Call

প্রথমত মন:স্থির করার চেষ্টা করুন। নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না। ইসলামের সব বিধি-নিষেধ মেনে চলুন। খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকুন,কালেমার দাওয়াত দিন। মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নির্দেশের প্রতি লক্ষ্য রাখায় আমাদের প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকা উচিত। কোনোভাবেই যেন আমরা শয়তানের পাতা ফাঁদে আটকা না পড়ি এবং যেন কোনো প্রকারেই শয়তান আমাদের উপর ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে না পারে। প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকার অর্থ হলো, জীবনের সর্বসময়ে ও সর্বক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক উনার নিষিদ্ধ কাজসমূহ হতে বিরত থাকা ও নিজের জান-মাল, সন্তান-সন্তুতি এবং জীবনের সর্বস্তরে ও সকল কাজ-কর্মে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সন্তুষ্টির প্রত্যাশা রাখা। আর সকল বিষয়ে তাকদীরে ইলাহীর উপর রাজি থাকা। মহান আল্লাহ পাক উনার যে বান্দা তার জীবনের সকল কাজ-কর্মে এই নীতি ও আদর্শ রক্ষা করে চলে এবং তার উপর দৃঢ়পদ ও অবিচল থাকে সে বান্দার জন্যই মুক্তি, কল্যাণ ও সফলতা লাভ অনিবার্য ও অবধারিত। মহান আল্লাহ তায়ালা এই শ্রেণীর বান্দার দিকে ইঙ্গিত করে শয়তানকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “হে শয়তান! নিশ্চয়ই আমার খাছ বান্দাগণের উপর তোমার কোনো কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।” সুতরাং যে বান্দা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার যিকির-ফিকির করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার নেক বান্দাগণের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোশেশ করে বা করবে তার উপর শয়তান কখনো বিজয় হতে পারে না বা পারবে না। যাহিরী বা বাতিনী কোনো অবস্থায়ও তার নিকট পৌঁছতে পারে না। এমনকি এই শ্রেণীর কোনো বান্দার অন্তরে গুনাহর কল্পনাও জাগে না। শয়তান যদি এই ধরনের বান্দার নিকটে পৌঁছেও যায়, তবে সে নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়। এই সময় মহান আল্লাহ পাক উনার এই খাছ বান্দাগণ গায়িবী আওয়াজ শুনতে পান যে, যে ব্যক্তি নফসের কুমন্ত্রণা পরিত্যাগ করে হক্ব ও সত্যের অনুসারী হয় সে অবশ্যই হিদায়েতের সন্ধান পায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ