শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

খুসখুসে বা শুকনো কাশি নানা কারনে হতে পারে। যেমন, ঠাণ্ডাজনিত, ইনফেকশন এর জন্য, অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অথবা বংশগত কারণ । কারণ যেটাই হোক এই খুসখুসে কাশির যন্ত্রণা অনেক। শীতকাল এই কাশি হওয়ার একদম মোক্ষম সময়। শীতের বিশেষ করে রাতে এই কাশি যদি একবার শুরু হয় তাহলে কখন যে থামবে তার কোন গ্যারান্টি থাকেনা। আবার এই রোগের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা ও ডাক্তার দিতে হিমশিম খান। তবে আপনি একটু সচেতন হলে আমরা এই নাছোড়বান্দা কাশিকে কিছুটা হলেও বসে রাখতে সক্ষম হব।

তাই আসুন জেনে নেই কাভাবে ঘরোয়াভাবেই এই খুসখুসে কাশির চিকিৎসা করবেন।

ঠাণ্ডা বাতাস থেকে দূরে থাকুন (stay away from cold air)

আপনার যদি খুসখুসে কাশির সমস্যা থাকে তাহলে নিজেকে যতোটা পারুন ঠাণ্ডা বাতাস থেকে দূরে রাখুন। এই শীতের সময়টাতে প্রায় দিনই ভীষণ ঠাণ্ডা বাতাস বইবে, তার সেটা আপনার জন্য নতুন বিপদের সৃষ্টি করবে। তাই সরাসরি ঠাণ্ডা বাতাস থেকে যতোটা নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন তত বেশি এই কাশির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

ধূমপান করবেন না (don’t smoke )

খুসখুসে কাশির একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো ধূমপান করা। তাই আপনি যদি খুসখুসে কাশিতে আক্রান্ত রোগী হন তাহলে আজই ধূমপানকে না বলুন। কেনোনা আপনার হাজার হাজার টাকার ঔষধ কোন কাজেই আসবেনা যদি আপনি ধূমপায়ী হন। এটা সত্যি যদি আপনি আজই ধূমপান ছেড়ে দেন তাহলে দেখবেন কোন ঔষধ ছাড়াই আপনি কেমন সুস্থ হয়ে যাবেন।

গরম পানি (warm water )

খুসখুসে কাশির জন্য শীতকালে এই সমস্যায় পীড়িত মানুষগুলোকে একটু বাড়তি যত্নে থাকতে হয়। অন্যান্য সময় যেমন ই থাকুন না কেন শীতের এর সময়টাই আপনাকে সাবধানে থাকতে হবে। গোসলের সময় পারলে গরম পানি ব্যবহার করুন, এমনকি দিনে দুন তিন ঘণ্টা পর পর খানিকটা গরম পানি পান করতে থাকুন। বিশেষ করে রাতে ঠাণ্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

মধু (honey)

খুসখুসে কাশির একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক নিরাময় হচ্ছে মধু। আপনি যদি খুসখুসে কাশিতে আক্রান্ত হন তাহলে নিয়মিত মধু গ্রহণ করুন। এটি খুব যত্ন সহকারে আপনার এই কাশির সমস্যা কমিয়ে তুলবে। তবে হ্যাঁ যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা মধু গ্রহণ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।

আদা চিবানো (chew Ginger )

সামান্য একটা টুকরা আদা নিয়ে চিবুতে থাকুন। আর দেখুন আপনার কাশি কেমন থেকে যাবে। আপনি চাইলে আদাতে একটু লবণ মিশ্রিত করতে পারেন। প্রতিদিন এই আদা খাওয়াতে আপনার খুসখুসে কাশি অনেকটাই কমে আসবে।

তুলসী চা (tulsi tea )

সকাল বিকাল এক কাপ করে তুলসী পাতার চা পান করুন। খুসখুসে কাশিতে অনেকটা আরাম পাবেন। আপনি আপনার কাশির ধরণ অনুযায়ী চা পানের মাত্রা বাড়াতে পারেন।

পেঁয়াজ (onion)

কাঁচা পেঁয়াজের রস শুকনো কাশির জন্য খুব কার্যকরী। দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন কাশি কমে যাবে।

দুধ ও হলুদ (milk and turmeric )

রাতে যারা এই শুকনো কাশির কারনে ঘুমাতে পারেন না তারা এক টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের পেস্ট এক গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। এতে রাতে আপনাকে আর কাশির যন্ত্রণা পেতে হবে না।

আমলা (amla)

আমলা ভিটামিন সি ও মিনারেলের একটি বিশাল উৎস। প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ ফ্রেশ আমলা জুসের সাথে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি কেবল আপনার খুসখুসে কাশিই কমাবে না বরং নানা ধরণের রোগ শোক থেকে আপাকে রক্ষা করবে।

উপরের পরামর্শ গুলো মেনে চলাতে আপনার কাশি অনেকটাই কমে আসবে। শুধু আপনাকে একটু কষ্ট করে যেকোন পদ্ধতি একটানা কিছুদিন মেনে চলতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ