যায় তাহলে তা অনেক বেশি মনে থাকে। এজন্য যতটা সম্ভব বাস্তব কোনো বিষয়কে উদাহরণ হিসেবে ধওে পড়াটি মুখস্ত করুন।

পড়াটি কাউকে বোঝান :
স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা পড়াটি মনে রাখতে সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হল যে পড়াটি আপনি পড়েছেন তা অন্যকে যদি বুঝিয়ে বলা। এমন অবস্থাতে আপনি যদি কাউকে কোনো জটিল বিষয় বুঝিয়ে বলেন যেমনটা টিচাররা স্টুডেন্টদের বুঝিয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি আপনার ব্রেনে এমনভাবে গেঁথে যাবে যা কখনই আপনি ভুলবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Sakhawat

Call

গান শোনা, নাটক সিনেমা দেখা, কিছু দিনের জন্য ছেড়ে দিন।যা করলে ব্রেইন চাপ পড়ে তা আপাতত ছেড়ে দিন। শান্তিপুর্ণ পরিবেশে ঘুমান।নামাজ পড়ুন। মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন না জানলে গুগলে সার্চ দিন। ব্রেন চাপমুক্ত হওয়ার পর শান্তিময় পরিবেশে বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পড়ামনে রাখার উপায় ১.ভালোভাবে পড়া পড়ুন, ২.মনযোগ দিয়ে বুঝে পড়ুন, ৩.গুরুত্বসহ কারে পড়ুন, ৪.টেকনিক অবলম্বন করে পড়ুন, ৫.পড়াটা বার বার পড়ুন, ৬.হাঁটা বা বসা অবস্থায় পড়াটি স্মরণ করুন, ৭. কিছু দিন পর পর পড়াটা পড়ুন, ৮. পড়া পড়ার পূর্বে রব্বি জিদনি ইলমা ও দুরুদ শরীপ পড়ন!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল

হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত। মনকে

বোঝাতে হবে পড়াশোনা অনেক সহজ

বিষয় আমি পারব, আমাকে পারতেই

হবে। তাহলে অনেক কঠিন পড়াটাও

সহজ মনে হবে। কোনো বিষয়ে ভয়

ঢুকে গেলে সেটা মনে রাখা বেশ

কঠিন। আর পড়ালেখা করার উত্তম

সময? হচ্ছে ভোর। সকালে মস্তিষ্ক

ফ্রেশ থাকে। পড়া মুখস্থ করার সময় উচ্চঃস্বরে

পড়তে হবে। এই পদ্ধতিতে কথাগুলো

কানে প্রতিফলিত হওয়ার কারণে

সহজে আয়ত্ত করা যায়।

শব্দহীনভাবে পড়ালেখা করলে

একসময় পড়ার গতি কমে গিয়ে শেখার

আগ্রহ হারিয়ে যায়। আর আগ্রহ না

থাকলে পড়া শেখার কিছুক্ষণ পরই তা

মস্তিষ্ক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

শেখা হয়ে যাওয়ার পর বারবার

সেটার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এটাও

পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে অনেক

সাহায্য করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ