শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Hadiuzzaman

Call

আপনি যদি নিজেই বিশ্বাস না করেন যে আপনি পারবেন তাহলে অন্য কে কি করে বুঝাবেন যে আপনি পারবেন। আপনি যা করতে চান তা আপনাকেই করতে হবে। মাঝপথে যাদের সাহায্য এবং দিক নির্দেশনা পেলেন তাকে ধরতে হবে প্রত্যাশার বাইরে থেকে পাওয়া কোন উপহার। আপনি যদি অনলাইনে উপার্যন এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি হয়ত বুঝে গেছেন এখানে সুযোগ যেমন অনেক, ঠিক একি ভাবে এখানে প্রতিযোগিতাটাও অনেক বেশি। এটা এমন একটা যায়গা যেখানে সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে নিজেকে প্রমান করার অথবা টিকে থাকার কোন সুযোগ নেই। আপনাকে টিকে থাকতে হলে আপনাকে কাজ দিয়ে প্রমান করতে হবে যে আমি এটা পারি এবং আমি এটা পারব। আর প্রমান করার সুযগ পাওয়া এবং সুযগ সৃষ্টি করার মদ্ধ্যে যেই সমস্যাটার মুখমুখি মানুষ সবচাইতে বেশি পরে তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এর অভাব। আমি মুলত কিভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায় এটা নিয়ে প্রায় ২ মাস আগে একটি পোষ্ট লিখেছিলাম তারি বাংলা সঙ্কস্করন বলতে পারেন এটাকে। তো আপনি যদি আত্মবিশ্বাস এর অভাবে ভুগতে থাকেন তাহলে অনেক সহজ গন্তব্যটাকেও আপনি অনেক কঠিন বানিয়ে ফেলবেন। আমি আমার নিজের অভিগ্যতা থেকে কিছু সহজ এবং কার্যকরি উপায় নিচে উল্ল্যেখ করছি হয়ত আপনাদের কাজে আসতে পারে।

বার বার চেষ্টা করা
আপনি একটা কাজ চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না। আপনাকে আরেকজন বলল পেরে জাবেন, বার বার চেষ্টা করেন। আপনার কাছে মনে হতে পারে এটা কোন সমাধান না। আপনি হয়ত ভাববেন যে আপনাকে কোন মুল্যবান অথবা কার্যকরি সমাধান এর রাস্তা দেখানো হয় নি। কিন্তু অবিশ্যাস্য হলেও সত্ত্য যে এটাই সব চাইতে কার্যকরি সমাধান। ছোটবেলাতে ফিরে যান। যখন অ, আ লিখা শিখছিলেন। পারছিলেন না, পারছিলেন না। কিন্তু বাবা, মা হাল ছাড়ে নি। আর যার ফলে আমরা ঠিক ই শিখে গিয়েছিলাম। আর তার ফলাফল সরুপ আজকে এই ব্লগ পোষ্ট লিখছি। বাংলা লিখে আমি অভ্যস্ত নই, মুল সমস্যা যেটা হয় সেটা হচ্ছে কিছু ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ খুজে পাই না। কিন্তু আমি যদি নিয়মিত বাংলা লিখে যাওয়ার চেষ্টা করে যাই আমি বিশ্বাস করি আমার এই সমস্যার ও সমাধান হয়ে যাবে। তো আপনার কর্মখেত্রের প্রতিটা সমস্যার সমাধান ও আপনাকে নিজে থেকেই করতে হবে। আর তার জন্য আপনার করতে হবে চেষ্টা। হাল ছাড়া যাবে না। বার বার চেষ্টা করে যান। প্রতিটা চেষ্টা আপনাকে আগের বারের চাইতে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সফলদের কে অনুসরণ করুন
আপনি যে ক্ষেত্রে কাজ করছেন সেই ক্ষেত্রে হয়ত আগে কেউ সফল ভাবে কাজ করে গেছে। অথবা করছে। ক্ষেত্র সম্পূর্ণ নতুন হলে তার আসে পাসে কেউ অনেকটা একিরকম কোন প্রকল্পে কাজ করছে। আমরা সর্বদা যে ভুল টা করি তা হচ্ছে তার গতিবিধি, কর্ম্পদ্ধতি থেকে কিছু শেখার চেষ্টা না করে তাকে হিংসে করা শুরু করি। আর এখানেই আমরা পিছিয়ে পরি। আমরা খুব অনায়াসে তার সফলতাকে আমাদের অনুপ্রেরনাতে রুপান্তরিত করতে পারি। তার পথ অনুসরন করতে পারি। অথবা আমাদের পথের অনেক আগাম সমস্যা এবং সমাধান আমরা তাকে অনুসরন করে আগে থেকেই সমাধান করতে পারি, আর সমাধান করতে না পারলে অন্তত প্রস্তুত তো থাকা যাবে।

নিজে নিজে কথা বলা
সতর্কতাঃ একা একা অথবা নিজে নিজে কথা বলার কারনে কেউ যদি আপনাকে পাগল ভাবে তাহলে আমি দায়ি নই।
আপনাদের যদি হিন্দি গান শুনার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে হয়ত মনে থাকবে একটা সময় হিমেশ রেশামিয়া এর গান অনেক বাজত আনাচে কানেচে শপিং মল সব যায়গাতে। আমি অনেকের মধ্যে একজন ছিলাম যে কিনা হিমেশের গান পছন্দ করতাম না। কিন্তু আমি নিজের অজান্তে অনেক বার হিমেশের গান গেয়েছি। হঠাত করে আবিস্কার করেছি যে আমি ওনার গান গাচ্ছি। বেপার টা আসলে ঘটেছে কানের কারনে। কান সবসময় ওর গান শুনাতো। এই কারনে আমাদের গান দ্রুত মুখস্ত হয়, কারন কান এখানে গুরুতপুর্ন ভুমিকা পালন করে। যাই হোক মুল কথায় আসি। আপনি যদি আপনার অবসর সময়ে নিজে নিজে কথা বলেন যে আপনার লক্ষ কি। আপনি যদি আপনার মগজ এর মধ্যে বার বার অনুপ্রবেশ ঘটান আপনার লক্ষ টাকে তাহলে দেখবেন আপনার আত্যবিশ্যাষ অনেকটাই বেরে যাবে আপনার মধ্যে একধরনের বিশ্বাস জন্মাবে যে, হ্যা আমি পারবই।

লক্ষ্যটাকে ছোট ছোট করে ভাগ করুন
ধরুন আপনি সিড়ি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এর ত্রিশ তলাতে উঠবেন। যখন পাঁচ তলাতে উঠলেন, কিছুটা ক্লান্ত আপনি। যখন দশ তলাতে উঠলেন তখন আপনি যতটা না ক্লান্ত তার চাইতে বেশি ভেঙ্গে যাবে আপনার মনোবল যখন মনে হবে আরো বিশ তলা বাকি । কিন্তু আপনি যদি আপনার সেই একি পথ একি কষ্ট, কিন্তু ভাবনা অথবা দৃষ্টি ভংগিটাকে পালটিয়ে ফেলেন। একবারে ত্রিশ তলা হিসেব না করে ১০ তলা করে তিন বার ভাবুন। তখন ১০ তলাতে উঠার পর আপনার মনে হবে তিন ভাগের এক ভাগ শেষ করে ফেলেছি আর মাত্র ২ভাগ। পেরে যাব। গানিতিক ভাবে ঘটনা সমান হলেও মনস্তাত্তিক ভাবে আপনার আত্মবিশ্বাস বেরে যাবে।

ঠিক একি ভাবে, প্রফেশনাল সেক্টরটাকেও ভাগ করে নিন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে। তখন কি পারিনি তার চাইতে বেশি মনে হবে কতটুকু পেরেছি।
প্রভাবিত করতে পারে এমন উক্তি পড়ুন

একমাত্র সেই কোন ভুল করে না, যে কিছুই করে না। (বাংলাতে রুপান্তরিত)

এই উক্তিটা পড়ার পর আমার মনে হয় সবার ভিতরে একটাই অনুভুতি আসবে যে ভুল করাটাই স্বাভাবিক। এটার জন্য ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই। এরকম হাজারো উক্তি পাওয়া যাবে যা নিয়মিত পরলে আপনি উপলন্ধি করতে পারবেন, যারা সফল হয়েছে অথবা ছিল তারা সবাই আপনার আমার মত সাধারন মানুষ ছিলেন। আপনার আমার মতই সমস্যা এবং ভুল এর মধ্যে থেকেই তারা এগিয়ে গিয়েছে। তাই আপনি এবং আমিও পারবো এগিয়ে যেতে। কি আত্মবিশ্বাস কি একটু বাড়ছে?

সাক্ষাতকার
আমি সবসময় সাক্ষাতকার দেখতে পছন্দ করি। এটার মুল কারন হচ্ছে, সাক্ষাতকার এর মাধ্যমে অনেক লুকায়িত সত্য এবুং দিকনের্দেশনা পাওয়া যায়। আমি এখন ব্লগ পোষ্ট লিখছি, আমি তাই লিখছি যা আমি লিখতে চাচ্ছি। কিন্তু সাক্ষাতকার এ মানুষ তাই বলে যা উপস্থাপক জানতে চায়। এটা হয়ত সরাসরি কোন দিক নির্দেশনা দেয় না, কিন্তু পরোক্ষ ভাবে অনেক সহায়তা করে।

না কে না বলুন
পারব না, এই কথাটাকে না বলুন। সমস্যা আসবে। প্রতিটা সমস্যা অনেক কষ্ট দিবে। সফলতাটাকে দূরে ঠেলে দিবে। কিন্তু সমস্যাটা আপনাকেই অতিক্রম করতে হবে। বসে থাকলে সমস্যার সমাধান হবে না। আপনার সমস্যা এবং আপনার সপ্ন দুইটাই আপনার। তাই না কে না বলতে শিখুন। দেখবেন আত্মবিশ্বাস চলে আসবে অনায়াসে।

শেষ করার আগে একটা ব্যাপার না বললেই নেই, আত্মবিশ্বাস এবং অতিরঞ্জিত আত্মবিশ্বাস (over confidence হিসেবে বুঝাতে চেয়েছ, আমি নিশ্চিত নই এটার সঠিক বাংলা শব্দ কি হবে) এক নয়। তাই অতিরঞ্জিত আত্মবিশ্বাস থেকে দূরে থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নিজেকে বিশ্বাস করেন। কনফিডেন্স আপনা আপনি বাড়বে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ